text
stringlengths
11
126k
title
stringlengths
1
182
সেভ একটি জনপ্রিয় ভারতীয় জলখাবার। ছোলা ময়দার পেস্ট থেকে তৈরি ছোট ছোট টুকরো করে নুডলসের সাথে হলুদ, লালচে এবং আজওয়াইন দিয়ে পাক করা হয়, বেশি তেলে ভাজার আগে। এই নুডলস বেধ বিভিন্ন হয়। খেতে প্রস্তুত বিভিন্ন ধরনের সেভ, স্বাদযুক্ত সেভসহ বিভিন্ন সেভ ভারতীয় দোকাগুলিতে পাওয়া যায়। সেভকে এমনিতেই খাওয়া হয় পাশাপাশি ভেল পুরী এবং শেভ পুরির মতো খাবারের উপরে রেখেও খাওয়া হয়। সেভ বাড়িতে তৈরি করা যায় এবং কয়েক সপ্তাহ ধরে এয়ারটাইট পাত্রে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। সেভ উত্তর ভারতের বেশিরভাগ অংশে উত্তর প্রদেশ এবং বিহারের একটি জনপ্রিয় জলখাবার, যেখানে এটি খাওয়া হয় মিষ্টিযুক্ত বোঁদের উপরে নিয়ে। জলখাবারটি মধ্য প্রদেশেও বিশেষত ইন্দোর, উজ্জয়েন এবং রতলাম শহরে জনপ্রিয়। সেখানে অনেক জলখাবারের মূল উপাদান হিসাবে সেভ থাকে। মধ্য প্রদেশে, শেভ প্রায় প্রতিটি চাট জলখাবারে বিশেষত — রতলামী সেভ, যা লবঙ্গ এবং ছোলা ময়দা থেকে তৈরি। সেভের বিভিন্ন জাত বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি হয়, যেমন লম্বা (লবঙ্গ) সেভ, টমেটো সেভ, পলক সেভ, প্লেইন সেভ, এবং ভুজিয়া। যুক্তরাজ্যে, বাদাম, মসুর ডাল এবং ডালের সাথে মিশ্রিত জনপ্রিয় বিভিন্ন সেভ সাধারণত 'চানাচুর' হিসাবে বিক্রি হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় হালকা জলখাবার বিষয়শ্রেণী:ডুবোতেলে ভাজা খাবার বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় রন্ধনশৈলী
সেভ
পুনর্নির্দেশ বর্তি
Börte
আর থামিজ চেলওয়ান একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং তামিলনাড়ুর বিধানসভার প্রাক্তন সদস্য। তিনি ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে আরাককনাম আসন থেকে দ্রাবিড় মুননেত্রা কড়গম প্রার্থী হিসাবে তিনি তামিলনাড়ু আইনসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গমের রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)
আর থামিজ চেলওয়ান
নক্রুমা এলজিগো বোনার (; জন্ম: ২৩ জানুয়ারি, ১৯৮৯) জ্যামাইকার সেন্ট ক্যাথরিন এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। ২০১০-এর দশকের সূচনালগ্ন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে জ্যামাইকা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন নক্রুমা বোনার। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার হিসেবে খেলছেন। ডানহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি লেগ স্পিন বোলিংয়ে পারদর্শী তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ২০১০ সাল থেকে নক্রুমা বোনারের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান রয়েছে। আঞ্চলিক পর্যায়ের ক্রিকেটে তিনি জ্যামাইকা দলের মধ্যমণি ছিলেন। লেগ স্পিনার ও ডানহাতি ব্যাটসম্যান নক্রুমা বোনার ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সালে জ্যামাইকার সদস্যরূপে কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেসের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশ নেন। মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান ও কার্যকরী লেগ স্পিন বোলার নক্রুমা বোনারের ২০১১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টি২০আইয়ে অভিষেক ঘটে। তবে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দলে ঠাঁই করে নিতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়। দীর্ঘদিন জাতীয় দল থেকে উপেক্ষিত হবার পূর্বে তিনি আরেকটি খেলায় অংশ নেয়ার সুযোগ লাভ করেছিলেন। অক্টোবর, ২০১৯ সালে জ্যামাইকা দলের সদস্য হিসেবে রিজিওন্যাল সুপার৫০ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকল্পে যুক্ত করা হয়। ২০১৯-২০ মৌসুমের রিজিওন্যাল ফোর ডে কম্পিটিশনে ৫৩২ রান তুলেন। ফলশ্রুতিতে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের পক্ষে খেলার জন্যে তাকে পুণরায় আমন্ত্রণ জানানো হয়। জুলাই, ২০২০ সালে জ্যামাইকা তাল্লাহজের সদস্যরূপে ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লীগে খেলার জন্যে মনোনীত হন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট, তিনটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ও দুইটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন নক্রুমা বোনার। ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে চট্টগ্রামে স্বাগতিক বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। অন্যদিকে, ২০ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে ঢাকায় একই দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ২৫ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে চট্টগ্রামে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্যরূপে মনোনীত করা হয়। ইংল্যান্ড সফরে তিনি দলের সংরক্ষিত খেলোয়াড়ের মর্যাদা পান। এছাড়াও, নিউজিল্যান্ড সফরেও একই অবস্থানে রাখা হয়। জুন, ২০২০ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে তাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট দলে ঠাঁই দেয়া হয়। মে, ২০২০ সালে টেস্ট সিরিজ শুরু হবার কথা থাকলেও কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে তা জুলাই, ২০২০ সালে পিছিয়ে নেয়া হয়। বাংলাদেশ গমন বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ খেলোয়াড়ের অনুপস্থিতির কারণে ২০২১ সালের শুরুতে বাংলাদেশ গমনার্থে তাকে মনোনীত করা হয়। ডিসেম্বর, ২০২০ সালে বাংলাদেশ গমনার্থে ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ও ওডিআই দলের সদস্য করা হয়। ২০ জানুয়ারি, ২০২১ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিত দিবা-রাত্রির প্রথম ওডিআইয়ে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে তার অভিষেক হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ তারিখে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত সিরিজের প্রথম টেস্টে একই দলের বিপক্ষে তিনি প্রথমবারের মতো অংশ নেন। তথ্যসূত্র আরও দেখুন কাইল মেয়ার্স রিডলি জ্যাকবস এক টেস্টের বিস্ময়কারী ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণকারী পরিবারের তালিকা বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৮৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ওয়েস্ট ইন্ডিজের টেস্ট ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ওয়েস্ট ইন্ডিজের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ওয়েস্ট ইন্ডিজের টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস এন্ড কলেজেসের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:জ্যামাইকান ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:জামাইকার ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:জামাইকা তাল্লাহজের ক্রিকেটার
নক্রুমা বোনার
এম মীনাক্ষী সুন্দরম ছিলেন একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ এবং তামিলনাড়ুর বিধানসভার প্রাক্তন সদস্য। তিনি ছিলেন নাগপট্টিনামের সাবেক জেলা সম্পাদক। তিনি ১৯৭১, ১৯৭৭ এবং ১৯৮৪ নির্বাচনে দ্রাবিড় মুন্নেত্র কড়গম প্রার্থী বেদারণ্যম আসন থেকে তামিলনাড়ু বিধানসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি নাগপট্টিনাম দক্ষিণ ডিএমকে-র তলা সভাপতি ছিলেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:দ্রাবিড় মুনেত্র কড়গমের রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি)
এম মীনাক্ষী সুন্দরম
অংশুলা কান্ত (, জন্ম: ৭ই সেপ্টেম্বর ১৯৬০) একজন ভারতীয় ব্যাংক-পরিচালক। বর্তমানে তিনি বিশ্বব্যাংক গ্রুপের মুখ্য আর্থিক কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। ২০১৯ সালের ১২ জুলাই তারিখে তিনি এই পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। এর আগে ২০১৮ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে ২০১৯ সালের ৩১শে আগস্ট পর্যন্ত তিনি ভারতীয় স্টেট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ভারতের উত্তরাখণ্ডের রুরকির অধিবাসী। প্রারম্ভিক জীবন ও শিক্ষা ১৯৬০ সালের ৭ সেপ্টেম্বর তারিখে ভারতের উত্তরাখণ্ডের রুরকিতে অংশুলা কান্তের জন্ম হয়েছিল। তিনি ১৯৭৯ সালে নয়াদিল্লীর লেডি শ্রীরাম কলেজ থেকে অর্থনীতি বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেছিলেন। তারপর ১৯৮১ সালে তিনি দিল্লী স্কুল অব ইকোনমিক্স থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্সের একজন স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সহযোগী। কর্মজীবন ১৯৮৩ সালে অংশুলা কান্ত ভারতীয় স্টেট ব্যাংকে একজন শিক্ষানবিস কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি এসবিআই-এর মুখ্য মহাব্যবস্থাপক (মহারাষ্ট্র ও গোয়া শাখা), রাষ্ট্রীয় ব্যাংকিং গ্রুপের কার্যপ্রণালীর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ‌ও এসবিআই সিঙ্গাপুর শাখার মুখ্য কার্যনির্বাহী পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি দুবছর যাবৎ এসবিআই-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ব্যাংকবোর্ডের সদস্য ছিলেন। ২০১৯ সালের ১২ জুলাই তারিখে তাঁকে বিশ্ব ব্যাংক গ্রুপের মুখ্য আর্থিক কর্মকর্তা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসাবে নিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি উদ্বৃত্তপত্র (ব্যালেন্স শীট) ও ব্যাংকিং গ্রুপে আর্থিক কর্মকর্তা ও বিপদাশঙ্কা ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে দায়বদ্ধ। ২০১৯ সালের ৭ অক্টোবর তারিখ থেকে তাঁর কার্যকাল আরম্ভ হয়েছে। এই পদে অধিষ্ঠিত তিনি বিশ্বের প্রথম মহিলা। ব্যক্তিগত জীবন অংশুলা কান্ত উত্তর প্রদেশের বারাণসীর চার্টার্ড অ্যাকাউন্টেন্ট সঞ্জয় কান্তর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। সিদ্ধার্থ নামে তাঁদের একটি পুত্র ও নূপুর নামে একটি কন্যা রয়েছে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৬০-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মহিলা ব্যাংকার বিষয়শ্রেণী:জামশেদপুরের ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:২১শ শতাব্দীর ভারতীয় নারী ব্যবসায়ী
অংশুলা কান্ত
বাথৌ ধর্ম () বড়ো জনগোষ্ঠী ও কাছারি সম্প্রদায়ের জাতিগত ধর্ম। বাথৌ (বা=পাঁচ; থৌ=গভীর) নামটির অর্থ হচ্ছে পাঁচটি নীতি। এই ধর্মের পাঁচটি মূলনীতি হল: বার (বাতাস), অর (আগুন), হা (পৃথিবী), দ্বি (জল) ও অখরাং (ইথার)। প্রধান দেবতা বাথৌবরাই (বরাই-"বয়স্ক") নামে পরিচিত। বিশ্বাস করা হয় যে সর্বব্যাপী ও সর্বজ্ঞ বাথৌবরাই এই পাঁচটি নীতি তৈরি করেছিল। অন্যান্য ছোটখাটো দেব-দেবী থাকলেও তাকেই মূল দেবতা জ্ঞান করা হয়। বাথৌবারাই অদেখা ও অদৃশ্য। দ্বিতীয় সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ দেবতা হল মাইনাও। সে দেবতা বাথৌবারাইয়ের স্ত্রী এবং তাকে "কৃষিজমির রক্ষক" হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এক বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গেছে যে বাথৌ ধর্মকে ভারতীয় ধর্মবৈচিত্র্যের একটি অঙ্গ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সিজৌ গাছ বড়ো জাতির মাঝে সিজৌ গাছ ব্যবহারের প্রথা অতীত থেকেই চলে আসছে। বড়োরা বাথৌ পূজাতে এই গাছটিকে ব্যবহার করে। তাই বাথৌ ধর্মের সাথে গাছটি বেশ সম্পর্কিত। বড়োরা বাড়ির উঠোনের দক্ষিণপূর্ব কোণে সিজৌয়ের চারা রোপন করে। তারা এর চারপাশে ১৮ জোড়া বাঁশের বেত/কাঠি বা কঞ্চিকে পাঁচটি জায়গায় গিঁট দিয়ে বাঁধে। প্রতিটি বাঁধন একেকজন উপ দেব-দেবীকে নির্দেশ করে। নিচের দিক থেকে পাঁ‌চটি বাধঁন যথাক্রমে জন্ম, যন্ত্রণা, মৃত্যু, বিবাহ ও শান্তি/আনন্দকে চিহ্নিত করে। সিজৌ গাছের বৈজ্ঞানিক নাম- Euphorbia antiquorum, এটি ইউফরবিয়া (Euphorbia) প্রজাতির একপ্রকার রসাল বনৌষধি গাছ। ক্যাকটাসের মতো দেখতে হলেও সিজৌ ক্যাকটাস প্রজাতির অন্তর্গত নয়। দেব-দেবতা তে ঘরোয়া ও সম্প্রদায়ী ভগবানের মাঝে পার্থক্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে। ঘরোয়া ভগবানের তালিকায় রয়েছে বাথৌবরাই, মাইনাও, চং বরাই/বুরাই ও বুরা বাঘ রাজা ইত্যাদি সকল জনপ্রিয় দেব-দেবতা। বড়োদের দ্বারা সিজৌ গাছকে বাথৌবরাই হিসেবে পূজা করার প্রথাটি আসামের গোয়ালপারা অঞ্চলে বিশেষ প্রসিদ্ধ। চং রাজাকে সাধারণতে ধাম নামে একটি ঘরের ভিতরে পূজা করা হয়। এই দেবতাই সাধারণত মহিলাদের দ্বারা বিশেষ করে মহিলাদের রজঃস্রাবের সময়ে পূজা গ্রহণ করে। পরে পূজার নৈবেদ্য সমূহ বাইরে এনে বাথৌ দেবতার প্রতিনিধিত্বকারী সিজৌ গাছের নিচে রাখা হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:আসামের ধর্মবিশ্বাস বিষয়শ্রেণী:বড়ো জনগোষ্ঠী
বাথৌ ধৰ্ম
ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ বাংলাদেশের ঝালকাঠি জেলার ঝালকাঠি সদর উপজেলার অন্তর্গত একটি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভূক্ত কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট, ডিগ্রী ও কিছু স্নাতক পর্যায়ের সার্টিফিকেট প্রদান করে। ইতিহাস কলেজটি ১৯৮১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়, ১৯৮৪ সালে বি.এ(পাস) কোর্স ও ১৯৮৭ সালে স্নাতক শ্রেনী খোলা হয়। তারিখে কলেজটিকে প্রথম এমপিওভুক্ত করা হয়। বিবরণ অবকাঠামো প্রশাসন শিক্ষা কার্যক্রম ও পদ্ধতি সামাজিক কার্যক্রম পুরস্কার ও সম্মাননা উল্লেখযোগ্য শিক্ষার্থী চিত্রশালা আরও দেখুন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের সরকারি কলেজ বিষয়শ্রেণী:ঝালকাঠি জেলার কলেজ বিষয়শ্রেণী:ঝালকাঠি জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজ
থাম্ব|হাইব্রিড চা গোলাপ, ''পিয়ার গাইন্ট বাগানের গোলাপ মূলত হাইব্রিড গোলাপ যা ব্যক্তিগত বা সরকারী উদ্যানে শোভাময় গাছ হিসাবে জন্মায়। এগুলি ফুল গাছের সর্বাধিক জনপ্রিয় এবং ব্যাপকভাবে চাষ করা এক শ্রেণির গোলাপ, বিশেষত নাতিশীতোষ্ণ জলবায়ুতে এগুলো চাষ করা হয়। বিশেষ করে গত দুই শতাব্দীতে বেশ কয়েকটি জাত উৎপাদিত হয়েছে, যদিও গোলাপ বাগানে হাজার বছর আগে থেকেই পরিচিত ছিল। বেশিরভাগ বাগানের গোলাপ তাদের ফুলের জন্য উত্থিত হয়। এছাড়াও অন্যান্য কিছু কারণে মূল্যবান হয়, যেমন— শোভাময় ফল, স্থল কভার বা হেজিং সরবরাহ করার কারণে। ইতিহাস বিশ্বাস করা হয় যে, কমপক্ষে ৫০০০ বছর আগে থেকে নাতিশীতোষ্ণ অক্ষাংশের প্রাথমিক সভ্যতায় গোলাপ জন্মেছিল। জানা যায় এই ফুল প্রাচীন ব্যাবিলনে প্রথম জন্মেছে। খ্রিস্টপূর্ব ১৪ শতক থেকে মিশরীয় পিরামিড সমাধিতে গোলাপ অঙ্কন আবিষ্কার করা হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব ৫০০ অব্দ (কমপক্ষে) থেকে চীনা উদ্যান এবং গ্রীক উদ্যানগুলিতে এই গোলাপ জন্মানোর রেকর্ড রয়েছে। অনেক আসল গাছের পাপড়ির উপাদান গোলাপে ব্যবহার শুরু করা হয় যাতে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। এই প্রাথমিক উদ্যানগুলিতে উত্থিত বেশিরভাগ গাছপালা সম্ভবত বন থেকে সংগ্রহ করা প্রজাতি ছিল। সেখানে প্রচুর পরিমাণে নির্বাচিত জাতগুলি প্রান্তিক কাল থেকেই জন্মাতো । উদাহরণস্বরূপ – চীনের চাষীরা প্রথম সহস্রাব্দ থেকে নির্বাচিত অসংখ্য বাংলা গোলাপ চাষ করত। ১৭ শতকে আধুনিক গোলাপের উল্লেখযোগ্য প্রজনন ধীরে ধীরে ইউরোপে শুরু হয় । ১৯ শতকে ইউরোপে এটির নতুন প্রজাতির সূচনার মাধ্যমে বিশেষত বাংলা গোলাপের সূচনার মাধ্যমে প্রণোদিত হয়েছিল। তার পর থেকে প্রচুর গোলাপের জাত হয়েছে। ১৯ শতকের গোড়ার দিকে একজন উল্লেখযোগ্য অবদানকারী ছিলেন ফ্রান্সের সম্রাজ্ঞী জোসেফাইন যিনি মালমাইসনে তার বাগানে গোলাপের প্রজনন বিকাশের জন্য পৃষ্ঠপোষকতা করেছিলেন। ১৮৪০ সালের হিসাবে বিভিন্ন ধরনের গোলাপ হাজারটিও বেশি সংগ্রহ চাষ করা হয়েছে। আকৃতি থাম্ব|একটি অ্যাম্বার রঙের গোলাপ চিত্রশালা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:গোলাপ বিষয়শ্রেণী:বাগান উদ্ভিদ বিষয়শ্রেণী:গোলাপের বাগান বিষয়শ্রেণী:উদ্যানবিদ্যা ও বাগানবিদ্যা
বাগানের গোলাপ
পুনর্নির্দেশ বাংলা গোলাপ
চায়না গোলাপ
থাম্ব| অ্যাডা লি-র একটি ছবি (সি। 1909)। এটি পশ্চিমবঙ্গ গঙ্গা সাগরের একটি মাঘা মেলায় হিন্দু তীর্থযাত্রীর সমাগম দেখায় - যেখানে গঙ্গা নদী বঙ্গোপসাগর মিলিত হয়। মাঘ মেলা হল একটি বার্ষিক উৎসব যা মাঘ মাসে (জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি) নদীর তীর এবং হিন্দু মন্দিরের কাছাকাছি কোন পবিত্র জলাশয়ের নিকটে অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় প্রতি বারো বছর পরে, মাঘের মেলা বৃহস্পতি, সূর্য এবং চাঁদের জ্যোতিষশাস্ত্রগতভাবে একটি শুভ অবস্থান হিসাবে বিশ্বস্ত বিশ্বাসী হিসাবে মিলিত হয় এবং এগুলিকে বলা হয় কুম্ভ মেলা যেমন এলাহাবাদে (সরকারীভাবে প্রয়াগরাজ)। দক্ষিণ, একটি উল্লেখযোগ্য উৎসব হয় Mahamaham ট্যাংক মধ্যে Kumbhakonam ; পূর্বে, পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ এবং কোনার্ক, পুরীতে । তপসের এক রূপ হিসাবে স্নানের অনুষ্ঠানের পাশাপাশি মাঘ উত্সবটি ইন্দোনেশিয়ার বালিতে হিন্দু সম্প্রদায়ও পালন করে। অমাবস্যা এবং মকর সংক্রান্তি হিসাবে নির্দিষ্ট তারিখগুলি বিশেষত পবিত্র হিসাবে বিবেচিত হয়, যা বৃহত্তর সমাবেশকে আকর্ষণ করে। এই উত্সবটি জলের জলে ডুবিয়ে চিহ্নিত করা হয়, তবে এটি মেলা, শিক্ষা, সাধুদের দ্বারা ধর্মীয় বক্তৃতা, সন্ন্যাসীদের এবং দরিদ্রদের জন্য সম্প্রদায়ের খাবার এবং বিনোদন দর্শন সহ সম্প্রদায়ীয় বাণিজ্যগুলির উদযাপন। মাঘ মেলা জন্য ধর্মীয় ভিত্তিতে যে তীর্থযাত্রা জন্য একটি উপায় হল বিশ্বাস prāyaścitta গত ভুলের জন্য (প্রায়শ্চিত্ত, আক্ষেপ), পাপের প্রচেষ্টা শুচিশুদ্ধ তাদের ও এই উত্সবে পবিত্র নদীতে যে গোসলের টি salvific মান, মোকশা - পুনর্জন্ম চক্র থেকে মুক্তির একটি উপায় ( সংসার )। তুলনামূলক ধর্ম ও ভারতীয় স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ডায়ান একের মতে, এই উত্সবগুলি "দুর্দান্ত সাংস্কৃতিক মেলা" যা মানুষকে একত্রিত করে, বাণিজ্য, বাণিজ্য এবং ধর্মনিরপেক্ষ বিনোদনমূলক পরিবেশনার সাথে ধর্মীয় ভক্তির ভাগীদার সূত্রে তাদের বেঁধে রাখে। মহাভারত এবং কয়েকটি প্রধান পুরাণে মাঘমেলা উৎসবের উল্লেখ রয়েছে। মাঘমেলা নদীভিত্তিক উৎসবের একটি অঙ্গ যা বৃহস্পতির বিভিন্ন রাশিতে রূপান্তরিত হওয়ার পরে অনুসরণ করে। এই নদী উত্সব - যাকে পুশকরাম (বা পুষ্কারালু) বলা হয় - বছরব্যাপী ঘাট এবং মন্দিরগুলিতে ঘুরে বেড়ায় ভারতের প্রধান নদীগুলির সাথে, প্রতিটিই একটি পবিত্র নদীর দেবী হিসাবে শ্রদ্ধা। এর মধ্যে রয়েছে আচার স্নানের পাশাপাশি পূর্বপুরুষদের কাছে প্রার্থনা, ধর্মীয় বক্তৃতা, ভক্তিমূলক সংগীত এবং গাওয়া, দাতব্য সংস্থা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং মেলা। সংগাম আমলের প্রাচীন তামিল নৃবিজ্ঞানেও একটি বার্ষিক স্নানের উত্সব উল্লেখ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, মধ্যে জীবিত কবিতা নয়টি Paripatal সংগ্রহ নদী দেবী Vaikai নিবেদিত। এই কবিতাগুলি তামিল মাসে তামিল মাসে (জানুয়ারি / ফেব্রুয়ারি) মার্গাজি মাসের পরে স্নানের উত্সাহের কথা উল্লেখ করে, এটি একটি সময় যা উত্তর মাগের সাথে পরিচ্ছন্ন হয়। এই স্নানের উত্সবগুলি আধ্যাত্মিকভাবে শুভ এবং জল ক্রীড়া, মেলা এবং সম্প্রদায়ের জমায়েতের অনুষ্ঠান হিসাবে চিত্রিত হয়। শিখধর্মে মাঘমেলা, দীপাবলি ও বৈশাখি - এই তিনটি উৎসব গুরু অমর দাস কর্তৃক স্বীকৃত, তিনি শিখদেরকে একটি জাতিগত উৎসবে (১৫৫২-১৫৭৪ খ্রিস্টাব্দ) জড়ো হওয়ার জন্য আহ্বান করেছিলেন। বর্তমানে এটি মাঘী নামে খ্যাত এবং তা গুরু গোবিন্দ সিংহের সময়ে ১৭০৫ খ্রিস্টাব্দে সংগঠিত একটি মুসলিম-শিখ যুদ্ধে নিহত চল্লিশ জন শহীদের স্মৃতিচারণ বলে উল্লেখ করা হয়। শ্রীমুক্তসর সাহিবে সবচেয়ে বড় মাগীর জমায়েত পাওয়া যায়। পাশৌরা সিংহ এবং লুই ফেনেচের মতে গুরু অমর দাস গোখিন্দওয়াল সাহেবকে শিখ তীর্থস্থান (তীরথ) হিসাবে তৈরি করেছিলেন। তিনি গোয়িন্দওয়ালে আনুষ্ঠানিক স্নানের জন্য একটি বাওলি - পদক্ষেপযুক্ত জলের ট্যাঙ্কও তৈরি করেছিলেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতের মেলা বিষয়শ্রেণী:ভারতের লোক উৎসব বিষয়শ্রেণী:হিন্দু উৎসব
মাঘমেলা
পুনর্নির্দেশ বাবুনাই
চশমাটুনি
পুনর্নির্দেশ ডম বেস
Dom Bess
পুনর্নির্দেশ লাল কোরাল কুকরি
Oligodon kheriensis
পুনর্নির্দেশ সোম (পানীয়)
Soma (drink)
ইস্টন জামে মসজিদ ইংল্যান্ডের ব্রিস্টলের ইস্টন এলাকার একটি মসজিদ। এটিতে আকর্ষণীয় ও অনন্য স্বচ্ছ গম্বুজ রয়েছে। ইতিহাস ইস্টন জামে মসজিদটি ১৮৫৫ সালে সেন্ট মার্কস রোড ন্যাশনাল স্কুল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই স্কুলটি ১৯৮৩ সালে মসজিদে রূপান্তরিত হয়। ২০১৭ সালে, মসজিদটি একটি স্বচ্ছ গম্বুজ দিয়ে সজ্জিত ও প্রসারিত করা হয় যা রাতে সবুজ আলোয় আলোকিত থাকে। বর্ণনা মসজিদটিতে একটি গম্বুজ রয়েছে। নারী ও পুরুষ উভয়েরই নামাজ পড়ার অনুমতি রয়েছে এবং এর ধারণক্ষমতা ৬০০ (৪০০ পুরুষ; ২০০ নারী)। ইস্টন জামে মসজিদটি নিবন্ধিত এবং ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত, শহরের মসজিদগুলোর বহু-সম্প্রদায়ভুক্ত সংস্থা কাউন্সিল অফ ব্রিস্টল মসজিদ (সিবিএম) এর সদস্য। এই সংস্থাটি মিশ্র সম্প্রদায়ভুক্ত হলেও পাকিস্তানি সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে। আরও দেখুন ইংল্যান্ডের মসজিদের তালিকা বার্মিংহাম কেন্দ্রীয় মসজিদ ব্রিস্টল জামে মসজিদ লিডস গ্র্যান্ড মসজিদ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ cbmosques.org.uk-এ ইস্টন জামে মসজিদ বিষয়শ্রেণী:ইংল্যান্ডের মসজিদ বিষয়শ্রেণী:উইকিউপাত্তে স্থানাঙ্ক আছে
ইস্টন জামে মসজিদ
২০২১ কানাডা ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লীগ এ হচ্ছে ২০২১ এর আগস্টে কানাডায় অনুষ্ঠিত হতে নির্ধারিত রয়েছে। এটি হবে ২০১৯-২২ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লীগ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় রাউন্ড, যে প্রতিযোগিতাটিকে তৈরী করা হয়েছে ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতায় খেলার যোগ্যতা অর্জনের একটি ধাপের অংশ হিসাবে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:কানাডায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা বিষয়শ্রেণী:২০২১-এর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট প্রতিযোগিতা
২০২১ কানাডা ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যালেঞ্জ লীগ এ
গাঢ় ধূসর স্থলজ সাপ ( বৈজ্ঞানিক নাম: Elapoidis fusca) ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়ার স্থানীয় সাপ। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:মালয়েশিয়ার সরীসৃপ বিষয়শ্রেণী:ইন্দোনেশিয়ার সরীসৃপ
গাঢ় ধূসর স্থলজ সাপ
গটকা(পাঞ্জাবি: ਗਤਕਾ, হিন্দি: गतका, গাটকা) হলো পাঞ্জাবের শিখদের সাথে যুক্ত একটি ভারতীয় সামরিক কৌশলের নাম। এই শিখেরা মার্শাল আর্টের প্রথম দিককার বিকল্পের অনুশীলন করে। এটি লাঠির লড়াইয়ের একটি ধরন, লাঠিগুলি তলোয়ারের অনুকরণ করে তৈরি করা হয়েছিল। পাঞ্জাবি নাম গটকা সঠিকভাবে ব্যবহৃত লাঠিটিকে বোঝায়। শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত গদা "দণ্ড" হিসাবে। এটি পঞ্চদশ শতাব্দীতে পাঞ্জাবে উৎপন্ন হয়েছিল, তবে পশ্চিমে বর্তমানে প্রচলিত গটকা ধরনগুলির বেশিরভাগই ইউরোপীয় সংস্করণ, যা মূলত শিখদের মার্শাল আর্ট যা শাস্ত্র বিদ্যা নামে পরিচিত। বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে এর একটি পুনরুজ্জীবন ঘটেছে। আন্তর্জাতিক গটকা সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৯৮২ সালে এবং এটি ১৯৮৭ সালে আনুষ্ঠানিকতা পেয়েছিল। গটকা এখন একটি খেলা যেটি তলোয়ার নৃত্য পরিবেশন শিল্প হিসাবে জনপ্রিয় এবং এটি প্রায়শই শিখ উৎসবগুলিতে প্রদর্শিত হয়। ইতিহাস গটকার তত্ত্ব ও কৌশল শিখ গুরুরা শিখিয়েছিলেন। এটি অবিচ্ছিন্নভাবে ওস্তাদদের (মাস্টার) বংশে প্রবাহিত হয়েছে এবং সারা বিশ্বে বহু আখড়ায় (অঙ্গন) শেখানো হয়েছে। গটকা শিখ যুদ্ধে ব্যবহৃত হয়েছিল এবং পুরোপুরি যুদ্ধোপযোগী। এটি ধর্ম (ধার্মিকতা) রক্ষার প্রয়োজন থেকে উদ্ভূত হয়েছে, তবে এটি আত্মা ও দেহের একীকরণের ভিত্তিতেও তৈরী হয়েছে (মিরি পিরি)। সুতরাং, এটি সাধারণত আধ্যাত্মিক এবং শারীরিক উভয় অনুশীলন হিসাবেই বিবেচিত হয়। ইঙ্গ-শিখ যুদ্ধের পরে উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ভারতের নতুন ব্রিটিশ প্রশাসকরা এই শিল্পকে নিষিদ্ধ করেছিলেন। ১৮৫৭ সালের সিপাহী বিদ্রোহের সময় শিখরা বিদ্রোহ দমন করতে ব্রিটিশদের সহায়তা করেছিল। এর ফলস্বরূপ, এই যুদ্ধের অনুশীলনের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করা হয়েছিল, তবে পাঞ্জাবি মার্শাল আর্ট যা ১৮৫৭ সালের পরে পুনরায় উদ্ভূত হয়েছিল, তা উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হয়েছিল। নতুন শৈলীতে কাঠের প্রশিক্ষণ-লাঠিটিতে তরোয়াল যুদ্ধের কৌশল প্রয়োগ করা হয়েছিল। প্রাথমিক অস্ত্রের নামানুসারে এটিকে গটকা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল। ১৮৬০ এর দশকে, ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীতে, গটকা মূলত হাতের লড়াইয়ের অনুশীলন হিসাবে ব্যবহৃত হত। ভারত সরকারের ক্রীড়া ও যুব বিষয়ক মন্ত্রণালয় হরিয়ানায় অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া খেলো ইন্ডিয়া ইয়ুথ গেমস ২০২১ এর অংশ হিসাবে কালারিয়াপাত্তু, থাং-টা এবং মাল্লাখাম্বা নামক আরও তিনটি দেশীয় খেলার সাথে গটকাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। এটি ভারতে একটি জাতীয় ক্রীড়া ইভেন্ট। প্রতিযোগিতা খেল (অর্থ খেলাধুলা বা খেলা) হল গটকার আধুনিক প্রতিযোগিতামূলক দিক, যা মূলত মধ্যযুগীয় সময়ের তরোয়াল-প্রশিক্ষণের একটি পদ্ধতি (লাঠি খেলা) বা লাঠি-লড়াই (লাঠি খেলা) হিসাবে ব্যবহৃত হত। যদিও খেল গটকা বর্তমানে শিখদের সাথে সবচেয়ে বেশি সংযুক্ত, এটি অন্যান্য নৃ-সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর মার্শাল আর্টেও সর্বদা ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি এখনও তানোলি এবং গুজারা সম্প্রদায় দ্বারা ভারত এবং পাকিস্তানে অনুশীলিত হয়। ডিফেন্ডু প্রভাব ক্যাপ্টেন উইলিয়াম ই. ফেয়ারবায়ার্ন এবং ক্যাপ্টেন এরিক অ্যান্থনি সাইকসের পরিকল্পনা অনুসারে ডিফেন্ডু ব্যবস্থা গটকা, জুজুতসু, চীনা মার্শাল আর্ট এবং "গাটার ফাইটিং" এর কাছ থেকে পদ্ধতি নিয়েছিল। এই পদ্ধতিটি স্কটল্যান্ডের অ্যাকনাকারি্র কমান্ডো বেসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে ঘনিষ্ঠ লড়াইয়ের কৌশলগুলিতে সৈন্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হয়েছিল। আরও দেখুন অঙ্গমপোড়া বনশায় বাটাইয়ারট বােজুতসু জুকেন্ডো কালারিপায়ত্তু কেন্ডো কেনজুতসু ক্রাবি - ক্রাবং কুট্টু ভারিশাই মারদানি খেল শাস্তর বিদ্যা সিলম্বম সিলম্বম এশিয়া তাহতিব থাং-টা ভার্মা কলাই ওয়ার্ল্ড সিলম্বম অ্যাসোসিয়েশন হোলা মহল্লা ভারতীয় মার্শাল আর্ট নিহং পাইকা আখাদা পেলওয়ানি স্কোয়েই তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ Nanak Dev Singh Khalsa & Sat Katar Kaur Ocasio-Khalsa (1991) Gatka as taught by Nanak Dev Singh, Book One - Dance of the Sword (2nd Edition). GT International, Phoenix, Arizona. বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মার্শাল আর্ট বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি মার্শাল আর্ট বিষয়শ্রেণী:যুদ্ধ ক্রীড়া বিষয়শ্রেণী:রাজপুত সংস্কৃতি বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবী সংস্কৃতি বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি শব্দ ও বাক্যাংশ
গতকা
পুনর্নির্দেশ হিন্দু পঞ্জিকা
Hindu calendar
জ্যাক মার্শ ( - ২৫ মে ১৯১৬) অস্ট্রেলীয় আদিবাসী বংশোদ্ভূত একজন অস্ট্রেলীয় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটার, যিনি ১৯০০-০১ থেকে ১৯০২-০৩ পর্যন্ত ছয় ম্যাচে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। চরম গতির একজন ডানহাতি ফাস্ট বোলার, মার্শ ছিলেন উচ্চ অ্যাথলেটিক গুণাবলীর আশীর্বাদপুষ্ট এবং তাকে সেই যুগের অসামান্য প্রতিভা হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছিল। তাঁর বোলিং অ্যাকশনের বৈধতা নিয়ে নিয়মিত বিতর্কে তাঁর ক্যারিয়ার কমে গিয়েছিল; তাঁর বিরুদ্ধে নো-বল, একাধিকবার থ্রোয়িং করার অভিযোগ আনা হয়েছিল। তার কর্মের বৈধতা নিয়ে বিতর্কের ফলস্বরূপ, মার্শ কখনও নিজেকে প্রথম-শ্রেণীর স্তরে প্রতিষ্ঠিত করেননি এবং জাতীয় নির্বাচনেও তাঁকে বাছাই করা হয়নি। সমসাময়িক বক্তৃতায়, মার্শের সুযোগের অভাবকে প্রায়শই বর্ণ বৈষম্যের কারণ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জন্ম উত্তর নিউ সাউথ ওয়েলসের ইউলগিলবার ক্লেরাস নদী তীরবর্তী বুন্দজালং পরিবারে, মার্শ প্রথম তাঁর পেশাদারী পরিচয় তুলে ধরেন রানার হিসাবে, সিডনি সফরকালে এবং তারপর আন্তঃরাজ্য প্রতিদ্বন্দিতায়, একজন স্প্রিন্টার এবং হার্ডলার দৌড়ে জিতেন। সিডনিতে থাকাকালীন মার্শ স্থানীয় ক্লাব ক্রিকেটে অংশ নিতে শুরু করেছিলেন এবং সকলের নজর কেড়েছিলেন। ১৮৯৭ সালে থ্রোয়িং করায় জন্য প্রথমবারের মতো তাকে নো-বল দেয়া হয়, তবে ১৯৯০-সালের দিকেই তিনি নিউ সাউথ ওয়েলস রাজ্যের বিপক্ষে একটি ট্রায়াল ম্যাচে শীর্ষে এসেছিলেন। মার্শ শীর্ষস্থানীয় টেস্ট ক্রিকেটার ভিক্টর ট্রাম্পার এবং মন্টি নোবেলকে আউট করেছিলেন, তবে তাকে থ্রোয়িংয়ের জন্য ডাকা হয়েছিল। মার্শ নিজের হাত স্প্লিন্টসে জড়িয়ে বোলিং করে নিজের অ্যাকশনের বৈধতা প্রমাণ করার অঙ্গীকার করেছিলেন, যা অবমানিত আম্পায়ারকে পদত্যাগ করতে প্ররোচিত করেছিল। স্থানীয় প্রতিযোগিতায় বোলিং গড়ে শীর্ষে থাকার পর মার্শকে শেফিল্ড শিল্ডে অভিষেকের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছিল। তিনি তাত্ক্ষণিকভাবে নিজের পরিচয় দেন এবং তিন ম্যাচ পরে মরসুমের প্রথম শ্রেণির বোলিং গড়ের নেতৃত্ব দেন। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বব ক্রকেট তাকে নো-বল দেন, কিন্তু তাঁর চতুর্থ ম্যাচে যখন একই আম্পায়ার তাকে সতেরবার নো-বোল দেন, তখন জনতার বিক্ষোভ প্রদর্শনের ঘটনা ঘটে। মার্শের অ্যাকশন ন্যায্য ছিল এবং বিভিন্ন তত্ত্ব প্রচারিত হয়েছিল কিনা তা নিয়ে ক্রিকেট সম্প্রদায় বিভক্ত ছিল, যা মার্শের বিপক্ষে বাজে খেলার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। এই তত্ত্বগুলির মধ্যে সর্বাধিক জনপ্রিয় ছিল যে মার্শ থ্রোয়িংয়ের বিরুদ্ধে একটি প্রচারণা চালিয়ে গিয়েছিলেন এবং তার বর্ণ এখানে হালকা লক্ষ্য ছিল। মার্শ আরও দুটি প্রথম-শ্রেণীর ম্যাচ খেলেছিলেন, যা তাঁর নো-বোলিংয়ের পরে একই মরসুমে হয়েছিল। পরবর্তী মৌসুমে, সফরকারী ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল প্রতিপক্ষ দলে তাঁকে নির্বাচন নিয়ে আপত্তি জানায়। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মার্শকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানানো হয়েছিল, কিন্তু নিউ সাউথ ওয়েলসের নির্বাচক নোবেল বিতর্ক এড়াতে তাঁকে নির্বাচন করতে অস্বীকার করেছিলেন। পরবর্তী বছরগুলিতে, মার্শ অ্যালকোহলে আসক্ত হন এবং হামলার জন্য তাঁকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কারাগারে বন্দীও করা হয়েছিল। তিনি একটি পাবের বাইরে ঝগড়ায় মারা গিয়েছিলেন; দু'জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যাযজ্ঞের অভিযোগ আনা হলেও পরে তাদের খালাস দেওয়া হয়। প্রথম বছর ক্লাব ক্রিকেট প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক ক্রকেটের প্রতি প্রতিক্রিয়া ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘটনা পরের বছরগুলোতে উত্তরাধিকার আরো দেখুন নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধি ক্রিকেটারদের তালিকা অস্ট্রেলিয়ায় শীর্ষ-শ্রেণীর ক্রিকেট ম্যাচে বল ছোড়ার অভিযোগে অভিযুক্ত ক্রিকেটারদের তালিকা মন্তব্য তথ্যসূত্র আরও পড়া (Australian Cricket Society Literary Award Winner 2003-4) বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৮৭৪-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯১৬-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:আদিবাসী অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:নিউ সাউথ ওয়েলসের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে আগত ক্রিকেটার
জ্যাক মার্শ
পুনর্নির্দেশ ডম শিবলি
ডোম শিবলি
মোহন সিং (৩ জানুয়ারি ১৯০৯ – ২৬ ডিসেম্বর ১৯৮৯) ভারতের একজন স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং সাবেক সামরিক কর্মকর্তা । তিনি মূলত দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায়, আজাদ হিন্দ ফৌজ সংগঠন ও এর নেতৃত্ব দানের জন্য সর্বাধিক পরিচিত। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর, মোহন সিং ভারতীয় সংসদের রাজ্যসভায় একজন সংসদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। প্রারম্ভিক জীবন মোহন সিং এর পিতা তারা সিং এবং মাতা হুকাম কৌর। তারা শিয়ালকোটের (বর্তমানে পাকিস্তানে) কাছে উগোকে গ্রামে বসবাস করতেন। তার জন্মের দুই মাস আগে তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন এবং তার মাতা একই জেলার বাদিয়ানায় তার পিতামাতার বাড়িতে চলে যান। মোহন সিং সেখানেই জন্মগ্রহণ করেন এবং বেড়ে ওঠেন। সামরিক জীবন মোহন সিং মাধ্যমিক বিদ্যালয় পাশ করে,১৯২৭ সালে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টে নিজেকে তালিকাভুক্ত করেন। রোজপুরে তার নিয়োগ প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করার পর, মোহন সিং রেজিমেন্টের দ্বিতীয় ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত হয়ে তৎকালীন উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশে পৌছান। তিনি ১৯৩১ সালে সম্ভাব্য অফিসার হিসেবে নির্বাচিত হয়ে, নওগং-এর (মধ্যপ্রদেশ) কিচেনার কলেজে ছয় মাসের প্রশিক্ষণ ও দেরাদুনের ইন্ডিয়ান মিলিটারি একাডেমিতে আড়াই বছরের প্রশিক্ষণ শেষে, ১৯৩৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি কমিশনভুক্ত হন এবং এক বছরের জন্য ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর দ্বিতীয় ব্যাটালিয়ন বর্ডার রেজিমেন্টে নিযুক্ত হন। এরপর তিনি ১৯৩৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ১৪তম পাঞ্জাব রেজিমেন্টের ১ম ব্যাটালিয়নে নিযুক্ত হন। তার ব্যাটালিয়ন ভারতের পূর্বাঞ্চলে অপারেশনে নিযুক্ত হলে মোহন সিং পদোন্নতি পেয়ে অস্থায়ী ক্যাপ্টেন হন। তিনি ১৯৪০ সালের ডিসেম্বর মাসে তারই এক সহ-সৈনিকের বোন, জসবন্ত কৌর কে বিয়ে করেন। তিনি ১৯৪১ সালের ৪ মার্চ তার ইউনিটের সঙ্গে মালয় রওনা হন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ জাপান, ১৯৪১ সালের ৭ ডিসেম্বর হাওয়াইয়ের পার্ল হারবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমান ঘাঁটিতে আকস্মিক আক্রমণের মধ্য দিয়ে যুদ্ধে প্রবেশ করে এবং কয়েক সপ্তাহের মধ্যে প্রায় সমগ্র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া দখল করে নেয়। অক্টোবর মাসে জাপানি ইম্পেরিয়াল জেনারেল হেডকোয়ার্টার, মেজর ফুজিওয়ারা ইওয়াইচির নেতৃত্বে ব্যাংককে ফুজিওয়ারা কিকান স্থাপন করে। জাপানের সাথে বন্ধুত্ব ও সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামী, বিদেশী চীনা এবং মালয়ের সুলতানদের সাথে যোগাযোগের দায়িত্বে থাকা ফুজিওয়ারার কর্মীদের মধ্যে পাঁচজন কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং দুজন হিন্দিভাষী দোভাষী ছিলেন। তারা প্রথমে গিয়ানি প্রীতম সিং এর সাথে যোগাযোগ করে। প্রীতম সিং এধরনের একটি সংগঠনেরই নেতা ছিলেন। তিনি এবং মেজর ফুজিওয়ারা, যুদ্ধবন্দী ভারতীয় সৈন্যদের নিয়ে একটি ভারতীয় সেনাবাহিনী গঠন করতে মোহন সিং কে অনুরোধ করেন। মোহন সিং শুরুতে ইতস্তত করলেও শেষ পর্যন্ত সম্মত হন। ফুজিওয়ারা তার কাছে আত্মসমর্পণকারী প্রায় ৪০,০০০ ভারতীয় সৈন্যকে মোহন সিং এর কাছে হস্তান্তর করেন। এটি ছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ গঠনের প্রাথমিক পদক্ষেপ। আজাদ হিন্দ ফৌজ যদিও প্রীতম সিং উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন, তবে মূলত ফুজিওয়ারাই আন্তরিকতার সঙ্গে মোহন সিং কে ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর শপথ ভঙ্গ করে ভারতের স্বাধীনতার বৃহত্তর উদ্দেশ্যে অর্জনের লক্ষ্যে জাপানি মিশনের সাথে একত্রিত হতে রাজি করান। তাকে এই প্রতিশ্রুতিও দেওয়া হয় যে তাকে যুদ্ধ বন্দী নয় বরং মিত্র এবং বন্ধু হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে, জাপানি কমান্ডিং জেনারেল সঙ্গে সাক্ষাতের পর, সিং একটি সশস্ত্র ভারতীয় ইউনিট গঠনের সম্ভাব্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হন। মোহন সিং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ভারতীয়দের সাথে যোগাযোগ শুরু করেন এবং মালয়ে জাপানিদের হাতে বন্দীদের মধ্যে থেকে নিয়োগ শুরু করেন। সকল ভারতীয় যুদ্ধবন্দীদের তার অধীনে নিয়োগ দেওয়া হয় এবং তাকে মালয় এর আলোর সেতার শহরে শৃঙ্খলা রক্ষা করতে বলা হয়। এই নিউক্লিয়াস থেকেই পরবর্তীতে আজাদ হিন্দ ফৌজ এর জন্ম হয়। ১৯৪২ সালের ১১ জানুয়ারি কুয়ালালামপুর এবং ১৫ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুরের পতন ঘটে। কুয়ালালামপুরে ৩৫০০ ভারতীয় যুদ্ধবন্দী এবং সিঙ্গাপুরে ৮৫,০০০ ব্রিটিশ সৈন্য বন্দী হয় যাদের মধ্যে ৪৫০০০ ছিল ভারতীয় । মোহন সিং, ব্রিটিশ শাসন থেকে ভারতের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের উদ্দেশ্যে গঠনকৃত ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীতে যোগদানের জন্য স্বেচ্ছাসেবক আহ্বান করেন। পরবর্তীতে আজাদ হিন্দ ফৌজ বা স্বাধীন ভারতের জাতীয় সেনাবাহিনী নাম পাওয়া এই বাহিনী গঠনে বিপুল সংখ্যক মানুষ এগিয়ে আসেন। ১৯৪২ সালের ১ সেপ্টেম্বর অবধি এই বাহিনী অস্তিত্বশীল হয়, যতদিনে এর সদস্য সংখ্যা ৪০,০০০ এ পৌঁছায়। এর জেনারেল মনোনীত হন মোহন সিং। ইতোমধ্যে ১৯৪২ সালের ১৫-২৩ জুন ব্যাংককে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে ভারতীয় বিপ্লবী রাসবিহারী বসুর নেতৃত্বে গঠিত ভারতীয় স্বাধীনতা লীগের উদ্বোধন হয়। ওই সম্মেলনে পাশ হওয়া ৩৫টি প্রস্তাবের একটির মাধ্যমে মোহন সিং কে "ভারতের স্বাধীনতা বাহিনী" তথা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী এর কমান্ডার-ইন-চিফ নিযুক্ত করা হয়। জাপানের সঙ্গে মতানৈক্য যদিও মোহন সিং ফুজিওয়ারা কিকানের সদস্যদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন, তবে শীঘ্রই তিনি জাপানি সেনাবাহিনীর সদর দপ্তরের উদ্দ্যেশ্য সম্পর্কে সন্দিহান হতে শুরু করেন। তাদের আদেশ দেখে তার মনে হয় যেন তারা ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনীকে শুধুমাত্র জাপানি সেনাবাহিনীর একটি অংশ হিসেবে ব্যবহার করতে চায় এবং ইচ্ছাকৃতভাবে একটি স্বাধীন সেনাবাহিনী হিসেবে এর স্বীকৃতি এবং ঘোষণা সংযত করতে শুরু করে। জাপানি সেনাবাহিনীর কয়েকজন উচ্চ কমান্ডারের সাথে তার মতানৈক্য ঘটে। ১৯৪২ সালের ২৯ ডিসেম্বর মোহন সিংকে তার কমান্ড থেকে সরিয়ে জাপানি সামরিক পুলিশ হেফাজতে নেয়। ১৯৪৩ সালের জুন মাসে জার্মানি থেকে আরেক ভারতীয় রাজনৈতিক নেতা সুভাষচন্দ্র বসুর আগমনের পরই কেবল ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী, আজাদ হিন্দ ফৌজ রূপে পুনরুজ্জীবিত হয়। তবে, মোহন সিং কে এই বাহিনীতে পুনর্বহাল করা হয়নি। জাপানের পরাজয়ের পর, মোহন সিং কে ব্রিটিশরা আটক করে এবং বিচারের মুখোমুখি করা জন্য ভারতে ফেরত পাঠায়। তবে, এই বিচারের বিরুদ্ধে জনগণের চাপের কারণে মোহন সিং কে শুধুমাত্র সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১৯৪৭ পরবর্তী ১৯৪৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার মাধ্যমে সিং রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতার স্বপ্ন পূরণ হয়, কিন্তু এর সাথে ভারত বিভাজনও ঘটে। নব্য গঠিত পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় তার ভিটা ত্যাগ করে গৃহহীন উদ্বাস্তু হিসেবে তাকে ভারতে চলে যেতে হয়। তাকে লুধিয়ানার কাছে জুগিয়ানা গ্রামে কিছু জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়, যেখানে তিনি স্থায়ী বসতি স্থাপন করেন। পাঞ্জাবে বিধায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনের পর তিনি দুই মেয়াদের জন্য ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। সংসদের ভেতরে ও বাইরে তিনি জাতির স্বাধীনতার স্বার্থে লড়াইকারী আজাদ হিন্দ ফৌজের সদস্যদের "মুক্তিযোদ্ধা" হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সংগ্রাম করেন। মৃত্যু মোহন সিং ১৯৮৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর পাঞ্জাবের জুগিয়ানায় মৃত্যুবরণ করেন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯০৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৯৮৯-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় জাতীয় সেনাবাহিনী কর্মী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় বিপ্লবী বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাব, ভারতের রাজ্যসভা সদস্য বিষয়শ্রেণী:দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের রাজনৈতিক নেতা বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় জেনারেল বিষয়শ্রেণী:দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান কর্তৃক ধৃত যুদ্ধবন্দী বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবি ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় শিখ
মোহন সিং (জেনারেল)
আরমান আজিজ (জন্ম: ১০ মে ১৯৮৪; আরমান আজিজ নামে সুপরিচিত) হলেন একজন বাংলাদেশী সাবেক পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড় এবং ম্যানেজার। তিনি তার খেলোয়াড়ি জীবনের অধিকাংশ সময় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা মোহামেডান এবং বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে একজন মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। তিনি মূলত একজন কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছেন। বাংলাদেশী ফুটবল ক্লাব বাকলিয়া একাদশের যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে আজিজ ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছিলেন এবং পরবর্তীকালে ফকিরেরপুলের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছিলেন। ২০০৩–০৪ মৌসুমে, বাংলাদেশী ক্লাব মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন, যেখানে তিনি ২ মৌসুম অতিবাহিত করেছিলেন। মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হয়ে তিনি ১ বার বাংলাদেশ ফেডারেশন কাপ শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। অতঃপর ২০০৫–০৬ মৌসুমে তিনি ঢাকা মোহামেডানে যোগদান করেছিলেন। ঢাকা মোহামেডানে মাত্র ১ মৌসুম অতিবাহিত করার পর তিনি পুনরায় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি ঢাকা মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ এবং ঢাকা আবাহনীর হয়ে খেলেছিলেন। ঢাকা মোহামেডানের হয়ে ২য় বার খেলার সময় তিনি সর্বাধিক সফলতা অর্জন করেন, যেখানে তিনি ৩টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন। সর্বশেষ ২০১৬–১৭ মৌসুমে, তিনি ঢাকা আবাহনী হতে বাংলাদেশী ক্লাব চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগদান করেছিলেন; চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে মাত্র ১ মৌসুম খেলার পর তিনি অবসর গ্রহণ করেছিলেন। ২০০৫ সালে, আজিজ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। তিনি একই বছরে বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন; বাংলাদেশের জার্সি গায়ে তিনি সর্বমোট ১৯ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি বাংলাদেশের হয়ে সর্বমোট ২টি এএফসি এশিয়ান কাপে (২০০৭ এবং ২০১১) অংশগ্রহণ করেছিলেন। দলগতভাবে, আজিজ সর্বমোট ৫টি শিরোপা জয়লাভ করেছিলেন, যার মধ্যে ১টি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের হয়ে, ৩টি ঢাকা মোহামেডানের হয়ে এবং ১টি চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে জয়লাভ করেছিলেন। প্রারম্ভিক জীবন আরমান আজিজ ১৯৮৪ সালের ১০ই মে তারিখে বাংলাদেশের চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন। ক্লাব ফুটবল আজিজ ২০০৩ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র হয়ে খেলার মাধ্যমে জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছিলেন। তিনি দেশের শীর্ষ দুটি দল ঢাকা আবাহনী এবং ঢাকা মোহামেডানের হয়ে খেলেছিলেন। ঢাকা মোহামেডান তার অধিনায়কত্বে চারটি শিরোপা জয়লাভ করেছিল। ২০১৬ সালে তিনি চট্টগ্রাম আবাহনীতে যোগ দেন। ২০১৭ সালের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে শেখ কামাল ইন্টারন্যাশনাল ক্লাব কাপ ম্যাচে ঢাকা মোহামেডানের বিপক্ষে চট্টগ্রাম আবাহনীর হয়ে খেলার পর ২০১৭ সালের ২২শে ফেব্রুয়ারি তারিখে ফুটবল থেকে অবসর ঘোষণা করেন। আন্তর্জাতিক ফুটবল ২০০৫ সালের ১০ই ডিসেম্বর তারিখে, মাত্র ২১ বছর ৭ মাস ১ দিন বয়সে, আজিজ নেপালের বিরুদ্ধে ২০০৫ সাফ গোল্ড কাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক করেছিলেন। উক্ত ম্যাচের ৮৯তম মিনিটে আক্রমণভাগের খেলোয়াড় আরিফুল কবির ফরহাদের বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেছিলেন। বাংলাদেশের হয়ে অভিষেকের বছরে আজিজ সর্বমোট ৪ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০০৯ সালের ৬ই ডিসেম্বর তারিখে আজিজ প্রায় ২৬ বছর বয়সে বাংলাদেশের তার সর্বশেষ ম্যাচটি খেলে আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন। বাংলাদেশের ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে উক্ত ম্যাচটি ০–০ গোলে ড্র হয়েছিল, ম্যাচটিতে তিনি ৩২ মিনিট খেলেছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে, তার ৪ বছরের খেলোয়াড়ি জীবনে তিনি সর্বমোট ২৯ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন। অবসর নেওয়ার পর তিনি নিজেকে ফুটবলের সাথে অন্য এক ভূমিকায় জড়িয়ে রেখেছেন। ২০১৮ সালে, তিনি সাইফের যুব দলের দলনেতা হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে অক্টোবর মাসে, তিনি তার পুরনো দল চট্টগ্রাম আবাহনীতে ব্যবস্থাপক হিসেবে যোগদান করেন। পরিসংখ্যান আন্তর্জাতিক অর্জন ক্লাব মুক্তিযোদ্ধা সংসদ বাংলাদেশ ফেডারেশন কাপ : ২০০৩ ঢাকা মোহামেডান বাংলাদেশ সুপার কাপ: ২০০৯ বাংলাদেশ ফেডারেশন কাপ: ২০০৮, ২০০৯ চট্টগ্রাম আবাহনী বাংলাদেশ স্বাধীনতা কাপ: ২০১৬ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৮৪-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:ফুটবল মধ্যমাঠের খেলোয়াড় বিষয়শ্রেণী:মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্রের ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের (ঢাকা) ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:আবাহনী লিমিটেডের (ঢাকা) ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:আবাহনী লিমিটেডের (চট্টগ্রাম) ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ফুটবলার বিষয়শ্রেণী:এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশের প্রতিযোগী
আরমান আজিজ
বট্রিয়োকক্কাস' সবুজ শেওলা এর একটি গণ। কোষগুলি একটি অনিয়মিত আকারের সমষ্টি গঠন করে। পাতলা তন্তু কোষগুলোকে সংযুক্ত করে। কোষের দেহ ডিম্বাকৃতি, ৬ থেকে ১০ মিমি দীর্ঘ এবং ৩ থেকে ৬ মিমি প্রশস্ত। বর্ণনা কোষের উপনিবেশগুলো অনিয়মিত ভাঁজ শ্লেষ্মায় কোষগুলি সাজিয়ে তোলে। কোষগুলি গোলাকার বা ডিম্বাকৃতি, একক পাইরেণয়েডের সাথে ক্লোরোপ্লাস্ট নেট-এর মতো। সর্বাধিক বিশিষ্ট সদস্য হ'ল বট্রিয়োকক্কাস ব্রুনিই । অন্যান্য প্রজাতি: বি.প্রোটুবেন্স ওয়েস্ট এবং জিএসএস ওয়েস্ট। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ট্রেবৌসিওফিসিয়া জেনার
বট্রিকক্কাস
আতা-উর-রেহমান (; জন্ম: ২৮ মার্চ, ১৯৭৫) পাঞ্জাবের লাহোর এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে অ্যালাইড ব্যাংক লিমিটেড, লাহোর ও পাকিস্তান অটোমোবাইলস কর্পোরেশন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে মাঝারিসারিতে ব্যাটিং করতেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ১৯৯০-৯১ মৌসুম থেকে ২০০২-০৩ মৌসুম পর্যন্ত আতা-উর-রেহমানের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী ও শক্ত-মজবুত গড়নের অধিকারী আতা-উর-রেহমান যথার্থ ডানহাতি ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। চমৎকারভাবে বলের উপর নিয়ন্ত্রণ রেখে নিখুঁত নিশানা বরাবর বোলিং করতেন ও পুরনো বলেও বেশ বাঁক খাওয়াতে পারতেন। সীমিত ওভারের খেলায় মাঝারিসারিতে মারকূটে ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তেরোটি টেস্ট ও ত্রিশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন আতা-উর-রেহমান। ৪ জুন, ১৯৯২ তারিখে বার্মিংহামে স্বাগতিক ইংল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ৮ আগস্ট, ১৯৯৬ তারিখে লিডসে একই দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। পাকিস্তানের নতুন প্রজন্মের পেস বোলিং আক্রমণে আতা-উর-রেহমানের উদ্ভব ঘটে। ওয়াসিম-ওয়াকার জুটিকে আরো শক্তিশালী ও সহায়তাকরণে তাকে দলে যুক্ত করা হয়। ১৭ বছর বয়সে ১৯৯২ সালে ওয়াসিম ও ওয়াকারের দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলীর মাঝেও প্রথম খেলাতেই নিজেকে তুলে ধরতে সমর্থ হন। এছাড়াও, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও নিউজিল্যান্ডে পরবর্তী সফরেও তাকে দলে রাখা হয়েছিল। ১৯৯২ সালে ১৭ বছর বয়সে পাকিস্তানের পক্ষে ইংল্যান্ড সফরে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়। ৩১ আগস্ট, ১৯৯৬ তারিখে এজবাস্টনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের সদস্যরূপে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নিয়েছিলেন। নিষেধাজ্ঞা লাভ ১৯৯৮ সালে তিনি দাবী করেন যে, মার্চ, ১৯৯৪ সালে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে একদিনের খেলায় বাজে ধরনের বোলিংয়ের কারণে ওয়াসিম আকরাম তাকে ১,০০,০০০ পাকিস্তানি রূপী প্রদান করেছেন। পাতানো খেলার তদন্তে নিয়োজিত বিচারপতি মালিক কাইয়ুম কমিশনের কাছে শুরুতে তিনি ওয়াসিম আকরামের বিপক্ষে কোন ধরনের অভিযোগের বিষয়ের ব্যাপারে অস্বীকার করেন। তবে, প্রতিবেদন লেখাকালে তিনি তার গল্প পরিবর্তন করেন ও পূর্বেকার বক্তব্যের দিকে নিয়ে যান। ইংল্যান্ডে তিনি ওয়াসিম আকরামের সাথে স্বাক্ষাৎ করেন ও এক পর্যায়ে হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি তার গল্প পরিবর্তন করেন ও লন্ডনে দ্বিতীয়বার স্বাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও, তিনি বলেন যে, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি খালিদ মাহমুদ তাকে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করে নেয়ার কথা বলেছিলেন। এক পর্যায়ে আতা-উর-রেহমান ওয়াসিম আকরামের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন ও মন্তব্য করেন যে, পাতানো খেলার অভিযোগটি ভিত্তিহীন ছিল। ফলশ্রুতিতে, কাইয়ুম কমিশন থেকে আতা-উর-রেহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা হলফনামার অভিযোগ আনে ও ২০০০ সালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধতার প্রস্তাব করে। ওয়াসিম আকরামের বিপক্ষে উপযুক্ত প্রমাণাদি দাখিল না করার বিষয়টি অপ্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ায়, কেননা তিনি মিথ্যা শপথ প্রদান করেছেন। কিছু প্রতিবেদনে মন্তব্য করা হয় যে, আতা-উর-রেহমান ও সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়ক সেলিম মালিকের উপর তেমন প্রভাব ফেলেনি। ১৯৯৬ সাল থেকে আতা-উর-রেহমান আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলছেন না ও সেলিম মালিকের বয়স তখন ৩৭ বছর ছিল। পরবর্তীকালে কাইয়ুম মন্তব্য করেছেন যে, সাবেক পাকিস্তানি অধিনায়কের উপর শাস্তি আরোপের বিষয়ে নমনীয়তার বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করেছিল। ব্যক্তিগত জীবন ২০০৪ সালে লাহোরে ক্রীড়া সরঞ্জাম বিক্রয়াদির প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন। নভেম্বর, ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) থেকে আতা-উর-রেহমানের উপর থেকে আরোপিত আজীবন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়। ২০০৭ সালে ডার্বিশায়ারের পক্ষে দ্বিতীয় একাদশ চ্যাম্পিয়নশীপের চারটি খেলায় অংশ নেন। এ সময়ে তিনি কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। ২০০৯ সালে চেশায়ার কাউন্টি ক্রিকেট লীগে উইডনেসের পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, ২০১০ সালে হেম হেল্থ ফরসুকের প্রতিনিধিত্ব করেন। এ সময়েও তাকে রান সংগ্রহে তৎপরতাসহ বেশ উইকেট লাভ করেন। ১১ জুন, ২০১৩ সালে নটিংহ্যামশায়ার প্রিমিয়ার লীগের দল ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্যাভেলিয়াসের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। মার্চ, ২০১৪ সালে ল্যাঙ্কাশায়ারভিত্তিক বোল্টন ক্রিকেট লীগে কিয়ার্সলি ক্রিকেট ক্লাবে যোগ দেন। কয়েক বছর পূর্বে এ ক্লাবে পেশাদারী পর্যায়ে খেলেছিলেন তিনি। তথ্যসূত্র আরও দেখুন মাসুদ আনোয়ার পারভেজ সাজ্জাদ পাকিস্তানি টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা পাকিস্তানি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৭৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:১৯৯৬ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:অ্যালাইড ব্যাংক লিমিটেডের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:দুর্নীতির অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান অটোমোবাইলস কর্পোরেশনের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:লাহোর সিটির ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:লাহোর থেকে আগত ক্রিকেটার
আতা-উর-রেহমান
পুনর্নির্দেশ অক্সালোসাকসিনিক অ্যাসিড
Oxalosuccinic acid
নাট্যধর্মী টিভি ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার হল হলিউড ফরেন প্রেস অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক পুরস্কার, যা নাট্যধর্মী টেলিভিশন ধারাবাহিকের সেরা অভিনেতাদের প্রদান করা হয়। ১৯৬২ সালের ৫ই মার্চ ১৯তম গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার আয়োজনে "শ্রেষ্ঠ টিভি তারকা - পুরুষ" নামে প্রথম এই পুরস্কার প্রদান করা হয় এবং প্রথমবার এই পুরস্কার অর্জন করেন জন চার্লস ড্যালি ও বব নিউহার্ট। ১৯৬৯ সালে এটি "শ্রেষ্ঠ টিভি অভিনয়শিল্পী - নাট্য" নামে প্রদান করা হয়, এবং ১৯৮০ সাল থেকে বর্তমান নামে এই পুরস্কার প্রদান করা হচ্ছে। ১৯৬৩ সাল থেকে প্রতি বছর মনোনয়ন গ্রহীতাদের নাম ঘোষণা করা হয়। এড অ্যাসনার, জন ফরসিথ, জন হ্যাম, হিউ লরি ও টেলি স্যাভালাস সর্বাধিক দুবার করে এই পুরস্কার অর্জন করেন। পিটার ফক ও টম সেলেক সর্বোচ্চ সাতবার এই পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। বর্তমান বিজয়ী ব্রায়ান কক্স সাকসেশন ধারাবাহিকে লোগান রয় চরিত্রে অভিনয় করে এই পুরস্কার অর্জন করেন। একাধিকবার বিজয়ী ২ বার এড অ্যাসনার জন ফরসিথ জন হাম হিউ লরি টেলি সাভালাস আরও দেখুন নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা প্রধান অভিনেতা বিভাগে প্রাইমটাইম এমি পুরস্কার নাট্যধর্মী ধারাবাহিকে সেরা প্রধান অভিনেতা বিভাগে স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড পুরস্কার তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার বিষয়শ্রেণী:সেরা অভিনেতা বিভাগে টেলিভিশন পুরস্কার বিষয়শ্রেণী:প্রতি বৎসর হালনাগাদ করা দরকার এমন নিবন্ধ
নাট্যধর্মী টিভি ধারাবাহিকে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কার
দ্য রেচেড অফ দি আর্থ ( ইংরেজি: The Wretched of the Earth, ) হচ্ছে মনোঃচিকিৎসক ফ্রঁৎস ফানঁ কর্তৃক ১৯৬১ সালে রচিত একটি গ্রন্থ, যেখানে লেখক কোন ব্যক্তি ও জাতির উপর উপনিবেশবাদের অমানবিক (ডিহিউম্যানাইজিং বা অবমানবকারী) প্রভাবগুলো সম্পর্কে একটি মনোরোগমূলক ও মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ প্রদান করেন এবং একজন ব্যক্তি বা জাতিগোষ্ঠীর উপর বিউপনিবেশিয়নের সামাজিক আন্দোলন প্রতিষ্ঠায় অন্তর্নিহিত বিস্তৃত সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক প্রভাবগুলি নিয়ে আলোচনা করেন। ফরাসী ভাষার শিরোনামটি "The Internationale" এর উদ্বোধনী গানের কথা থেকে নেয়া হয়েছে। সারসংক্ষেপ জাতীয়তাবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের সমালোচনার মাধ্যমে, ফানঁ মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যক্তিগত ও সামাজিক দিক নিয়ে একটি আলোচনা উপস্থাপন করেন। স্থানীয়দের ও উপনিবেশকারীদেরকে যথাক্রমে দাস ও প্রভূর ভূমিকায় শিক্ষিত করা ও মানসিক ছাঁচ নির্মাণের জন্য কিভাবে ভাষার ব্যবহার (শব্দভাণ্ডার) (যেমন colonizer (ঔপনিবেশিক) এবং colonized (উপনিবেশ)) সাম্রাজ্যবাদী পরিচয় প্রতিষ্ঠায় প্রয়োগ করা হয় তা নিয়ে তিনি এখানে আলোচনা করেছেন, সেই সাথে তিনি বিপ্লবে বুদ্ধিজীবীদের ভূমিকা নিয়েও এখানে আলোচনা করেছেন। ফানঁ প্রস্তাব করেছেন যে, উপনিবেশবাদীদের বহিষ্কার করার কাজে প্রয়োজনীয় শক্তি লাভের জন্য বিপ্লবীদের উচিৎ লুম্পেনপ্রোলেতারিয়েতদের সাহায্য চাওয়া। ঐতিহ্যগত মার্কসবাদী তত্ত্বে, লুম্পেনপ্রোলেতারিয়েতরা হচ্ছে প্রোলেতারিয়েতদের মধ্যকার সর্বনিম্ন, সবচেয়ে লাঞ্ছিত স্তর, বিশেষ করে অপরাধী, বাস্তুহীন ও বেকাররা এই শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত, এদের মধ্যে উপনিবেশবিরোধী বিপ্লবের জন্য প্রয়োজনীয় শ্রেণী চেতনা নেই। ফানঁ ঔপনিবেশিক বিষয়সমূহের উপর লুম্পেনপ্রোলেতারিয়েত শব্দটি প্রয়োগ করেন যারা শিল্প উৎপাদনের সাথে জড়িত নয়, এদের মধ্যে বিশেষভাবে তিনি কৃষক সম্প্রদায়ের উপর জোর দেন, কারণ শহুরে প্রোলেতারিয়েতদের (শ্রমিক শ্রেণী) মত না হয়ে লুম্পেনপ্রোলেতারিয়েতদের মধ্যে ঔপনিবেশিক শাসক শ্রেণীর কর্তৃত্বপূর্ণ ভাবাদর্শ (ডোমিনেন্ট আইডিওলজি) থেকে যথেষ্ট বৌদ্ধিক স্বাধীনতা রয়েছে। এরা সহজেই বুঝতে পারে যে তারা ঔপনিবেশিক স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাস কুও) এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে ও জাতির বিউপনিবেশায়ন ঘটাতে পারে। দ্য রেচড অফ দি আর্থ গ্রন্থের একটি প্রবন্ধ হচ্ছে "অন ন্যাশনাল কালচার" (জাতীয় সংস্কৃতি প্রসঙ্গে), যেখানে ফানঁ প্রতিটি প্রজন্মের জন্য তাদের লক্ষ্য বা মিশন আবিষ্কার করার এবং এর জন্য লড়াই করার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেছেন। "অন ভায়োলেন্স" প্রথম বিভাগের শিরোনাম "On Violence" ("সহিংসতা প্রসঙ্গে")। এটি ঔপনিবেশিক বিশ্ব এবং বিউপনিবেশায়ন (উপনিবেশের ভাঙ্গন) প্রক্রিয়া উভয়ের সাথে সম্পর্কিত সহিংসতার একটি বিস্তারিত ব্যাখ্যা। ফানঁ এই ধারণা দিয়ে শুরু করেন যে, সংজ্ঞা অনুযায়ী ব্যতিক্রম ছাড়া বিউপনিবেশায়ন একটি সহিংস প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার উদ্দেশ্য হচ্ছে শেষ পর্যন্ত মানুষের এক দলের দ্বারা অন্য দলকে প্রতিস্থাপন, এবং যখন এই রূপান্তর সম্পূর্ণ হয় তখনই সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। বিউপনিবেশায়নের এই ধারণাটি ঔপনিবেশিক বিশ্ব সম্পর্কিত ফানঁ এর নির্মাণের উপর ভিত্তি করে দাঁড়িয়ে আছে। তার পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে তিনি উপসংহার টেনেছেন যে, সকল ঔপনিবেশিক কাঠামো আসলে আরোপিত সমাজ যা সেই জাতির জন্য পরিপূরক নয়। তিনি অ্যারিসটোটলীয় যুক্তি ব্যবহার করে বলেন, উপনিবেশ "প্রিন্সিপল অফ রিসিপ্রোকাল এক্সক্লুসিভিটি" অনুসরণ করে। এই উপসংহারের উপর ভিত্তি করে, ফানঁ উপনিবেশায়নের দ্বারা নতুন বসতি স্থাপনকারী শ্রেণী দ্বারা স্থানীয় জনসংখ্যার মূল্যায়নকে অবমানবীয় (ডিহিউম্যানাইজিং) হিসেবে চিহ্নিত করেন। বসতি স্থাপনকারীরা আক্ষরিক অর্থে স্থানীয়দেরকে একই প্রজাতির সদস্য হিসেবে দেখে না। স্থানীয়দেরকে নীতিবোধে অক্ষম হিসেবে ও তাই তাদেরকে পরম অশুভের প্রতিনিধিত্বকারীহিসেবে দেখা হয় (পৃ. ৩২), যেখানে খ্রিস্টীয় বসতি স্থাপনকারীদেরকে শুভশক্তি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি ফানঁর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এটি ঔপনিবেশিক বিশ্বে ঘটা দুটি ঘটনাকে ব্যাখ্যা করে। প্রথমটি হচ্ছে এই ধারণা যে বিউপনিবেশায়ন মানে একটি জনগোষ্ঠীর দ্বারা অন্য জনগোষ্ঠীর প্রতিস্থাপন, এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে এটা যে, যেহেতু স্থানীয়রা জানে যে তারা পশু নয়, তারা অবিলম্বে বসতি স্থাপনকারীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অনুভূতির বিকাশ ঘটায়। ফানঁ উপনিবেশ স্থাপনের যে অস্থায়ী ফলাফলগুলোর কথা বলেন সেগুলোর একটি হচ্ছে স্থানীয়দেরকে তিনটি দলে বিভক্ত হয়ে যাওয়া। এদের প্রথম দলটি হচ্ছে স্থানীয় শ্রমিক, যারা তাদের শ্রমের জন্য বসতি স্থাপনকারীদের কাছে মূল্যবান। দ্বিতীয় দলকে তিনি "ঔপনিবেশিক বুদ্ধিজীবী" (পৃ. ৪৭) বলে অভিহিত করেন। এরা হচ্ছে, পাশ্চাত্য মান অনুযায়ী, স্থানীয়দের দলের অধিকতর শিক্ষিত সদস্য যাদেরকে নানান উপায়ে বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা নিযুক্ত করা হয় তাদের মতামতের মুখপাত্র হবার জন্য। বসতিস্থাপনকারীরা "ঔপনিবেশিক বুদ্ধিজীবীদের মনে এই ধারণাটি স্থাপন করেছেন যে, মানুষ অনেক ভুল করলেও তার কিছু অপরিহার্য গুণাবলি আছে যা শাশ্বত বা চিরস্থায়ী: অবশ্যই, এই অপরিহার্য গুণাবলি হচ্ছে পাশ্চাত্যের অপরিহার্য গুণাবলি" (পৃ ৩৬); এই বুদ্ধিজীবীরা বসতীস্থাপনকারী বা স্থানীয় সকলেরই বিরুদ্ধে গিয়ে "গ্রেকো-ল্যাটিন স্তম্ভমূলকে রক্ষা করতে সদাপ্রস্তুত" (পৃ ৩৬)। ফানঁ দ্বারা বর্ণিত তৃতীয় দলটি হচ্ছে লুম্পেনপ্রোলেতারিয়েত। এই দলটিকে মার্কসবাদে দরিদ্রতম শ্রেণী হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে; এই শ্রেণীর সম্পদের পরিমাণ এতই কম যে তারা সমাজব্যবস্থার বাইরে অবস্থান করে। এই দলটিকে প্রায়ই মার্কসবাদীরা ধর্তব্য থেকে বাদ দিয়ে দেন কারণ তারা শ্রমিকদের সংগঠিত করতে সাহায্য করতে অক্ষম, কিন্তু ফানঁ তাদের ভিন্নভাবে দেখেন। তার জন্য, লুম্পেনপ্রোলেতারিয়েতরাই সবার প্রথমে বসতি স্থাপনকারীদের (পৃ. ৪৭) বিরুদ্ধে সহিংসতার বহিঃপ্রকাশ ঘটাবে। ফানঁ বলছেন, স্থানীয়রা তাদের আগ্রাসীভাব ধরে রাখে তাদের ভয়ংকর পৌরাণিক কাহিনীসমূহের মধ্য দিয়ে, যেই পৌরাণিক কাহিনীগুলো প্রায়ই অনুন্নত সমাজে পাওয়া যায় (পৃ ৪৩)। স্থানীয়দের এই বৈশিষ্ট্যটি তিনি পেয়েছেন ফ্রান্সে তার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা থেকে। একবার বিপ্লবের ধারণা স্থানীয়দের দ্বারা গৃহীত হয়ে যাবার পর কোন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এটি বিপ্লব নিয়ে বিতর্ক হয়, এর সমন্বয় ঘটে এবং পরিশেষে এর বাস্তবায়ন হয় সেই ব্যাপারে ফানঁ বর্ণনা করেন। ফানঁর মতে, বিপ্লব শুরু হয় সম্পূর্ণ পদ্ধতিগত পরিবর্তনের ধারণা হিসেবে, এবং বাস্তব বিশ্বে এর প্রকৃত প্রয়োগের মাধ্যমে বিদ্যমান ব্যবস্থার মধ্যে ক্ষমতার সামান্য পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত এটি বিকশিত হতে থাকে। "শান্তিবাদী এবং বৈধতাবাদীরা... স্পষ্টভাবে তাদের দাবি প্রকাশ করেন... "আমাদের আরও ক্ষমতা দিন" (৪৬), কিন্তু "স্থানীয় বুদ্ধিজীবীগণ ঔপনিবেশিক জগতে নিজেকে আত্তীকৃত করার ইচ্ছায় তাদের আগ্রাসী মনোভাবকে চাদরে ঢেকে রাখে" (৪৭)। ঔপনিবেশিক বুর্জোয়ারা অহিংসা প্রস্তাব করে এবং তারপর বিউপনিবেশায়নের সহিংসতা থেকে বেরিয়ে আসার আরও উপায় হিসেবে আপোষ করে; এগুলোও আন্দোলনকে ভোঁতা করে এবং এর অবনতি ঘটায়। এর একটি উদাহরণ হচ্ছে নতুন স্বাধীন গ্যাবন প্রজাতন্ত্র যা ১৯৬০ সালে ফ্রান্স থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এর নতুন রাষ্ট্রপতি লিওঁ এমবা বলেন "গ্যাবন স্বাধীন, কিন্তু গ্যাবন এবং ফ্রান্সের মধ্যে কিছুই বদলায়নি; সবকিছু আগের মতই আছে" (রেচড অফ দি আর্থ-এ উদ্ধৃত, পৃ ৫২)। ফানঁর জন্য এটি বিউপনিবেশায়ন আন্দোলনের একটি নিখুঁত উদাহরণ যা তার নেতাদের দ্বিধাগ্রস্ত ও দুর্বলচেতা নেতাদের দ্বারা দুর্বল হয়েছে। এর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য, "নতুন স্বাধীন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোকে পশ্চিমের (বা পূর্ব) ক্ষয়প্রাপ্ত সমাজের অনুকরণ না করার আহ্বান জানানো হয়েছে, বরং একটি নতুন পথ নির্ধারণ করতে বলা হয়েছে যা মানবসম্পর্ক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ককে নির্ধারণ করবে" (ফেয়ারচাইল্ড, ২০১০, পৃ ১৯৪)। এই প্রবন্ধে ফ্যানন সহিংসতার অনেক দিক বর্ণনা করেছেন এবং পূর্ণাঙ্গ বিউপনিবেশায়নের জন্য প্রয়োজনীয় সহিংসতার প্রতিক্রিয়া বর্ণনা করেছেন। তিনি এই সহিংসতার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে সাবধানতাও প্রস্তাব করেছেন। "অন ন্যাশনাল কালচার" সারসংক্ষেপ দ্য রেচড অফ দ্য আর্থ-এ প্রকাশিত "অন ন্যাশনাল কালচার" প্রবন্ধে, ফানঁ কিভাবে পূর্ববর্তী সংস্কৃতি থেকে একটি জাতীয় সংস্কৃতির জন্ম হতে পারে তা সঙ্গায়িত করেছেন, এবং ১৯৬১ সালে যখন এটি প্রকাশিত হয় তখন এই তার লেখাগুলো আফ্রিকার তখনও পর্যন্ত উপনিবেশায়িত জাতিগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য ছিল। আর এই জাতীয় সংস্কৃতি তৈরির ক্ষেত্রে তিনি মনে করেন না যে প্রাচ্যায়িত (orientalized) ও ফেটিশায়িত উপনিবেশ-পূর্ব ইতিহাসের ভিত্তিতে এই জাতীয় সংস্কৃতি তৈরি হওয়া উচিৎ, বরং জাতীয় সংস্কৃতি তৈরি হওয়া উচিৎ ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের বস্তুগত প্রতিরোধের ভিত্তিতে। ফানঁ তার প্রবন্ধটিকে সেই সব লোকেদের সাপেক্ষে লিখেছিলেন যাদেরকে তিনি "উপনিবেশায়িত বুদ্ধিজীবী" ("colonized intellectual") বলে অভিহিত করেন। উপনিবেশ-পূর্ব ইতিহাসে প্রত্যাবর্তন ফানঁ বলছেন, ঔপনিবেশিকগণ উপনিবেশ-পূর্ব ইতিহাসকে এমনভাবে লিখতে চান যাতে উপনিবেশ-পূর্ব যুগের সংস্কৃতিকে "অসভ্য, বর্বর, অবক্ষয়িত" হিসেবে তুলা ধরা হয়, এই কাজ তারা করেন পাশ্চাত্য সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্বকে ন্যায়সঙ্গত হিসেবে প্রমাণিত করার জন্য। আর এই ঔপনিবেশিক শ্রেষ্ঠত্বকে বিপর্যস্ত করার জন্য উপনিবেশায়িত বুদ্ধিজীবীগণ সেই তথাকথিত "অসভ্য" সংস্কৃতিতে ফিরে যাওয়ার তাড়না বোধ করে, যাতে তারা পাশ্চাত্যের সাপেক্ষে সেই সংস্কৃতির মূল্য ও অস্তিত্বকে প্রমাণ করতে পারে। ফানঁ বলছেন, উপনিবেশায়িত বুদ্ধিজীবীগণ প্রায়ই সাধারণ আফ্রিকান বা 'নিগ্রো' সংস্কৃতির অস্তিত্ব প্রমাণ করবার ফাঁদে পা দেয়। কিন্তু এটা একটা ডেড এন্ড, কারণ ঔপনিবেশিকরাই প্রথমে আফ্রিকার সকল লোককে 'নিগ্রো' বলে সারকৃত (essentialized) করেছেন, আর এটা করতে গিয়ে তারা আফ্রিকার মধ্যেই যে ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় সংস্কৃতি ও ইতিহাস ছিল তাকে বিবেচনায় আনেনি। এই পয়েন্টটাকেই ফানঁ নেগ্রিচুড আন্দোলনের একটি সীমাবদ্ধতা হিসেবে দেখেছিলেন। তিনি বলছেন, "নিগ্রো" এর ঔপনিবেশিক শ্রেণীবদ্ধকরণের উপর ভিত্তি করে মহাদেশীয় পরিচয় গ্রহণ করার ক্ষেত্রে যে লোকটি এই পরিচয়কে ধারণ করে নেয় সে বুঝতে পারে প্রত্যেক সংস্কৃতিই সর্বাগ্রে জাতীয় সংস্কৃতি। ফানঁর মতে তা উপনিবেশায়িত বুদ্ধিজীবীদের জাতির উপনিবেশপূর্ব সংস্কৃতিতে ফিরে যাওয়া চূড়ান্ত রকমের অকার্যকরী উপায়। এই বুদ্ধিজীবীরা সংস্কৃতির বদলে ঐতিহ্য, রীতিনীতি ও ক্লিশেতে (cliché) মনোনিবেশ করে, ঔপনিবেশিকরা যেভাবে ইতিহাসকে রোমান্টিকায়িত করে, এরাও ঠিক সেভাবেই ইতিহাসকে রোমান্টিকায়িত করে। ফানঁ বলছেন, জাতির উপনিবেশপূর্ব ইতিহাসের পুনর্বিবেচনার ফলে যদি প্রাচ্যায়িত ক্লিশে তৈরি হয়ও তাও এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোর নেয়, কারণ ঔপনিবেশিক চিন্তার স্বাভাবিকীকৃত ইউরোকেন্দ্রিকতাকে ত্যাগের মাধ্যমে এই বুদ্ধিজীবীরা বৃহত্তর ঔপনিবেশিক উদ্যোগের একটি "আমূল নিন্দা" ("radical condemnation") প্রদান করে। এই আমূল নিন্দা তার পুর্ণ অর্থ লাভ করে যখন আমরা বিবেচনা করি "উপনিবেশায়নের চূড়ান্ত লক্ষ্য ছিল আদিবাসী জনগোষ্ঠিকে অন্ধকার থেকে আলোকিত করা" ফ্যাননের মতে, আদিবাসী জনগোষ্ঠীর মধ্যে ঔপনিবেশিক শাসনের মুখে লাগাতার জাতীয় ঐতিহ্যকে প্রত্যাখ্যান করা জাতিসত্তারই প্রকাশ, কিন্তু যে লোক জাতির অতীতের কোন স্থির ধারণা ধরে নিয়ে বসে থাকে সে মৃতদেহ ছাড়া আর কিছুই না। জাতীয় সংস্কৃতির স্থান হিসাবে সংগ্রাম শেষে ফানঁ বলেন, উপনিবেশায়িত বুদ্ধিজীবীদেরকে বুঝতে হবে যে জাতীয় সংস্কৃতি কোন ঐতিহাসিক বাস্তবতা নয় যাকে উপনিবেশপূর্ব ইতিহাসে ফিরে যাবার মাধ্যমে পুনরাবিষ্কার করতে হবে, বরং এই জাতীয় সংস্কৃতি ইতিমধ্যেই আমাদের বর্তমান জাতীয় বাস্তবতার মধ্যে বিদ্যমান। এভাবে ফানঁর বিশ্লেষণে জাতীয় সংগ্রাম ও জাতীয় সংস্কৃতি একে অপরের সাথে ঘনিষ্টভাবে সম্পর্কিত। জাতীয় মুক্তির জন্য সংগ্রাম হচ্ছে সেই ভূখণ্ডের জন্য সংগ্রাম যেখানে সংস্কৃতির বিকাশ ঘটতে পারে, কেননা ফানঁর মতে ঔপনিবেশিক নিয়ন্ত্রণাধীন অবস্থায় কখনই একটি জাতীয় সংস্কৃতির অস্তিত্ব থাকতে পারেনা। ফানঁর মতে উপনিবেশায়িত বুদ্ধিজীবীরা তখনই একটি গুরুত্বপূর্ণ মোর নেয় যখন তারা তাদের কাজে শোষকদের নির্দেশ করার বদলে তাদের নিজেদের লোকেদের নির্দেশ করা শুরু করে। ফানঁ এধরনের কাজকে বলতেন "যুদ্ধ সাহিত্য" ("Combat literature"), কারণ এরকম রচনায় মানুষকে ঔপনিবেশিক শোষকদের বিরুদ্ধে সংগ্রামের আহ্বান করা হয়। উপনিবেশায়িত জাতির কবি, মৃৎশিল্প, সিরামিক ও গল্পকথনের মতো সকল রকমের শৈল্পিক প্রকাশেই এই পরিবর্তন দেখা যায় ফানঁ উদাহরণ হিসেবে আলজেরিয়ার গল্পকথন শিল্পের দিকে ইঙ্গিত করেন, সেখানে গল্পকথকরা তাদের গল্পের বিষয় বদলে ফেলেছে, আগে যেখানে তারা ঐতিহ্যগত গল্প শোনাতো, সেখানে এখন তাদের গল্পে ফরাসী ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে সংগ্রাম ফুটে ওঠে। তিনি আমেরিকার বেবপ জাজ আন্দোলনকেও একই রকম মোর বলে মনে করেন, কারণ এই আন্দোলনে কৃষ্ণাঙ্গ জাজ সঙ্গীতশিল্পীগণ তাদের নিজেদের ওপর থেকে দক্ষিণাঞ্চলীয় শ্বেতাঙ্গ কল্পনায়নকে ঝেড়ে ফেলেছে। তিনি বলেন, আগে আফ্রিকান-আমেরিকান জাজ সংগীতশিল্পীদের নিয়ে প্রচলিত ধারণা এমন ছিল যে, জাজ মিউজিশিয়ান কথাটা শুনলেই মনে হতো "একজন বৃদ্ধ মদ্যপ 'নিগ্রো' তার দুর্ভাগ্য নিয়ে বিলাপ করছে" ("an old 'Negro', five whiskeys under his belt, bemoaning his misfortune"), সেখানে বেবপ সংগীত হলো শক্তি ও গতিশীলতায় ভরপুর, এবং এটি সাধারণ প্রচলিত বর্ণবিদ্বেষী ধারণাকে প্রতিহত করেছে। ফানঁর কাছে, জাতির জন্য সংগ্রামের মধ্যেই জাতীয় সংস্কৃতি নিহিত থাকে, জাতির জন্য সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জীবন যাপ্ন করা, এতে অংশগ্রহণ করার যে নিরবিচ্ছিন্ন বাস্তবতা কাজ করে, সেটাই বিস্তৃত পরিসরের জাতীয় সংস্কৃতির উৎপাদন করে। ফানঁ বলছেন বি-উপনিবেশায়নের প্রকৃত চর্চা বি-উপনিবেশায়নের শিক্ষায়তনিক অনুসরণ নয়, বরং কোন জিনিসটা জাতীয় সংস্কৃতির ভিত্তি তৈরি করে সেটা। একটি আন্তর্জাতিক চেতনার দিকে গমন ফান% কেবল জাতীয় সংস্কৃতির গঠনকেই শেষ কার্য হিসেবে মনে করেননি। তার মতে জাতীয় সংস্কৃতির গঠন হলো বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সংহতির দিকে গমনের একটি ধাপ মাত্র। ঔপনিবেশিয়ানের প্রক্রিয়ায় যে মানুষের উপর একটি অবনত মর্যাদা চাপিয়ে দেয়া হয় জাতীয় সংস্কৃতির জন্য সংগ্রামের ফলে তার ভাঙ্গন ধরে, যার ফলে "জাতীয় চেতনার" ("national consciousness") জন্ম হয়। ফানঁর মতে মানুষের গ্রহণ করা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জন্ম নেয়া এই "জাতীয় চেতনা" জাতীয় সংস্কৃতির উচ্চতর রূপের প্রতিনিধিত্ব করে। এই প্রক্রিয়াটির মাধ্যমে মুক্ত জাতি আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমান খেলোয়াড় হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে, যেখানে একটি আন্তর্জাতিক চেতনা সর্বজনীন মূল্যবোধের একটি সমষ্টির আবিষ্কার ও বিকাশ ঘটাতে পারে। অভ্যর্থনা জঁ পল সার্ত্রে তার "দ্য রেচেড অফ দ্য আর্থ" এর ১৯৬১ সালের সংস্করণের মুখবন্ধে উপনিবেশায়িত লোকেদের মানসিক স্বাস্থ্য ও রাজনৈতিক মুক্তির জন্য ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে সমর্থন করেন। এরপর সার্ত্রে ফ্রান্সের আলজেরীয় উপনিবেশ নিয়ে তার লেখা ১৯৬৪ সালের প্রকাশিত গ্রন্থ "কলোনিয়ালিজম অ্যান্ড নিওকলোনিয়ালিজম"-এ এই ধারণাটির প্রয়োগ করেন। এই ধারণাটির রাজনৈতিক তত্ত্বটি আসছে বইটির প্রথম অধ্যায় "অন ভায়োলেন্স" থেকে যেখানে ফানঁ উপনিবেশবাদ ও এর উত্তর-উপনিবেশবাদী লেগেসিকে অভিযুক্ত করেন, যার জন্য সহিংসতা ঔপনিবেশিক শোষণের একটি ক্যাথারসিস ও মুক্তির উপায়। পরবর্তীতে দ্য রেচড অফ দ্য আর্থ গ্রন্থটির ২০০৪ সালের সংস্করণে হোমি কে. ভাবা সার্ত্রের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন, বলেছেন যে সার্ত্রের বক্তব্য বইটির ব্যাপারে পাঠকের দৃষ্টিভঙ্গিকে সীমাবদ্ধ করে দেয় এবং শোষণের বিরুদ্ধে সহিংশতাকে উৎসাহিত করে। ১৯৬৭ সালের পর ফানপঁ বিধবা পত্নী জোসির দ্বারা বের করা নতুন সংস্করণগুলোয় সার্ত্রের ভূমিকা বাদ দেয়া হয়। ১৯৭৮ সালে হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তার দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি জানান, "আরব দেশগুলোর বিরুদ্ধে যখন ইজরায়েল যুদ্ধঘোষণা করে, তখন পাশ্চাত্যের (ফরাসি) বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে ইজরায়েলের পক্ষে একটি প্রো-জায়োনিস্ট আন্দোলন দেখা যায়। সার্ত্রে সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ইজরায়েলের পক্ষের পিটিশনে সাক্ষর করেছিলেন। আমি অনুভব করেছিলাম, ফানঁর রচনায় প্রো-জায়নিস্ট দৃষ্টিভঙ্গি সমর্থনযোগ্য নয়। অ্যান্টনি এলিয়ট লিখেছেন যে দ্য রেচড অফ আর্থ গ্রন্থটি একটি "সেমিনাল ওয়ার্ক" সংস্কৃতি নিয়ে ফানঁর রচনা মুক্তি সংগ্রাম ও বিউপনিবেশায়নে জাতীয় সংস্কৃতির ভূমিকা নিয়ে সমসাময়িক উত্তর-উপনিবেশবাদী আলোচনাকে ভীষণভাবে অনুপ্রাণিত করেছে। রবার্ট জে.সি. ইয়ং বলছেন, কিভাবে সাংস্কৃতিক পরিচয় তৈরি হচ্ছে বা কি উপায়ে মানুষ তার সাংস্কৃতিক পরিচয় সম্পর্কে কিভাবে অভিজ্ঞতা লাভ করছে - এইসব ব্যাপারে বর্তমান উত্তর-উপনিবেশবাদী রচনাগুলোতে যে আগ্রহ দেখা যায় এক্ষেত্রে ফানঁর আংশিক অবদান রয়েছে। ঔপনিবেশিক শাসনকে দূর করার জন্য সর্বপ্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সংগ্রাম হিসেবে জাতীয় সংস্কৃতিকে দেখা নিয়ে ফানঁর তত্ত্বায়ন ছিল সংস্কৃতির অধিকতর ঐতিহাসিক ও জাতিতাত্ত্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে আমূল বিচ্যুতি। সমালোচনা পোস্টকলোনিয়াল স্টাডিতে কাজ করা কিছু তাত্ত্বিক তাদের লেখায় একটি জাতির প্রতি ফানঁর সমর্থনকে তার রচনার একটি কর্তৃত্ববাদী ও অন্তঃসারবাদী (essentialist) প্রবণতার বহিঃপ্রকাহ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। "অন ন্যাশনাল কালচার" এর জবাবে, ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরাসি ভাষা ও আফ্রিকান আমেরিকান স্টাডিজের অধ্যাপক ক্রিস্টোফার এল মিলার জাতিকে প্রশ্নহীনভাবে উপনিবেশবিরোধী প্রতিরোধের ক্ষেত্র হিসেবে ধরে নেয়ার জন্য ফানঁর সমালোচনা করেন, কেননা আফ্রিকা ফখলের ঔপনিবেশিক লড়াইয়ের (Scramble for Africa) সময়েই আফ্রিকান জনগোষ্ঠীর উপর জাতীয় সীমান্ত আরোপ করা হয়েছিল। মিলারের মতে, ফানঁ আফ্রিকার উপর কৃত্রিম্ভাবে এই জাতীয় সীমানার আরোপনকে ঠিকমত বিবেচনায় আনতে পারেননি বলে আফ্রিকার প্রতিটি রাষ্ট্রের ভাষাগত ও সাংস্কৃতিক পার্থক্যকে এড়িয়ে গেছেন, যার ফলে ফানঁর সার্বিক জাতীয় সংস্কৃতির ধারণাটি হয়েছে সমস্যাযুক্ত। এছাড়া ফানঁ বিশেষ বা স্থানীয় ইতিহাসকে জাতির সার্বজনীন বা বৈশ্বিক সংগ্রামের অধস্তন হিসাবে বিবেচনা করেছেন বলে মিলার তাকে অনেকটাই "উত্তর-জ্ঞানদীপ্তি পাশ্চাত্য চিন্তার" ("post-Enlightenment Western thought") অনুসারী বলে সমালোচনা করেছেন। ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নেইল ল্যাজারাস বলেন, ফানঁর "অন ন্যাশনাল কালচার" গ্রন্থে কৃষকসম্প্রদায়ের ঔপনিবেশিক ক্ষমতা-ব্যবস্থাকে উৎখাৎ করার সংগ্রামে তাদের একীভূত রাজনৈতিক চেতনার ধারণায় প্রয়োজনের চেয়ে অধিক জোর দেয়া হয়েছে। বিশেষত, ল্যাজারাস বলেন যে, ফানঁ যে আলজেরীয় বিপ্লবের উচ্চমাত্রায় জড়িত ছিলেন সেই বিপ্লবের ইতিহাসে "জাতীয় চেতনার" ধারণাটি সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, ৮ বছরের স্বাধীনতা যুদ্ধের পর দেশটি স্বাধীন হবার পর দেশটির জনসংখ্যাকে ব্যাপকমাত্রায় সেনাবাহিনীতে অব্যাহতি দেয়া হয়। ল্যাজারাসের দৃষ্টিতে ফানঁর বিশ্লেষণে যে কৃষক সহিংসতার (peasant militancy) কথা বলা হচ্ছে তা তার তত্ত্বকে সমর্থন করতে পারে, কিন্তু বাস্তবে যে তার অস্তিত্ব ছিলই এমনটা বলা যায়না। হোমি কে. ভাবা গ্রন্থটির ২০০৪ সালের সংস্করণটিতে "অন ন্যাশনাল কালচার"-এ ফানঁর বিশ্লেষণের কিছু কিছু অংশের সমালোচনা করেন। তিনি লেখেন, ফানঁ যে জাতীয় চেতনার কথা বলেছেন তাকে সাংস্কৃতিক একত্ববাদ ও সাংস্কৃতিক পার্থক্য বিলোপনের বিপজ্জনক দাবি হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারে। অবশ্য ভাবা এও বলেন যে ফানঁ দৃষ্টিভঙ্গি কৌশলগত ছিল, এবং ফানোঁ জাতির যে একরূপতার কথা টেনেছেন তাকে তার "সংকীর্ণ জাতীয়তাবাদ" হিসেবে বর্ণনা না করে শীতল যুদ্ধের সময় যে জগতে পুঁজিবাদ বনাম সমাজতন্ত্র বা প্রাচ্য বনাম পাশ্চাত্যের দ্বিত্বতা আরোপ করা হয়েছিল তাকে ভাঙ্গার প্রচেষ্টা হিসেবে বর্ণনা করা উচিৎ। স্ট্র্যাটেজিক এসেনশিয়ালিজম কতিপয় পণ্ডিত ফানঁর জাতীয় সংস্কৃতির ধারণা ও গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাকের স্ট্র্যাটেজিক এসেনশিয়ালিজম বা কৌশলগত অন্তঃসারবাদের সাদৃশ্যের কথা বলেছেন। গায়ত্রী চক্রবর্তী স্পিভাক উত্তর-উপনিবেশবাদী আলোচনায় ৯০ এর দশকে শব্দটির জন্ম দেন। কৌশলগত অন্তঃসারবাদের ধারণাটি একটি গোষ্ঠী বা পরিচয়কে সংজ্ঞায়নের ক্ষেত্রে কোনরকম অন্তঃসারমূলক বৈশিষ্ট্য-সমষ্টি আরোপন অসম্ভব বলে স্বীকার করে, আবার এও স্বীকার করে যে রাজনৈতিক কার্যের জন্য একটি গোষ্ঠী বা পরিচয়কে চালিত করার ক্ষেত্রে কোন না কোন অন্তঃসারবাদ, অর্থাৎ অন্তঃসারমূলক বৈশিষ্ট্য আরোপ করা প্রয়োজন। এই ধারণাটি 'অন ন্যাশনাল কালচার'-এ উল্লিখিত ফানঁর যুক্তিরই প্রতিধ্বনি, কেননা ফানঁর মতে জাতীয় সাংস্কৃতিক পরিচয়ের যেকোন অন্তঃসারবাদ হচ্ছে উপনিবেশবাদের আত্তীকরণকে কাটিয়ে ওঠার, এবং ঔপনিবেশিক ও উপনিবেশায়িত - এর মধ্যকার দ্বিত্ব দূরীভূত হয় এমন আন্তর্জাতিক চেতনার গঠনের কৌশলগত পদক্ষেপ। নেগ্রিচুড আন্দোলনের সাথে সম্পর্ক "অন ন্যাশনাল কালচার" একই সাথে নেগ্রিচুড আন্দোলনের সাথে ফানঁর জটিল ইতিহাসের প্রতিবিম্ব। ফানঁর শিখক এমে সেজ্যার ছিলেন তার কর্মজীবন জুড়ে বুদ্ধিবৃত্তিক প্রেরণা। এই এমে সেজ্যার ছিলেন নেগ্রিচুড আন্দোলনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা। মানবতাবাদকে এর বর্ণবাদী উপাদানগুলো থেকে সরিয়ে নেয়া, প্যান-আফ্রিকানিজমে সমর্থন ইত্যাদি ক্ষেত্রে নেগ্রিচুড আন্দোলনের সাথে ফানঁর চিন্তাধারায় সাদৃশ্য ছিল, কিন্তু "অন ন্যাশনাল কালচার"-এ তিনি নেগ্রিচুড আন্দোলনকে, বিশেষ করে এর ঐতিহাসিক প্রসঙ্গকে সমালোচনা করেন। প্রবন্ধটির শেষ বিভাগটি প্রাথমিকভাবে রোমে সেকেন্ড কংগ্রেস অফ ব্ল্যাক রাইটারস অ্যান্ড আর্টিস্টস এর জন্য বক্তৃতা হিসেবে লেখা হয় "দ্য ইউনিটি অ্যান্ড রিসপন্সিবিলিটিস অফ আফ্রিকান নিগ্রো কালচার" শিরোনামে (১৯৫৯)। কংগ্রেসে যে সমস্যা ও সমাধানগুলো সামনে আনা হতো সেগুলো প্রায়ই এই ধারণার আশেপাশে ঘুরত যে অতীতে এক সময় একটি একীভূত আফ্রিকান সংস্কৃতির অস্তিত্ব ছিল। সম্মেলনে আলিউন ডায়োপ এই আন্দোলনের অন্যতম মূল ব্যক্তিত্ব হিসাবে বক্তব্য রেখেছিলেন যে, নেগ্রিচুড আফ্রিকান ইতিহাসের আফ্রিকান ইতিহাসের উপনিবেশপূর্ব কৃষ্ণাঙ্গ সংস্কৃতিকে পুনঃজাগরিত করতে চায়, কিন্তু তিনি বস্তুগত সংগ্রাম বা জাতীয়তাবাদী আঙ্গিক থেকে কিছুই উল্লেখ করেননি। এদিকে রচনাটি জুড়ে ফানঁ আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে সাংস্কৃতিক পার্থক্য এবং কৃষ্ণাঙ্গ জনগণ যে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তাতে জোর দিয়েছিলেন, যার জন্য জাতীয় মাত্রায় বস্তুগত প্রতিরোধের প্রয়োজন রয়েছে। সম্মেলনে বক্তৃতা দেবার পর সেই লেখাটির সাথে তিনি যে অংশ যোগ করেন তাতে ফানঁ বিশেষভাবে বিশিষ্ট নেগ্রিচুড লেখক ও রাজনীতিবিদ জ্যাক রাবেমানাঞ্জারা ও লিওপোল্ড সেদার সেংঘরের সমালোচনা করেন, যারা কৃষ্ণাঙ্গ সাংস্কৃতিক ঐক্যের আহ্বান করেছিলেন কিন্তু তখনও জাতিসংঘে আলজেরিয়ার স্বাধীনতার দাবির বিরুদ্ধে ছিলেন। তথ্যসূত্র বহিঃস্থ সূত্র Jean-Paul Sartre, Preface to Frantz Fanon’s “Wretched of the Earth” The Wretched of the Earth. Conclusion http://frantz-fanon.webs.com/ ফরাসি এবং ইংরেজি ভাষায় ফানঁর সাক্ষাতকার বিষয়শ্রেণী:রাজনৈতিক বই বিষয়শ্রেণী:মার্কসবাদী বই
দ্য রেচেড অফ দি আর্থ
পুনর্নির্দেশ বকশীগঞ্জ ইউনিয়ন
বকসীগঞ্জ ইউনিয়ন
গ্রিন লাইন কলম্বিয়া জেলা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ডের প্রিন্স জর্জ কাউন্টি বিভাগের ২১ টি স্টেশন নিয়ে গঠিত ওয়াশিংটন মেট্রো ব্যবস্থার একটি দ্রুতগামী গণপরিবহন লাইন। গ্রিন লাইনটি ব্রাঞ্চ অ্যাভিনিউ থেকে গ্রিনবেল্ট পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি মূল মেট্রোরেল নির্মাণের পরিকল্পনার শেষ লাইন ছিল এবং ওয়াশিংটন শহরের মধ্য দিয়ে উত্তর-দক্ষিণে বিস্তৃত তিনটি লাইনের মধ্যে একটি। গ্রিন লাইন এল'ইনফ্যান্ট প্লাজা থেকে গ্রিনবেল্ট পর্যন্ত হলুদ লাইনের সাথে রেল ট্র্যাকগুলি ভাগাভাগি করে। পরিকল্পনা মেট্রোর পরিকল্পনা ১৯৫৫ সালে গণপরিবহন জরিপ দিয়ে শুরু হয়, যা ১৯৮০ সালের জন্য আঞ্চলিকভাবে প্রয়োজনীয় অঞ্চলের চাহিদা মেটাতে ফ্রিওয়ে ও গণপরিবহন ব্যবস্থা উভয়েরই পূর্বাভাস দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ১৯৫৯ সালে, অধ্যয়নের চূড়ান্ত প্রতিবেদনে দুটি দ্রুতগামী গণপরিবহন লাইন অন্তর্ভুক্ত ছিল, যা ওয়াশিংটনের শহরতলির জন্য প্রত্যাশিত ছিল। এই পরিকল্পনাটি কলম্বিয়া জেলার মধ্যে বিস্তীর্ণ ফ্রিওয়ে নির্মাণের কথা জানিয়েছিল, তাই আশঙ্কিত বাসিন্দারা আইনটির পক্ষে তদবির করেন, যার ফলে একটি নতুন পরিবহন সংস্থা তৈরি হয় ও ফ্রিওয়ে নির্মাণ বাঁধা প্রাপ্ত হয়। ন্যাশনাল ক্যাপিটাল ট্রান্সপোর্টেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সংস্থা ১৯৬২ জাতীয় রাজধানী অঞ্চলের পরিবহন প্রতিবেদন জারি করে, এতে গ্রিন লাইন নির্মাণের পথটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। শহরতলীর ৭তম রাস্তার অধীনে ১৯৬৭ সালে একটি কেন্দ্রীয় রুট কেবলমাত্র প্রাথমিকভাবে "অভ্যন্তরীণ শহরে" পরিষেবা পরিবেশন করার জন্য যুক্ত হয়। ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন এরিয়া ট্রানজিট অথরিটি (ডাব্লুএমটিএ) বোর্ড ১৯৬৮ সালের মার্চ মাসে ৯৮-মাইল (১৫৮ কিমি) আশ্রিত আঞ্চলিক ব্যবস্থার (এআরএস) অনুমোদন করে, যার মধ্যে ব্রাঞ্চ অ্যাভিনিউ থেকে গ্রিনবেল্ট পর্যন্ত বিস্তৃত গ্রিন লাইনটি অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি ভবিষ্যতে মেরিল্যান্ডের লরেল ও ব্র্যান্ডইউইন পর্যন্ত সম্ভাব্য সম্প্রসারণের পূর্বাভাস দিয়েছিল। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:গ্রিন লাইন (ওয়াশিংটন মেট্রো)
গ্রিন লাইন (ওয়াশিংটন মেট্রো)
পুনর্নির্দেশ মাসমবক্কম
মঠমবক্কম
টিপ্পানি হল ঐতিহ্যবাহী লোক নৃত্যের একটি রূপ, এটি ভারতের গুজরাতের সৌরাষ্ট্রের চোরওয়াড় এবং বেরাবল অঞ্চল থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। এটি ‘মাতলা নাচ’ বা ‘টিপ্পানি নৃত্য’ নামেও পরিচিত। এই নৃত্যরূপটি হোলি ও দিওয়ালি জাতীয় হিন্দু উৎসব বা গুজরাতি সম্প্রদায়ের বিবাহ অনুষ্ঠানের সময় অনুশীলন করা হয়। ভারতের সমসাময়িক সময়ে টিপ্পানি নৃত্যের একটি সম্মানিত অবস্থান রয়েছে। গুজরাতিরা তাদের পারিবারিক বিবাহ অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে এই নৃত্যটি সম্পাদন করে। এই নৃত্যরূপটি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার এশিয়ান আমেরিকান সোসাইটি দ্বারা পরিবেশিত হয়েছিল। ব্যুৎপত্তি এই নৃত্যের জন্য প্রয়োজনীয় টিপ্পানি প্রায় ১৭৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ দুটি কাঠি দিয়ে তৈরি। বিপরীতে সারিগুলিকে আরও শক্তিশালী করার জন্য এগুলি নীচের প্রান্তে গার্বো নামক একটি কাঠের বা লোহার বর্গের সাথে যুক্ত। প্রাচীনকালে ঘর বা মেঝের ভিত্তিতে চাপ দিয়ে চুন প্রবেশ করাতে এটি ব্যবহৃত হত। এই নাচের সূচনা হয়েছিল কোলি সম্প্রদায়ের মহিলা শ্রমিকদের মধ্যে। তারা পাথর ভাঙা এবং জমি সমতল করার সময় কাজের একঘেয়েমি এড়ানোর জন্য লোক সঙ্গীত গাইত। কাজকে আকর্ষণীয় করতে এবং তাদের ভারী কাজের বোঝা স্বচ্ছন্দ করতে তারা এই নৃত্যটি সম্পাদন করত। নৃত্য নৃত্যটি বিশেষভাবে মহিলারাই পরিবেশন করে। লোক গানের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের দুটি বিপরীতে সারি মেঝেতে টিপ্পানি ঠুকে নৃত্য করে। তুরি এবং থালি (কাঁসার থালা) সংগীত তৈরি করতে ব্যবহৃত হয়। জাঞ্জ, [তাল (বাদ্যযন্ত্র)|[মঞ্জিরা]], তবলা, ঢোল এবং সানাই হল সংগীতের জন্য ব্যবহৃত প্রধান বাদ্যযন্ত্র। এটি উৎসব এবং বিবাহের সময় প্রদর্শিত হয়। একই তালে টিপ্পানি মাটিতে ঠুকে এবং গান গেয়ে নাচ শুরু হয় ধীরে লয়ে। ক্রমশ লয় দ্রুত হতে থাকে, নৃত্যশিল্পীরা পর্যায়ক্রমে টিপ্পানি দিয়ে মাটিতে আঘাত করে, এবং তারপরে নৃত্যভঙ্গিমা শুরু করে। নাচের সমাপ্তির দিকে, সমস্ত মহিলা সারিবদ্ধ হয়ে যায় এবং খুব দ্রুত সশব্দে মাটিতে আঘাত করে। নৃত্য রূপটির বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল গতিময়তা এবং সুরের মূর্ছনায় গতিময় পদবিন্যাস ও টিপ্পানির ক্রমবর্ধমান চলন। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতের নৃত্য বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় সংস্কৃতি
টিপ্পানি
সবিতা শাস্ত্রী একজন ভারতীয় নৃত্যশিল্পী ও নৃত্যপরিচালক যিনি ভরতনাট্যমের উপস্থাপক হিসাবে সর্বাধিক পরিচিত। তিনি ভারতীয় পৌরাণিক কাহিনী বা ধর্মের ভিত্তিতে নয় বরং উপন্যাসের গল্পের উপর ভিত্তি করে বিযয়বস্তুভিত্তিক প্রযোজনা প্রদর্শনের জন্য ভরতনাট্যমের কৌশল ব্যবহার করে ঐতিহ্যবাহী ভরতনাট্যম শৈলী (ফর্ম্যাট) নিয়ে পরীক্ষা করার জন্য পরিচিত। সমালোচকগণ তাঁর উদ্ভাবনগুলোকে 'যুগান্তকারী' হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং তাঁকে নৃত্যের একটি নবজাগরণের স্থপতি বলে মনে করা হয়। প্রাথমিক ও শিক্ষাজীবন সবিতা সুব্রমণিয়াম হায়দ্রাবাদে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মুম্বইয়ে জীবনযাপন করেন। মুম্বইয়ে কিছু কাল অতিবাহিত করার পর তিনি সপরিবারে নিজরাজ্য চেন্নাইয়ে চলে যান। মুম্বইয়ের রাজারাজেশ্বরী ভারত নাট্য কলা মন্দির থেকে তিনি গুরু মহালিংগম পিল্লাইয়ের অধীনে ভরতনাট্যমের প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। তারপর তিনি আদ্যর কে. লক্ষ্মণ ও ধনঞ্জায়ানসের কাছ থেকে নৃত্য শিখেন। চেন্নাইয়ের পিএস সিনিয়র সেকেন্ডারি বিদ্যালয় থেকে তিনি স্কুলশিক্ষা সমাপ্ত করেন। এরপর চেন্নাইয়ের স্টেলা মেরিস কলেজ থেকে তিনি স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি তামিল ছবি আনন্দ তান্ডবমএ মুখ্য নৃত্যশিল্পী হিসাবে অভিনয় করেছিলেন যেটি তাঁর গুরু আদ‍্যর কে লক্ষ্মণের একটি প্রযোজনা ছিল। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন, যেখানে তিনি স্নায়ুবিজ্ঞানে মেজর করেছিলেন। উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা ২০০৯ সালের দিকে সবিতা শাস্ত্রী পরম্পরাগত "মার্গম" পরিবেশন করা থেকে বিরত হয়ে বিষয়বস্তু বা থিম-নির্ভর প্রযোজনার প্রতি আগ্রহী হন। তাঁর কয়েকটি উল্লেখযোগ্য প্রযোজনার মধ্যে রয়েছে মিউজিক উইদিন (২০১০), সোল কেজেস (২০১২), দ্য প্রফেট: ডেসটিনি, ডিভাইনিটি এন্ড ডাউট এবং চেইন্স: লাভ স্টোরিস অব শ্যাডোস (২০১৫)। ব্যক্তিগত জীবন সবিতা শাস্ত্রী এ.কে. শ্রীকান্তের সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। তিনি তাঁর সমস্ত প্রযোজনায় অংশীদার এবং উচ্চ বিদ্যালয়ের সহপাঠীও ছিলেন। এই দম্পতি যৌথভাবে তাঁদের অনুষ্ঠান প্রযোজনা করেন এবং তাঁরা বর্তমানে মুম্বইয়ে বসবাস করেন। মঞ্চনৃত্য প্রযোজনা পুরুষার্থ (২০০২) স্যাক্‌রিফাইস (২০০৩) কৃষ্ণ - দ্য সুপ্রিম মিস্টিক (২০০৬) মিউজিক উইদিন (২০১০) সোল কেজেস: দ্য স্টরি অব লাইফ, ডেথ & বেয়নড (২০১২) যুধ - থ্রি পার্সপেকটিভ, ওয়ান ট্রুথ (২০১৩) দ্য প্রপেট: ডেসটিনি, ডিভাইনিটি এন্ড ডাউট (২০১৩) চেইন্স: লাভ স্টোরিস অব শ্যাডোস (২০১৫) ইন গড্স কান্ট্রি (২০১৫) মিউজিক উইদিন- দ্য গ্রুপ প্রেজেন্টেশন (২০২০) নৃত্যভিত্তিক চলচ্চিত্র চেইনস: লাইভ ইন কনসার্ট (২০১৮) যুধ: দ্য ডান্স ফিল্ম (২০১৯) প্রপেট: দ্য ফিল্ম (২০১৯) দ্য ডিসেন্ট (২০১৯) অ্যাওয়েকিং (২০২০) অপরাজিতা (২০২০) কালার্স- গ্রিন (২০২০) তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৬৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় নৃত্য পরিকল্পনাকার বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মহিলা নৃত্য পরিকল্পনাকার বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মহিলা শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী বিষয়শ্রেণী:ভরতনাট্যম নৃত্যশিল্পী
সবিতা শাস্ত্রী
পুনর্নির্দেশ কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
২০১৯–২০ করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী
পুনর্নির্দেশ ২০১৯-২৩ আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ লীগ ২
2019–23 ICC Cricket World Cup League 2
পুনর্নির্দেশ গোবিন্দভোগ চাল
গোবিন্দভোগ
পুনর্নির্দেশ ২১ জুন ২০২০-এর সূর্যগ্রহণ
২১ জুন ২০২০ সূর্যগ্রহণ
পুনর্নির্দেশ রকেট প্রোপেল্যান্ট
রকেটের প্রোপেল্যান্ট
পুনর্নির্দেশ রোই মাটা
Roi Mata
পার্সিভিয়ারেন্স (ডাক নাম:পার্সি) একটি মোটরগাড়ি আকারের মঙ্গলগ্রহ পরিভ্রামক যান, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ সংস্থা নাসা-র মার্স ২০২০ অভিযানের অংশ হিসাবে মঙ্গল গ্রহে ইয়েজেরো অভিঘাত খাতে অনুসন্ধান পরিচালনা করতে নকশা করা হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি দ্বারা নির্মিত এই যানটিকে ২০২০ সালের ৩০শে জুলাই তারিখে সার্বজনীন সমন্বিত সময়ে ১১টা বেজে ৫০ মিনিটে উৎক্ষেপণ করা হয়। ২০২১ সালের ১৮ই ফেব্রুয়ারি তারিখে ২০টা বেজে ৫৫ মিনিটে (সার্বজনীন সমন্বিত সময়) মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠে পরিভ্রামক যানটির সফল অবতরণ নিশ্চিতকারী তথ্য পৃথিবীতে এসে পৌঁছায়। সর্বশেষ সালের এর হিসাবে, পার্সিভিয়ারেন্স মঙ্গলগ্রহে মঙ্গলদিবস ( দিন) ধরে অবস্থান করে। পরিভ্রামক যানের আগমনের পরে, নাসা অক্টাভিয়া ই. বাটলার ল্যান্ডিং নামে অবতরণ স্থানের নামকরণ করে। পার্সিভিয়ারেন্স পরিভ্রামক যানটি ইয়েজেরো অভিঘাত খাদে মঙ্গলগ্রহীয় পৃষ্ঠতল অধ্যয়ন করার জন্য সাতটি বৈজ্ঞানিক উপকরণ বহন করছে। এটিতে ১৯টি ক্যামেরা (চিত্রগ্রাহক যন্ত্র) ও দুটি মাইক্রোফোন (শব্দগ্রাহক) রয়েছে। এছাড়া পরিভ্রামক যানটিতে ইনজেনুইটি নামের একটি ক্ষুদ্র হেলিকপ্টার রয়েছে। এটি একটি পরীক্ষামূলক উড়োযান, যা মঙ্গলগ্রহের আবহমণ্ডলে উড়োযান চালানো সম্ভব কি না, তা পরীক্ষার উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছে। পরিভ্রামক যানের লক্ষ্যসমূহের মধ্যে জীবনকে সমর্থন করতে সক্ষম প্রাচীন মঙ্গল গ্রহের পরিবেশেসমূহকে সনাক্ত করা, সেই পরিবেশসমূহে বিদ্যমান প্রাক্তন অণুজীবের প্রমাণ অনুসন্ধান করা, মঙ্গল গ্রহের ভূমি-পৃষ্ঠে মজুতের জন্য শিলা ও মাটির নমুনাসমূহ সংগ্রহ করা এবং ভবিষ্যতের মানব অভিযানের জন্য প্রস্তুতি হিসাবে মঙ্গল গ্রহের বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন উত্পাদনের সম্ভাবনা পরীক্ষা করা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। অভিযান বৈজ্ঞানিক উদ্দেশ্য পার্সিভিয়ারেন্স পরিভ্রামক যানের চারটি বৈজ্ঞানিক লক্ষ্য রয়েছে, যা মঙ্গল অন্বেষণ কর্মসূচীর বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যসমূহকে সমর্থন করে: বসবাসযোগ্যতা জন্যে: অণুজীবকে সমর্থনে সক্ষম অতীত পরিবেশসমূহ সনাক্ত করা। জৈব লক্ষণ সন্ধান করা: সেই বাসযোগ্য পরিবেশসমূহে সম্ভাব্য অতীতের অণুজীবের লক্ষণসমূহ অনুসন্ধান, যা সময়ের সাথে সাথে বিশেষত নির্দিষ্ট শিলার প্রকারসমূহে সংরক্ষিত হয়েছে। নমুনা আহরণ: মূল শিলা ও রেগোলিথ ("মাটি") নমুনাসমূহ সংগ্রহ করা এবং সেগুলি মঙ্গল গ্রহের ভূমি-পৃষ্ঠের উপরে সংরক্ষণ করা। মানুষের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ: মঙ্গলবারের বায়ুমণ্ডল থেকে অক্সিজেন উত্পাদনের পরীক্ষা। ইতিহাস কিউরিসিটি পরিভ্রামক যানের ২০১২ সালের আগস্ট মাসে অবতরণের হাই-প্রোফাইল সাফল্য সত্ত্বেও, নাসার মঙ্গল অন্বেষণ কর্মসূচী ২০১০-এর দশকের গোড়ার দিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ছিল। বাজেটের হ্রাস নাসাকে ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার সাথে পরিকল্পিত সহযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করে, যার মধ্যে একটি পরিভ্রামক যান বা রোভার অভিযান অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২০১২ সালের গ্রীষ্মের মধ্যে, মঙ্গলে প্রতি দু'বছরে একটি অভিযান পরিচালনার একটি কর্মসূচী হঠাৎ করেই ২০১৩ সালের পরে কোনও অভিযান পরিচালনার অনুমোদন না পাওয়ায় পর্যবসিত হয়। কিউরিওসিটি পরিভ্রামক যানের সাফল্যের পরে এবং দশকের জরিপের সুপারিশের প্রতিক্রিয়া হিসাবে, নাসা ২০১২ সালের ডিসেম্বরে আমেরিকান জিওফিজিকাল ইউনিয়ন সম্মেলনে ২০২০ সালের মধ্যে একটি নতুন মঙ্গল পরিভ্রামক যান অভিযান চালু করার তার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। প্রাথমিকভাবে একটি উচ্চাভিলাষী নমুনা-সংগ্রহ সক্ষমতার প্রতিশ্রুতি দিতে দ্বিধাগ্রস্থ হলেও (এবং পরবর্তী অনুক্রমগুলি মিশনগুলি), মার্স ২০২০ প্রকল্পের জন্য নাসা দ্বারা আহ্বান করা বিজ্ঞান সংজ্ঞা দল জুলাই ২০১৩ সালে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে জানায় যে অভিযানটি "প্রত্যাবর্তনযোগ্য সংগৃহীত নমুনার একটি বাধ্যতামূলক স্যুট নির্বাচন ও সংরক্ষণ করবে"। নকশা thumb|upright=1.0|right|ক্যালিফোর্নিয়ার পাসাদেনার নিকট জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরিতে পার্সিভিয়ারেন্সের। পার্সিভিয়ারেন্সের নকশাটি তার পূর্বসূরী কিউরিওসিটি পরিভ্রামক যানের থেকে বিকশিত হয়। দুটি রোভার একই রকমের শারীরিক পরিকল্পনা, অবতরণ ব্যবস্থা, নিয়ন্ত্রিত গতিতে চলা (ক্রুজ) পর্যায় ও শক্তি ব্যবস্থা ভাগ করে নেয়, তবে পার্সিভিয়ারেন্সের জন্য নকশাটি বেশ কয়েকটি উপায়ে উন্নত করা হয়। প্রকৌশলীরা পরিভ্রামক যানের চাকাসমূহ কিউরিওসিটির চাকার চেয়ে আরও শক্তিশালী করার জন্য নকশা করেছিলেন, যা কিছুটা ক্ষতি সহ্য করেছিল। কিউরিওসিটির ৫০ সেন্টিমিটার (২০ ইঞ্চি) চাকার বিপরীতে পার্সিভিয়ারেন্সের ৫২.৫ সেন্টিমিটারের (২০.৭ ইঞ্চি) স্বল্প প্রস্থ ও বৃহত্তর ব্যাস সহ মোটা, আরও টেকসই অ্যালুমিনিয়াম চাকা রয়েছে। অ্যালুমিনিয়াম চাকাসমূহের ট্র্যাকশনের জন্য ক্লিট ও স্প্রিংইয়ের সমর্থনের জন্য বাঁকানো টাইটানিয়াম স্পোক দিয়ে আচ্ছাদিত। কিউরিওসিটির মতো, পার্সিভিয়ারেন্স পরিভ্রামক যানটিতে একটি রোবোটিক বা যান্ত্রিক বাহু রয়েছে, যদিও পার্সিভিয়ারেন্সের বাহু দীর্ঘ ও শক্তিশালী, যা ২.১ মিটার (৬ ফুট ১১ ইঞ্চি) দীর্ঘ। বাহুটি জীবাণুমুক্ত আহরণের টিউবসমূহে মঙ্গল গ্রহের ভূমি-পৃষ্ঠ থেকে ভূতাত্ত্বিক নমুনাসমূহ সংরক্ষণের জন্য একটি বিস্তৃত মূল-শিলা ও নমুনা পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। পরিভ্রামক যানের নীচে একটি গৌণ বাহুও লুকানো রয়েছে, যা চক বা খড়ি-আকারের নমুনাসমূহ মজুত বা সংরক্ষণ করতে সহায়তা করে। মঙ্গল হেলিকপ্টার পরীক্ষা এছাড়াও পার্সিভিয়ারেন্সের সাথে ইনজেনুইটি নামে পরীক্ষামূলক মঙ্গল গ্রহের হেলিকপ্টার মঙ্গল গ্রহে পৌঁছায়। সৌরচালিত এই হেলিকপ্টার ড্রোনটির ভর ১.৮ কেজি (৪.০ পাউন্ড)। যদি ইনজেনুইটি −৯০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের (−১৩০° ফাঃ) চেয়ে কম তাপমাত্রার শীতল প্রথম মঙ্গল-রাতের পরে সক্রিয় থাকে, তবে দলটি অন্য কোনও গ্রহে বিমানের প্রথম যান্ত্রিক শক্তিসম্পন্ন উড়ানের পরিকল্পনায় এগিয়ে যাবে। ক্যামেরা ব্যতীত এটিতে কোনও বৈজ্ঞানিক যন্ত্র নেই। হেলিকপ্টারটি পার্সিভিয়ারেন্সের মধ্যে থাকা একটি বেস স্টেশন দ্বারা পৃথিবীর সাথে যোগাযোগ করে। মঙ্গল পরিবহণ ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশনের (সিসিএফএস) অন্তর্গত স্প্রেস লঞ্চ কমপ্লেক্স ৪১ থেকে ইউনাইটেড লঞ্চ অ্যালায়েন্স অ্যাটলাস ভি উৎক্ষেপণ যানটি ২০২০ সালের ৩০ জুলাই ১১:৫০:০০ ইউটিসি'য়ে পার্সিভিয়ারেন্স পরিভ্রামক যানটি সফলভাবে উৎক্ষেপিত হয়। পরিভ্রামক যানটি মঙ্গল গ্রহে পৌঁছাতে প্রায় সাত মাস সময় নেয় এবং এটি ২০২১ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান পর্ব শুরু করতে জেজেরো জ্বালামুখে অবতরণ করে। অবতরণ জাজেরো জ্বালামুখে পার্সিভিয়ারেন্স-এর সফল অবতরণ ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ২০:৫৫ ইউটিসি-তে ঘোষণা করা হয়, মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবীতে সংকেত পৌঁছতে ১১ মিনিট সময় নেয়। পরিভ্রামক যানটি প্রায় ৭.৭ × ৬.৬ কিলোমিটার (৪.৮ × ৪.১ মাইল) প্রশস্ত অবতরণ উপবৃত্তের কেন্দ্রস্থল থেকে ১ কিমি (০.৬২ মাইল) দক্ষিণ-পূর্বে ১৮.৪৪৪৬° উত্তর থেকে ৭৭.৪৫-৯° পূর্ব স্থানাঙ্কে অবতরণ করে। গাড়ির পিছনে আরটিজি দ্বারা উত্তর-পশ্চিম দিকে ইঙ্গিত করার সাথে এটি দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রায় সরাসরি পয়েন্টে নেমে এসেছিল। অবতরণ পর্যায়ে ("স্কাই ক্রেন"), প্যারাসুট ও হিট শিল্ড পরিভ্রামক যানের অবতরণ স্থলে পৌঁছানোর ১.৫ কিলোমিটার (উপগ্রহের চিত্র দেখুন) আগ পর্যন্ত আসে। অবতরণটি পূর্ববর্তী কোনও মঙ্গল অবতরণের চেয়ে আরও নির্ভুল ছিল; যা কিউরিওসিটির অবতরণ ও নতুন স্টিয়ারিং প্রযুক্তির ব্যবহার থেকে প্রাপ্ত অভিজ্ঞতার দ্বারা সক্ষম একটি কৃতিত্ব। এরকম একটি নতুন প্রযুক্তি হল ভূখণ্ডের তুলনামূলক নেভিগেশন (টিআরএন), এমন একটি কৌশল, যা পরিভ্রামক যানটি তার অবতরণের সময় মঙ্গল পৃষ্ঠের তোলা চিত্রসমূহকে উল্লেখিত মানচিত্রের সাথে তুলনা করে, এটি শেষ মুহুর্তের সাথে সামঞ্জস্য করার সুযোগ দেয়। পরিভ্রামক যানটি শেষ মুহূর্তে নিরাপদ অবতরণ স্থান নির্বাচন করতে চিত্রসমূহ ব্যবহার করে এবং তুলনামূলকভাবে স্বল্প ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলে অবতরণ করে। এটি পূর্ববর্তী অভিযানের তুলনায়, তার বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যসমূহের অনেক কাছাকাছি পৌঁছতে সক্ষম করে, যা সকল ঝুঁকিবিহীন অবতরণ উপবৃত্ত ব্যবহার করে। অভিযানের ঘড়িতে (স্থানীয় গড় সৌর সময়) ১৫:৫৩:৫৮ -এ তোলা প্রথম চিত্র সহ পড়ন্ত বিকেলের দিকে পরিভ্রামক যানের অবতরণ ঘটে। পৃথিবীতে মার্চ মাসের শেষের সমতুল্য, জ্যোতির্বিদ্যা সংক্রান্ত বসন্তের শুরুতে মঙ্গল গ্রহের উত্তরাঞ্চলীয় ভার্ভিনাল সমুদ্রবিন্দু (এলএস = ৫.২°) পেরিয়ে যাওয়ার পরেই এই অবতরণটি হয়। পার্সিভারেন্স পরিভ্রামক যানের প্যারাশুট পর্যায়ের ছবি মঙ্গল পুনর্বিবেচনা পরিক্রমাকারীর (এমআরও) উচ্চ-রেজোলিউশনের হাইআরআইএসই ক্যামেরা দ্বারা তোলা হয়। জেজেরো জ্বালামুখ একটি প্যালেওলেক অববাহিকা। এটি এই অভিযানের জন্য অবতরণ স্থান হিসাবে নির্বাচিত হয়, কারণ প্যালেওলেক অববাহিকায় পার্ক্লোরেটের উপস্থিতি রয়েছে। ব্যয় এই প্রকল্পে নাসা ১১ বছরে প্রায় ২.৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা করে, যার মধ্যে হার্ডওয়্যারটির উন্নয়ন ও নির্মাণের জন্য ২.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, উৎক্ষেপণ পরিষেবাসমূহের জন্য ২৪৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং অভিযান পরিচালনার ২.৩ বছরের জন্য ২৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ রয়েছে। মূল্যস্ফীতির জন্য সামঞ্জস্য অনুযায়ী, পার্সিভিয়ারেন্স নাসার ষষ্ঠ-ব্যয়বহুল রোবোটিক গ্রহসংক্রান্ত অভিযান, যদিও এটি তার পূর্বসূরি কিউরিওসিটি থেকে কম ব্যয়বহুল। ২০২০ সালে উপ-প্রধান প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার কেইথ কমেওক্সের মতে কিউরিওসিটি অভিযান থেকে অবিচ্ছিন্ন হার্ডওয়্যার ও "মুদ্রণ থেকে নির্মাণ" (বিল্ড-টু প্রিন্ট) নকশাসমূহ দ্বারা পার্সিভিয়ারেন্স লাভবান হয়, যা উন্নয়ন ব্যয় হ্রাস করতে সাহায্য করে এবং "১০০ মিলিয়ন ডলার না হলেও, সম্ভবত ১০ মিলিয়ন ডলার" সাশ্রয় করে। চিত্রশালা অবতরণ মানচিত্র তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ নাসায় মার্স ২০২০ ও পার্সিভিয়ারেন্স পরিভ্রামক যানের দাপ্তরিক ওয়েবসাইট বিষয়শ্রেণী:মার্স ২০২০ বিষয়শ্রেণী:মঙ্গল পরিভ্রামক যান
পার্সিভিয়ারেন্স (পরিভ্রামক যান)
পুনর্নির্দেশ গিনিতে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
২০২০ গিনিতে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী
পুনর্নির্দেশ দিল্লিতে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
২০২০ দিল্লিতে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী
পুনর্নির্দেশ ভুটানে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
২০২০ ভুটানে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী
পুনর্নির্দেশ ফ্রান্সে কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারী
২০২০ ফ্রান্সে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারী
পুনর্নির্দেশ আজিয়াটা গ্রুপ বারহাদ
Axiata Group
পুনর্নির্দেশ কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীতে জাতীয় প্রতিক্রিয়া
২০১৯-২০ করোনাভাইরাস মহামারীতে জাতীয় প্রতিক্রিয়া
পুনর্নির্দেশ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্টেডিয়াম
কিশোরগঞ্জ ক্রিকেট স্টেডিয়াম
লাস্য () হিন্দু শাস্ত্র অনুসারে দেবী পার্বতীর করা একপ্রকার মহাজাগতিক স্বর্গীয় নৃত্য। প্রাচীন শ্রেণীবিভাজন অনুসারে নৃত্যের দুটি মুখ্য শৈলী হচ্ছে তাণ্ডব ও লাস্য। ভগবান শিব তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন এবং এটি সাহস, শক্তি, তীব্রতা ও পুরুষ শক্তিকে সূচিত করে। অন্যদিকে লাস্য কোমল, নমনীয়, সৌন্দর্য, প্রেম ও স্ত্রী শক্তির প্রতীক। সংগীত, নৃত্য ও নাটকের প্রাচীন গ্রন্থ ভরতমুনির নাট্যশাস্ত্র অনুসারে ভগবান শিব দ্বারা প্রদর্শিত মহাজাগতিক তাণ্ডব নৃত্যের পুরুষ শক্তির উত্তরে দেবী পার্বতীর করা নৃত্যই হচ্ছে লাস্য। লাস্য নৃত্যের অঙ্গ সঞ্চালন অত্যন্ত কোমল ও ধীর হয়। লাস্য নৃত্য মূলত মহিলা নৃত্যশিল্পীরা অধিক কার্যকরীভাবে প্রদর্শন করে। মথুরার রাস নৃত্য, দক্ষিণ ভারতের হালীসাক, কত্থক, ভরতনাট্যম, মণিপুরী নৃত্য, ওড়িশি, মোহিনীঅট্টম, কুচিপুড়ি ইত্যাদি ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচলিত নৃত্যে লাস্য নৃত্যের ছাপ বিদ্যমান। উৎপত্তি ও বর্ণনা লাস্য শব্দের অর্থ হচ্ছে রমণীদের লীলায়িত নৃত্যভঙ্গি। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের পরিভাষা অনুসারে তাল বা তালম শব্দটি উৎপত্তির ভগবান শিবের তাণ্ডব ও পার্বতীর লাস্য উভয় নৃত্যের সংমিশ্রণ থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। হিন্দু পুরাণে লাস্য শব্দটি দ্বারা দেবী পার্বতীর করা নৃত্যকে বর্ণনা করে হয়েছে। এটি সুখ, সৌন্দর্য ও প্রেমের প্রতীক বলে বিবেচিত হয়। জনশ্রুতি অনুসারে ভগবান শিব ত্রিপুরাসুরকে বধ করার পর তাণ্ডব নৃত্য করেছিলেন, এর ফলে গোটা সৃষ্টিজগতে হাহাকার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভগবান শিবের প্রদর্শিত এই তাণ্ডবের মহাজাগতিক নৃত্যের পুরুষ শক্তির উত্তরে তাণ্ডবের প্রভাবকে প্রশমিত করতে পার্বতী লাস্য নৃত্য করেছিলেন বলে বিশ্বাস করা হয়। আক্ষরিক অর্থে লাস্য অর্থ হচ্ছে সৌন্দর্য, সুখ, আকর্ষণীয় ও কমনীয়। অধ্যাপক এনায়েত খান তাঁর "মুনকার মুসিকার" (১৯১২) বইয়ে লিখেছেন: প্রকার লাস্য মূলত চার প্রকারের বলে জানা যায়: প্রকার চারটি হচ্ছে শৃঙ্খলা, লতা, পিণ্ডি ও ভেদ্যক। সংগীত রত্নাকার অনুসারে লাস্য ১০টি লাস্যাঙ্গের বিবরণ দেয় ও সেগুলো দর্শী শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত। লাস্যাঙ্গ দশটি হচ্ছে চালি, চালিবাদ, উরংগণ, লাধী, চোকা, দশক, অনগ্রহ, অরায়ক, বিহাস ও মনা। তবে বর্তমান সময়ে তিন প্রকারের লাস্যনৃত্য অনুশীলন করা হয়: সেগুলো হল 'বিকট লাস্য': লয়, তাল, ভাব প্রদর্শন করা নৃত্যকে 'বিকট লাস্য' বলা হয়। 'বিষম লাস্য' : আনুভূমিক, বৃত্তাকার ও তীক্ষ্ণ চলাচলের মাধ্যমে 'বিষম লাস্য' করা হয়। 'লঘু লাস্য': পায়ের মাধ্যমে মাটিতে শব্দ তৈরি করে 'লঘু লাস্য' করা হয়। এই নৃত্যে কোমল শব্দ, উচ্চ তীক্ষ্ণতার বাদ্য যেমন 'মঞ্জীরা', 'বাঁহী', 'ঘুঙুর', 'মাদল, 'খোল', 'তবলা', 'তুম্বুরু' ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। ব্যবহৃত পোশাকগুলো অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। মহিলা নৃত্যশিল্পীরা বহু ভাঁজযুক্ত চাদর ও চুলে ফুলের মালা পরে নৃত্য প্রদর্শন করে থাকে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতের নৃত্য বিষয়শ্রেণী:হিন্দু পুরাণ বিষয়শ্রেণী:হিন্দু সংগীত
লাস্য
পুনর্নির্দেশ ২০২১ পাপুয়া নিউ গিনি ত্রি-দেশীয় সিরিজ (মে)
২০২১ পাপুয়া নিউ গিনি ত্রি-দেশীয় সিরিজ (সেপ্টেম্বর)
পুনর্নির্দেশ ব্রাউনীয় গতি
Brownian motion
মোহাম্মদ আকরাম অয়ান (; জন্ম: ১০ সেপ্টেম্বর, ১৯৭৪) ইসলামাবাদ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পাকিস্তানি কোচ ও সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৯০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়কাল থেকে শুরু করে ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্ন পর্যন্ত পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে অ্যালাইড ব্যাংক ও রাওয়ালপিন্ডি এবং ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে এসেক্স, নর্দাম্পটনশায়ার, সারে ও সাসেক্স দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন মোহাম্মদ আকরাম। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত মোহাম্মদ আকরামের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার মোহাম্মদ আকরাম উইকেটে দর্শনীয় বাউন্স সহযোগে বোলিং করতেন। ওয়াসিম আকরাম ও ওয়াকার ইউনুসের ন্যায় প্রতিভাবান বোলারসহ উদীয়মান শোয়েব আখতার ও মোহাম্মদ সামি’র কারণে তাকে নিয়মিতভাবে টেস্ট দলে ঠাইঁ করে নিতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। তবে, বিকল্প বোলার হিসেবে তার জুড়ি মেলা ভার ছিল। কিন্তু, তার ব্যাটিং ও ফিল্ডিং বেশ জবুথবু ছিল। ১৯৯৫ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংরেজ কাউন্টি দল নর্দান্টসের পক্ষাবলম্বন করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের সদস্য কার্টলি অ্যামব্রোসের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন তিনি। ওয়াল্থামস্টো’র অ্যাংলো-পাকিস্তানি রমণীকে বিয়ে করেন ও ইংল্যান্ডে বসবাস করতে থাকেন। ২০০৩ ও ২০০৪ সালে এসেক্স ও সাসেক্স দলে স্থানীয় খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। পরবর্তীতে, তিন বছরের চুক্তিতে সারে দলে খেলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে নয়টিমাত্র টেস্ট ও তেইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন মোহাম্মদ আকরাম। ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৯৫ তারিখে ফয়সালাবাদে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ মার্চ, ২০০১ তারিখে হ্যামিল্টনে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি। অবসর ২৪ আগস্ট, ২০১২ তারিখে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক বছরের চুক্তিতে মোহাম্মদ আকরামকে পাকিস্তান দলের বোলিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত করে। এপ্রিল, ২০১৩ সালে করাচীর জাতীয় স্টেডিয়ামে ওয়াসিম আকরামের সাথে শীর্ষ ফাস্ট বোলারদের নিয়ে ১০-দিনের প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশ নেন। বর্তমানে তিনি পাকিস্তান সুপার লীগের দল পেশাওয়ার জালমি’র ক্রিকেট পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন। তথ্যসূত্র আরও দেখুন মোহাম্মদ ওয়াসিম সরফরাজ নওয়াজ পাকিস্তানি টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা পাকিস্তানি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা বহিঃসংযোগ সারে সিসিসিতে মোহাম্মদ আকরাম বিষয়শ্রেণী:১৯৭৪-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:অ্যালাইড ব্যাংক লিমিটেডের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ইসলামাবাদ থেকে আগত ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:এসেক্সের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:নর্দাম্পটনশায়ারের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:রাওয়ালপিন্ডির ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:সারের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:সাসেক্সের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ইংরেজ ক্রিকেট কোচ বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি ক্রিকেট কোচ বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান সুপার লীগের কোচ বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের ক্রিকেট ধারাভাষ্যকার
মোহাম্মদ আকরাম
পুনর্নির্দেশ চোর পুলিশ (খেলা)
Chor Police (game)
লেবার্ড সিল (হাইড্রুর্গা লেপটোনেক্স), সমুদ্রিক লেবার্ড হিসাবেও পরিচিত, অ্যান্টার্কটিক সিলের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রজাতি। প্রাকৃতিকভাবে এটিকে কেবল কিলার হোয়াইল শিকার করে। এটির খাবার সেফালপডস, অন্যান্য পিনিপিডস, ক্রিল, পাখি এবং মাছ। এটি হাইড্রুর্গা প্রজাতির একমাত্র প্রজাতি। এর নিকটতম প্রজাতি হল রস সিল, ক্রাবিটার সিল এবং ওয়েডেল সীল যা একসাথে লোবডন্টিনি সিলের উপজাতি হিসাবে পরিচিত। হাইড্রুর্গা নামের অর্থ "জল কর্মী" এবং লেপটোনেক্স গ্রীক শব্দ যার অর্থ "ছোট নখর"। শ্রেণীবিন্যাস ফরাসী প্রাণিবিজ্ঞানী হেনরি মেরি ডুক্রোটে দে ব্লিনভিলি ১৮২০ সালে লেবার্ড সিল আবিষ্কার করেন। বর্ণনা ব্যপ্তি আচরণ শরীরতত্ত্ব ও গবেষণা মানুষের সাথে বন্ধুত্ব সংরক্ষণ আরো দেখুন তথ্যসূত্র সাধারণ তথ্যসূত্র Heacox, Kim. (2006). Deadly Beauty. National Geographic, November 2006 Saundry, Peter. (2010) Leopard Seal. Encyclopedia of Earth. Topic ed. C. Michael Hogan, editor-in-chief Cutler Cleveland, NCSE, Washington DC বহিঃসংযোগ Best Wildlife Photos of 2005 – "Underwater World" Winner: "Leopard Seal Pass" "Face-off with a deadly predator" (video); National Geographic photo assignment Voices in the Sea – the Leopard Seal (audio) বিষয়শ্রেণী:চিলির স্তন্যপায়ী বিষয়শ্রেণী:দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার স্তন্যপায়ী বিষয়শ্রেণী:১৮২০-এ বর্ণিত স্তন্যপায়ী
লেপার্ড সিল
লিব্রভিল গ্যাবনের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর। লিব্রেভিলি এস্তুয়ার প্রদেশে ৬৫ বর্গকিলোমিটার (২৫ বর্গ মাইল) জুড়ে গিনি উপসাগরের নিকটে কোমো নদীর তীরে একটি বন্দর নগরী। ২০১৩ সালের আদম শুমারি অনুসারে এর জনসংখ্যা ৭,০৩,৯০৪ জন। ফরাসীরা ১৮৩৯ সালে এই জমি অধিগ্রহণের আগে এই অঞ্চলে এমপংওয়েবাসীদের বসবাস ছিল। ফরাসী নিরক্ষীয় আফ্রিকার উপনিবেশের প্রধান বন্দর হওয়ার আগে এটি আমেরিকান খ্রিস্টান মিশন ও একটি ক্রীতদাস পুনর্বাসনের স্থান ছিল। গাবোনিসের স্বাধীনতার সময় ১৯৬০ সালে শহরটি ৩২,০০০ জন জনসংখ্যার সাথে একটি বাণিজ্য কেন্দ্র এবং ছোটখাটো প্রশাসনিক কেন্দ্র ছিল। ১৯৬০ সাল থেকে লিব্রেভিলি দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং এখন জাতীয় জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ শহরটিতে রয়েছে। পরিবহন thumb|250px|লিব্রেভিলের বন্দর লিব্রভিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি গ্যাবনের বৃহত্তম বিমানবন্দর এবং এটি শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ১১ কিলোমিটার (৬.৮ মাইল) উত্তরে অবস্থিত। জাতীয় ট্যাক্সিগুলি শহর জুড়ে চলাচল করে। প্রতিটি জেলার ট্যাক্সিগুলির জন্য নির্দিষ্ট রঙ রয়েছে এবং লিব্রভিলের ট্যাক্সিগুলি লাল রঙের হয়। ন্যাশনাল সোসাইটি অফ ট্রান্সপোর্ট (এসোগ্রা) ২০১৪ সালে নতুন ট্যাক্সি চালু করে, যা একটি কাউন্টার ব্যবস্থার দ্বারা পরিচালিত হয়। গ্যাবোনিসি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি লিব্রভিলের সমস্ত জেলায় একটি বাস পরিষেবা পরিচালনা করে। শিক্ষা ওমর বনগো বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৭০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। লিব্রেভিলিতে কয়েকটি উচ্চ আন্তর্জাতিক স্কুল রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে: আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অব লিব্রভিল - আমেরিকান পাঠ্যক্রম লাইসি ব্লাইজ পাস্কেল ডি লিব্রভিলি - ফরাসি পাঠ্যক্রম গ্যাবন রুবান ভার্টের আন্তর্জাতিক বিদ্যালয় - আইবি পাঠ্যক্রম ভাষা বেশ কয়েকটি আফ্রিকান শহরগুলির মধ্যে একটি হল লিব্রভিল, যেখানে স্থানীয় কিছু বৈশিষ্ট্য সহ ফরাসি ভাষা জনগণের মাতৃভাষা হয়ে উঠছে। অর্থনীতি শহরটিতে একটি জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র ও কিছু করাতকল রয়েছে। শহরটি থেকে কাঁচামাল হিসাবে কাঠ, রাবার ও কোকো শহরের প্রধান বন্দর এবং ওভেন্দোর গভীর জলের বন্দরের মাধ্যমে রফতানি করা হয়। গ্যাবন এয়ারলাইন্সের সদর দফতর লিব্রভিলে অবস্থিত। একত্রীভূত হওয়ার আগে, এয়ার গ্যাবন ও গ্যাবন এক্সপ্রেস উভয়ের সদর দফতরটি লিব্রভিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ছিল। ফরাসি সেনাবাহিনীর ৬ষ্ঠ সামুদ্রিক পদাতিক ব্যাটালিয়নের ঘাঁটি শহরের উত্তর রয়েছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:লিব্রভিল বিষয়শ্রেণী:আফ্রিকার রাজধানী বিষয়শ্রেণী:আফ্রিকার বন্দর শহর বিষয়শ্রেণী:গ্যাবনের বন্দর ও পোতাশ্রয়
লিব্রভিল
পুনর্নির্দেশ ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর
ঠাকুরগাঁও স্টলপোর্ট
ডুয়েল গেজ রেলপথ হলো একটি ট্র্যাক যাতে দুটি ভিন্ন ট্র্যাক গেজের ট্রেন চলাচল করতে পারে। মাঝেমধ্যে একে "মিশ্র গেজ" ট্র্যাক বলা হয়। একটি ডুয়েল গেজ ট্র্যাকে তিনটি রেল থাকে। এর মধ্যে প্রত্যেক গেজের জন্য দুটি ভাইটাল রেল ("গেজ" রেল) কাছাকাছি থাকে, এবং দূরে একটি "কমন" রেল থাকে। মাঝেমধ্যে ডুয়েল গেজ তৈরি করার জন্য চারটি রেল ব্যবহার করা হয়, যার মধ্যে দুটি বাইরে ও দুটি ভেতরে থাকে। ডুয়েল গেজের সাথে "তৃতীয় রেল" (বৈদ্যুতিক প্রবাহ ট্র্যাকশন রেল) বা "চেক বা গার্ড রেল"-এর পার্থক্য রয়েছে। পটভূমি রেলপথের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্পেসিফিকেশন হল রেল গেজ। রেল ট্র্যাক ও বগিকে অবশ্যই একই গেজে ১৩ মি.মি. এর ইঞ্জিনিয়ারিং সহনশীলতা মধ্যে নির্মান করতে হয়। সঠিক গেজ না পাওয়া গেজে ট্রেন ট্র্যাক থেকে পড়ে যাবে এবং সুইচ ও ক্রসওভার পার হতে পারবে না। ডুয়েল গেজ ট্রেনে কম উচ্চতার প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করা যায়, কারণ ট্রেনের কামরা প্ল্যাটফর্মের চেয়ে উঁচুতে অবস্থান করে। তিন রেল ও উঁচু প্ল্যাটফর্মের ক্ষেত্রে কমন রেলের অবস্থানের উপর নির্ভর করে একটি গেজ খুব কাছে বা খুব দূরে থাকতে পারে। আরেকটি বিকল্প হচ্ছে প্ল্যাটফর্মে প্রত্যেক গেজের জন্য আলাদা ট্র্যাক নির্মান করা। সহনশীলতা যদি দুটি রেল গেজের মধ্যে পার্থক্য যথেষ্ট ছোট হয় অর্থাৎ একে অপরের সহনশীলতার মধ্যে থাকে, তখন সেই গেজদ্বয়ে একই রোলিং স্টক চলতে সক্ষম। ফিনল্যান্ড–রাশিয়া সীমান্তে ফিনীয় গেজ ১,৫২৪ মি.মি. এবং রাশিয়ান গেজ ১,৫২০ মি.মি.। যখন সোভিয়েত ইউনিয়ন ১৯৭০ এর দশকে এর রেলপথের গেজ ১,৫২০ মি.মি. এ পরিবর্তন করে, তখন তাতে কোনো ব্রেক অব গেজ হয়নি, এবং কোনো ট্র্যাক রুপান্তর করা হয়নি। সহনশীলতা যেভাবে নির্ণয় করা হতো, তাতে এই পরিবর্তনটি এক নতুন সংজ্ঞা ছিল। উভয় রেলপথ একে অপরের সহনশীলতার মধ্যে ভালো অবস্থায় ছিল এবং একই রোলিং স্টক চালাতে পারতো। তবে গেজে সহনশীলতার মধ্যে থাকলেই সবসময় দুটো ভিন্ন পদ্ধতি সফলভাবে একই রোলিং স্টক চালাতে পারে না। যেমন, হংকং এর ১,৪৩২ মি.মি. এর এমটিআর (মাস ট্রানজিট রেলওয়ে) ইলেকট্রিক মাল্টিপল ইউনিট (ইমু) ১,৪৩৫ মি.মি. আদর্শ গেজের কাউলুন–ক্যান্টন রেলপথ (কেসিআর) এ চলতে পারে, তবে বিদ্যুতায়ন বিভবের পার্থক্যের কারণে একটি লোকোমোটিভ বা একটি কেসিআর ইমু দিয়ে তা টানতে হবে। ডুয়েল ভোল্টেজ ও কম্পাঙ্কের ইমু হলো অন্য সমাধান। ব্রেক অব গেজ "ব্রেক অব গেজ" ঘটে যখন স্বাভাবিক সহনশীলতার বাহিরে ভিন্ন গেজের রেল মিলিত হয়। যাত্রী ও মালামালগুলোকে অবশ্যই ট্রেন বদল করতে হবে, অথবা রোলিং স্টককে উঠিয়ে পরবর্তী গেজের জন্য বগি পরিবর্তন করতে হবে। ব্রেক অব গেজ এড়ানোর মাধ্যমে ব্যয় হ্রাস পায় ও অবকাঠামো যেমন প্ল্যাটফর্ম, সেতু ও সুড়ঙ্গ শেয়ার করতে পারে। গেজ রুপান্তর ডুয়েল গেজে চালানো মাধ্যমে রেলপথ পরিচালক এক গেজ থেকে অন্য গেজে পরিবর্তন করতে পারে। যেমন, গ্রেট ওয়েস্টার্ন রেলওয়ে (জিডব্লিউআর) এর নেটওয়ার্কে ডুয়েল গেজের কার্যক্রমের মাধ্যমে ৭-ফুট গেজ থেকে আদর্শ গেজে রুপান্তর করেছে। তখন নতুন জিডব্লিউআর রোলিং স্টক ও লোকোমোটিভকে এই পরিবর্তন সমন্বয় করার জন্য তৈরি করা হয়। যখন অধিকতর চওড়া-গেজের রেলগাড়ির জন্য রেল খুব হালকা হয়, তখন তাতে ডুয়েল গেজ রেল সম্ভব হতে নাও পারে। এক্ষেত্রে অধিকতর ভারী রেল স্থাপন করা হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ডুয়েল গেজ রেলপথ
ডুয়েল গেজ
পুনর্নির্দেশ কম্বাইন্ড ক্যাম্পাসেস ও কলেজেস ক্রিকেট দল
Combined Campuses and Colleges cricket team
পুনর্নির্দেশ ভাজা মুরগি
ভাজা মুরগী
পুনর্নির্দেশ টেমপ্লেট:Composition
টেমপ্লেট পদার্থের অভ্যন্তরে
পুনর্নির্দেশ শেন মোজলি
শাইনি মোসলে
বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজ বাংলাদেশের মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এটি বিনোদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হয়। ইতিহাস ও প্রতিষ্ঠার পটভূমি মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলাধীন ২নং বিনোদপুর ইউনিয়নের অর্ন্তগত বিনোদপুর গ্রামে অবস্থিত। এই কলেজ ১৯৯৪ সালে স্থাপিত হয়। অবকাঠামো ৪.৫ একর জমির উপর ৩টি পাঁকা ভবন, ১টি চারতল ভবন, ১টি দ্বীতল ভবন এবং ১টি টিন সেট ভবন নিয়ে মূল কলেজটি অবস্থিত। কলেজের চারপাশে আবাদী জমি এবং পাঁকা সড়ক রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থী বর্তমানে বিনোদপুর কলেজে সর্বমোট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ১,৫৩০ জন । এই প্রতিষ্ঠানে ৫৭জন শিক্ষক কর্মচারীর সমন্বয়ে গঠিত। কোর্সসমূহ কলেজে চলমান কোর্সসমূহ হচ্ছেঃ এইচ.এস.সি - বিজ্ঞান বিভাগ, মানবিক বিভাগ, বাণিজ্য বিভাগ। স্নাতক (পাশ) কোর্স - বি.এ., বি.এস.এস., বি.বি.এস.। বিষয়শ্রেণী:মাগুরা জেলার কলেজ বিষয়শ্রেণী:মাগুরা জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিষয়শ্রেণী:১৯৯৪-এ প্রতিষ্ঠিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
বিনোদপুর ডিগ্রী কলেজ
পুনর্নির্দেশ জশুয়া দা সিলভা
জসুয়া দা সিলভা
জব মান (৩১ মার্চ ১৭৯৫ – ৮ অক্টোবর ১৮৭৩) পেনসিলভেনিয়া থেকে আগত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পরিষদের একজন জ্যাকসনীয় এবং গণতান্ত্রিক সদস্য ছিলেন। জব মান পেনসিলভেনিয়ার বেথেল টাউনশিপে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি সাধারণ স্কুল এবং বেডফোর্ড একাডেমীতে ভর্তি হন। তিনি ১৮১৬ সালে কাউন্টি কমিশনার বোর্ডের কেরানি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৮১৮ থেকে ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত পেনসিলভেনিয়ার বেডফোর্ড কাউন্টির রেজিস্টার, রেকর্ডার এবং কেরানি ছিলেন। মান চব্বিশ কংগ্রেসে জ্যাকসনীয় হিসেবে নির্বাচিত হন। তিনি ১৮৩৬ সালে ২৫তম কংগ্রেস নির্বাচনে অসফল প্রার্থী ছিলেন। তিনি আইন অধ্যয়ন করেন, ১৮৩৯ সালে বারে ভর্তি হন এবং পেনসিলভেনিয়ার বেডফোর্ডে অনুশীলন শুরু করেন। তিনি ১৮৪২ থেকে ১৮৪৮ পেনসিলভেনিয়ার রাষ্ট্রীয় কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, এবং পেনসিলভেনিয়া প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ছিলেন। মান ত্রিশতম এবং একত্রিশতম কংগ্রেসে ডেমোক্র্যাট হিসেবে নির্বাচিত হন। তবে তিনি ১৮৫০ সালের নির্বাচনে প্রার্থী ছিলেন না। তিনি আইন চর্চা পুনরায় শুরু করেন এবং ১৮৭৩ সালে বেডফোর্ডে মারা যান। বেডফোর্ড কবরস্থানে তাঁকে সমাহিত করা হয়। মান চয়েস শহরটির নাম তার নামে নামকরণ করা হয়। ১৮৪৮ সালে কংগ্রেসম্যান মান, হ্যারিসন টাউনের একটি নামহীন গ্রামে ডাকঘর স্থাপন করার জন্য চাপ দেন। পোস্ট অফিস বিভাগ নতুন ডাকঘরের অনুমোদন দেয় কিন্তু যেহেতু গ্রামের কোন নাম ছিল না তাই কংগ্রেসম্যান মান গ্রামের জন্য একটি নাম দিতে চান। তবে তার আগেই, ডাক মানচিত্র তৈরি করা হয় ও সেখানে গ্রামের নাম "মানস চয়েস" লেখা হয়। এই নামে পরে আর পাল্টানো হয়নি ও এটি স্থায়ী ও প্রাতিষ্ঠানিক নামে পরিণত হয়। উৎস দ্য পলিটিক্যাল গ্রেভইয়ার্ড বিষয়শ্রেণী:১৭৯৫-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:১৮৭৩-এ মৃত্যু বিষয়শ্রেণী:১৯শ শতাব্দীর মার্কিন রাজনীতিবিদ বিষয়শ্রেণী:পেনসিলভেনিয়ার কাউন্টি ক্লার্ক বিষয়শ্রেণী:পেনসিলভেনিয়ার ফুলটন কাউন্টির ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:পেনসিলভেনিয়া জ্যাকসনীয় বিষয়শ্রেণী:পেনসিলভেনিয়া ডেমোক্র্যাট বিষয়শ্রেণী:পেনসিলভেনিয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বিষয়শ্রেণী:পেনসিলভেনিয়া রাজ্যের সিনেটর বিষয়শ্রেণী:পেনসিলভেনিয়া প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বিষয়শ্রেণী:পেনসিলভেনিয়ার আইনজীবী বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পরিষদের জ্যাকসনীয় সদস্য বিষয়শ্রেণী:মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি পরিষদের ডেমোক্রেটিক পার্টির সদস্য
জব মান
পুনর্নির্দেশ ২০২১ সংযুক্ত আরব আমিরাত ত্রি-দেশীয় সিরিজ
২০২০ সংযুক্ত আরব আমিরাত ত্রি-দেশীয় সিরিজ
পুনর্নির্দেশ চেমার হোল্ডার
Chemar Holder
ইজুমি হলো বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি জাপানি খাবারের রেস্তোরাঁ। এটি হলি আর্টিজান বেকারির একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ইতিহাস ইজুমির নির্বাহী প্রধান হলেন মাসায়ুকি নাকাজিয়ামা। রেস্তোরাঁর জন্য জাপানের রাজধানী টোকিয়োর সুকিজি মৎস্য বাজার থেকে টুনা মাছ নিয়ে আসা হয়। ২০১৫ সালে দ্য ডেইলি স্টার ফুডিজ চয়েজ পুরস্কারের জন্য ঢাকার জাপানি রেস্তোরাঁগুলোর মধ্যে ইজুমি তৃতীয় অবস্থানে ছিল। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ঢাকার রেস্তোরাঁ
ইজুমি (রেস্তোরাঁ)
পুনর্নির্দেশ হুমায়ুন ফরহাত
Humayun Farhat
পুনর্নির্দেশ বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান (বিআইএসটি)
পুনর্নির্দেশ ধর্মরাজ রথ
ধর্মরাজা রথ
পুনর্নির্দেশ দৈনিক মর্নিং নিউজ
মর্নিং নিউজ
কাচ্ছি ঘোড়ি নৃত্য, বা অর্ষপ্রীত ওয়ালা এবং কাচ্ছি ঘোড়ি হল একটি ভারতীয় লোকনৃত্য, যেটি রাজস্থানের শেখাওয়াতি অঞ্চলে সৃষ্ট। সেই সময় থেকে এটি সারা দেশের বাকি অংশে সমাদৃত প্রদর্শিত হয়েছিল। নৃত্যশিল্পীরা অভিনব ঘোড়ার পোশাক পরেন এবং নকল লড়াইতে যোগ দেন, এবং একজন কণ্ঠশিল্পী গানের মাধ্যমে স্থানীয় দস্যুদের নিয়ে লোকগাথা বর্ণনা করেন। এই অনুষ্ঠান সচরাচর বরযাত্রী দলকে স্বাগত জানাতে ও বিনোদন দেওয়ার জন্য এবং অন্যান্য সামাজিক সংস্কৃতিতে প্রদর্শিত হয়। এই নৃত্য প্রদর্শনকে কিছু ব্যক্তি নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। ব্যুৎপত্তি হিন্দি ভাষায় কাচ্ছি শব্দের বিভিন্ন রকম অর্থ হয়, যার ভিতর দুটো হচ্ছে - 'তোয়ালেবিশেষ' এবং 'কচ্ছ অঞ্চলের অথবা এর অধিকারী কচ্ছ।ref></ref> ঘোড়ি অর্থ হল অশ্বা। একসঙ্গে কাচ্ছি ঘোড়ি বোঝায় নৃত্যশিল্পীর কোমরের চারদিকে পরে থাকা নকল ঘোড়ার পোশাক। বর্ণনা কাচ্ছি ঘোড়িতে নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী এবং বাদকের সম্মিলিত প্রদর্শন থাকে। রাজস্থানে পুরুষেরা কুর্তা ও একটা পাগড়ি, এবং সঙ্গে একটা নকল ঘোড়ার পোশাক পরে প্রদর্শন করেন। পোশাকের খোল বানানো হয় কাগজের মণ্ড ছাঁচে ফেলে। বাঁশের কাঠামোর সাহায্যে সেটিকে ঘোড়ার আকার দেওয়া হয়। এরপর এটা চকচকে কাপড় দিয়ে ঢেকে আয়না-কাজ সহ সূচিশিল্পের সাহায্যে বিস্তৃতভাবে নকশা করা হয়, যাকে বলে শিশা। এই নকল ঘোড়ার পা থাকেনা। পরিবর্তে নৃত্যশিল্পীর কোমর থেকে পা পর্যন্ত কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। গোড়ালির চারিদিকে ভারতীয় ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পীদের মতো নৃত্যশিল্পীরা সাংগীতিক ঘণ্টি পরেন, যাকে বলা হয় ঘুঙুর''। গোষ্ঠীনৃত্য প্রদর্শনকালে শিল্পীরা যখন বিপরীতমুখী হয়ে হাতে তরবারি নিয়ে দাঁড়িয়ে দ্রুত পিছনে এবং সামনে যান, সেই সময় ওপর থেকে দেখে মনে হয় যেন ফুল ফুটছে আর বন্ধ হচ্ছে। নৃত্যশিল্পীরা বাঁশি এবং ঢোল বাদ্যের ছন্দে তালে তাল মিলিয়ে পদক্ষেপ করেন। গায়কেরা রবিনহুড দস্যুদের আদলে তৈরি রাজস্থানি ভাঁওয়ারিয়া দস্যুদের কার্যকলাপ নিয়ে নকল যুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে থাকেন। ভূগোল কাচ্ছি ঘোড়ি নৃত্য উৎপত্তি হয়েছে রাজস্থান রাজ্যের শেখাওয়াতি অঞ্চল থেকে। কামধোলি, সর্বঘরা, ভামবি এবং ভাভি সম্প্রদায়ের মধ্যে এই নৃত্য প্রচলিত আছে। মহারাষ্ট্র এবং গুজরাত সমেত ভারতের অন্যান্য অংশেও একই নামে এই নৃত্য প্রদর্শিত হয়ে থাকে। তামিলনাড়ু রাজ্যে 'পইক্কাল কুথিরাই আট্টম' (তামিল: பொய்க்கால் குதிரை ஆட்டம், যার অর্থ হল 'নকল-পা ঘোড়া') হল কাচ্ছি ঘোড়ির মতো একটা লোকনৃত্য। তফাত শুধু রঙ্গমঞ্চের ব্যবহারে। তাঞ্জাবুর জেলার পুন্নাইনাল্লুর মারিয়াম্মান মন্দির বার্ষিক উৎসবের সময় এই নৃত্য প্রদর্শিত হয়। এখানে কাঠের পা দিয়ে নৃত্য করা হয়, যাতে ঘোড়ার খুরের নকল আওয়াজ পাওয়া যায়। আরো দেখুন ভারতে লোকনৃত্য রাজস্থানের সংস্কৃতি তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:রাজস্থানের লোকনৃত্য
কাচ্ছি ঘোড়ি নৃত্য
পুনর্নির্দেশ ক্রুশারোপণ
ক্রুশারোহণ
প্রাচীন (; ) হল নূতন নিয়ম অনুসারে কোনো স্থানীয় খ্রীষ্টীয় মণ্ডলীর নেতা। শব্দটি গ্রীক প্রেসবিতেরোস থেকে এসেছে যার অর্থ প্রাচীন বা প্রবীণ। যদিও অনেকে প্রেসবিতেরোস বলতে অধ্যক্ষপদে কর্মরত বিশপকে বুঝে থাকে, আধুনিক ক্যাথলিক ও অর্থডক্স ঐতিহ্যে প্রাচীন পদটি বিশপ থেকে আলাদা এবং পাদ্রির সাথে সমার্থক। প্রভাবশালী প্রোটেস্ট্যান্ট ধারায় প্রাচীন বলতে কোনো বিশেষ যাজকতন্ত্রের সদস্য পাদ্রিকে বোঝায় না, বরং মিনিস্টার, পাস্তর বা প্রেসবাইটারকে বোঝায়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ধরন অনুযায়ী খ্রিস্টান পাদ্রী বিষয়শ্রেণী:খ্রিস্টান পরিভাষা বিষয়শ্রেণী:স্থানীয় খ্রিস্টান গির্জার কর্মকর্তা বিষয়শ্রেণী:ধর্মীয় নেতৃত্বের ভূমিকা
প্রাচীন (খ্রীষ্টধর্ম)
জেনোসাইড: ইটস পলিটক্যাল ইউজ ইন দ্য টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি (; গণহত্যা: বিংশ শতাব্দীতে এর রাজনৈতিক ব্যবহার) হলো গণহত্যার ওপর সমাজবিজ্ঞানী লিও কুপার কর্তৃক রচিত একটি বই। বইয়ে ঐতিহাসিক উদ্ধৃতি হিসেবে আর্মেনীয় গণহত্যা, ইহুদি গণহত্যা, ১৯৭১ সালের বাংলাদেশে গণহত্যা ও ১৯৭২ সালের বুরুন্ডীয় গণহত্যাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গ্রহণযোগ্যতা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস ও ভার্জিনিয়া কোয়ার্টার্লি রিভিউ প্রভৃতি বেশ কিছু সাময়িকীতে জেনোসাইড বইয়ের সমালোচনা প্রকাশিত হয়। বইটি থেকে ব্যাপক উৎস-উল্লেখ করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে গবেষণার জন্য বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন-তালিকায় বইটিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:১৯৮১-এর বই বিষয়শ্রেণী:পরিকল্পিত গণহত্যা বিষয়শ্রেণী:বুরুন্ডিতে গণহত্যা বিষয়শ্রেণী:১৯৭১ বাংলাদেশে গণহত্যা বিষয়শ্রেণী:ইহুদি গণহত্যা
জেনোসাইড: ইটস পলিটিক্যাল ইউজ ইন দ্য টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি
লুজাইন আল-হাথলুল ( ; জন্ম: ৩১ জুলাই ১৯৮৯) একজন সৌদি নারী অধিকার কর্মী, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যক্তিত্ব এবং সাবেক রাজনৈতিক বন্দী। তিনি ব্রিটিশ কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্নাতক। আল-হাথলুলকে সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার অপরাধে একাধিকবার গ্রেপ্তার ও মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে অপহরণের পর, "রাজ্যকে অস্থিতিশীল করার" অভিযোগে বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মীর সাথে ২০১৮ সালের মে মাসে গ্রেফতার করা হয়। পরবর্তীতে তার স্বামী, সৌদি স্ট্যান্ড-আপ কৌতুকাভিনেতা ফাহাদ আল-বুতাইরিকেও জোর করে জর্ডান থেকে সৌদি আরবে ফেরত পাঠানো হয় এবং গ্রেফতার করা হয়। ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। নারী অধিকার আন্দোলন (২০১৪–২০১৭) আল-হাথলুল নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকারের জন্য আন্দোলন এবং সৌদি পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থার বিরোধিতা করার জন্য পরিচিত। ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে তার গাড়িতে সৌদি আরব যাওয়ার পথে তাকে গ্রেপ্তার করে ৭৩ দিন আটক রাখা হয়। সংযুক্ত আরব আমিরাতের লাইসেন্স থাকার পরও সৌদি পুলিশ তাকে আটক করে। আল-হাথলুল ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে সৌদি আরবে নারীদের অন্তর্ভুক্তকারী প্রথম নির্বাচনে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু তাকে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আরও ১৪,০০০ ব্যক্তির সাথে আল-হাথলুল, বাদশাহ সালমানের কাছে পুরুষ অভিভাবকত্ব ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার আহ্বান জানিয়ে একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেন। ২০১৭ সালের ৪ জুন, তাকে দামামের বাদশাহ ফাহাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়। এই গ্রেপ্তারের কারণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি, যদিও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বিশ্বাস করে যে এটি তার মানবাধিকার আন্দোলন সম্পর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য। এসময় আল-হাথলুলকে কোন আইনজীবী দেওয়া হয়নি ও তার পরিবারের সাথে যোগাযোগের অনুমতিও দেওয়া হয়নি। আটক এবং নির্যাতন (২০১৮–২০২০) ২০১৮ সালের মার্চ মাসে লুজাইন আল-হাথলুলকে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে অপহরণ করে সৌদি আরবে নির্বাসিত করা হয়, যেখানে তাকে কিছুদিনের জন্য আটক রাখার পর তার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। ২০১৮ সালের ১৫ মে, আল-হাথলুলকে আরো কয়েকজন আন্দোলনকর্মীর সাথে পুনরায় আটক করা হয়। ২০১৮ সালের জুন মাসে, আল-হাথলুল আটক থাকা অবস্থায়, সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর অধিকার প্রদান করা হয়। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, নারী অধিকার আন্দোলনের জন্য আটক আল-হাথলুল এবং আরও বেশ কয়েকজন নারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। লুজাইন আল-হাথলুলের বোন আলিয়ার মতে, (যিনি বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে বাস করেন), লুইজেনের বিরুদ্ধে প্রহার, বৈদ্যুতিক শক এবং জলপীড়ন ইত্যাদি নির্যাতন কৌশল ব্যবহার করা হয়েছে এবং এই ঘটনাগুলো ২০১৮ সালের মে থেকে আগস্ট মাসের মধ্যে ঘটেছে। তিনি আরও বলেন, সৌদি আরবের আচার অনুযায়ী নারী হিসেবে তার বোনকে নির্যাতন করা হবে না বলে তিনি আশা করেছিলেন। লুজাইন আল-হাথলুলকে তিন মাস পরিবারের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি ব্যাতীত কারাগারে আটকে রাখা হয়। যখন তিনি জানতে পারেন যে অন্যান্য বন্দীদেরকে তাদের পরিবারকে ফোন করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে, তখন তিনি একই সুবিধার দাবিতে ৬ দিনের অনশন ধর্মঘট পালন করেন। এরপর তাকে তার পিতামাতার সাথে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর, প্রায় ৩০টি দেশ কারাবন্দী নারী অধিকার কর্মী লুজাইন আল-হাথলুলকে মুক্তি দেয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানায়। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসের শেষে তিনি অনশন ধর্মঘট শুরু করেন। একই বছরের ১০ নভেম্বর, যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত বলেন যে সৌদি আরব নভেম্বরে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন আয়োজনের আগে নারী অধিকার কর্মী লুজাইন আল-হাথলুলকে মুক্তি দেওয়ার কথা বিবেচনা করছে। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চাপের মুখে তাকে মুক্তি দেয়ার সিদ্ধান্ত বিবেচনা করা হয়, যেহেতু তিনি এক সপ্তাহ ব্যাপী অনশন ধর্মঘট পালন করছিলেন। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর, রিয়াদে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্ত হওয়ার তাকে সন্ত্রাসবাদ ও জাতীয় নিরাপত্তা অপরাধের জন্য গঠিত বিশেষ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ২৯ নভেম্বর, সাতজন ইউরোপীয় দূত লুজাইন আল-হাথলুল সহ আরো পাঁচজন নারী অধিকার কর্মীকে দীর্ঘকাল আটকে রাখার নিন্দা জানিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেন। তারা হাথলুলের মুক্তি দাবি করেন। ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর আল-হাথলুলকে পাঁচ বছর আট মাসের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি তাকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়। স্বীকৃতি ২০১৫ সালে, শীর্ষস্থানীয় ১০০ প্রভাবশালী আরব নারীর তালিকায়, আল-হাথলুল তৃতীয় স্থানে ছিলেন। ২০১৯ সালের মার্চ মাসে পেন আমেরিকার পক্ষ থেকে তাকে ২০১৯ সালের পেন আমেরিকা/বারবে ফ্রিডম টু রাইট পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। আল-হাথলুল, ২০১৯ সালে টাইম পত্রিকার সেরা ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় স্থান লাভ করেন। তাকে ২০১৯ এবং ২০২০ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কারের জন্যও মনোনীত করা হয়েছিল। আরও দেখুন জামাল খাসোগি ইমান আল নাফজান আজিজা আল ইউসেফ আয়িশা আল-মানা তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৮৯-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:বিবিসি ১০০ নারী বিষয়শ্রেণী:ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার প্রাক্তন শিক্ষার্থী বিষয়শ্রেণী:জেদ্দার ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:আরবি ভাষার লেখা থাকা নিবন্ধ
লুজাইন আল হাথলুল
আখ্যান (থিয়েটার) ছিল ঐতিহ্যপূর্ণ সাংগীতিক থিয়েটার এবং তার সঙ্গে মধ্যযুগীয় রীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ গুজরাটি ও রাজস্থানি কবিতা। ভারতের গুজরাট এবং রাজস্থান রাজ্যে এই ধরনের আখ্যান প্রচলিত ছিল। ব্যুৎপত্তি ও বর্ণনা আখ্যান শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল সংস্কৃত ভাষায় বলা অথবা বর্ণনা করা। ১২ শতকের সর্বজ্ঞ পণ্ডিত হেমচন্দ্র তাঁর কাব্যানুশাসন বইতে আখ্যান সম্পর্কে বর্ণনা করতে গিয়ে বলেছেন যে, আখ্যান হল গ্রন্থিকারের (পেশাদার গল্প কথক) বলা ধর্মীয় কাহিনি থেকে পার্শ্ব গল্প, যা দর্শক-শ্রোতাদের কাছে গান এবং অভিনয় করে পরিবেশন করা হোত। নরসিংহ মেহতা প্রমুখের অ-পৌরাণিক গল্পের কথকদের বিবৃতি এই বর্ণনার সঙ্গে মেলেনা। সাধারণভাবে আখ্যানকে বর্ণনা করা যায় যে, এটা হল ধর্মীয় নির্দেশের জন্যে দর্শক-শ্রোতাদের কাছে গান এবং অভিনয়সহ গল্প কথকদের প্রদর্শন। দোলারি মানকড় একে অভিনয়ের সুযোগ নিয়ে বাদ্যযন্ত্রসহ কবিতার ধরন হিসেবে বর্ণনা করেছেন। আখ্যান যে সমস্ত কথক বা পেশাদার গল্প কথক আখ্যান আবৃত্তি করত তাদের মনভাট অথবা গাগারিয়া-ভাট বলা হোত। তারা সংগীতের সুরে কবিতা মিলিয়ে একক অভিনয় করত। তারা তাদের আঙুলগুলোতে রুপো বা তামার আংটি পরত যা অতিমাত্রায় তামা দ্বারা তৈরি জলের কলসি বা বড়ো গোলাকার ধাতব পাত্রের সংকীর্ণ মুখ এবং স্ফীত মধ্যভাগে সুরগুলি বাজানোর জন্য ব্যবহৃত হত। মন বা গাগরের গুজরাতিতে আক্ষরিক অর্থ হল পাত্র। এছাড়া সাংগীতিক সহযোগে থাকত করতাল (ঝাঁঝ), পিপা ড্রাম (পাখোয়াজ), তবলা এবং হারমোনিয়াম। যারা আখ্যান আবৃত্তি করত তারা শুধুমাত্র ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের ছিল, এভাবে অন্য সম্প্রদায়ের কোনো ব্যক্তির লেখা হলে সেটা তাকে আবৃতির জন্যে দিয়ে দেওয়া হোত। মধ্যযুগের গুজরাতি সাহিত্যে নকর নামে এরকম একজন অ-ব্রাহ্মণের তথ্য পাওয়া যায়, তিনি বেনিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ ছিলেন। তাঁরা প্রধানত দক্ষিণ গুজরাতের অধিবাসী ছিলেন। আখ্যান বিভিন্ন স্তবকে ভাগ করা হয়েছিল, যাকে বলা হোত কদবুন। কদবুন সংস্কৃত শব্দ কদবাক থেকে এসেছে, যার অর্থ হোল ''' একত্র করা বিভিন্ন সাংগীতিক তান এবং মাত্রা থেকে নেওয়া'। কদবুন অথবা আবৃত্তির তিনটে অংশ: মুখবন্ধ (ভূমিকা অথবা প্রস্তাবনা), ধল (বিবরণ) এবং বলন (সারাংশ)। মুখবন্ধ হল প্রথম দুপংক্তি যা বক্তব্যের বিষয় এবং ঘটনার পরিচয় দ্যায়। ধল হল ঘটনার বিস্তৃত বিবরণ। বলন বলা হয় শেষ দুপংক্তিকে, প্রথম কথিত ঘটনার বিবৃত সারাংশ এবং দ্বিতীয় যে ঘটনা বলা হবে। সকল আখ্যানের কথন এই কদবুনের তিন ভাগে বিবৃত করা হয়। অনেক সময় আবেগের বশে আখ্যানের কথন এবং বিবরণের মাঝখানে পদ প্রকার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আখ্যান যেহেতু ধর্মীয় কবিতার সঙ্গে নিবিড় সম্পর্কযুক্ত, এটা শুরু হয় গণেশ বন্দনা দিয়ে, যিনি সকল বাধা দূর করেন, পরবর্তী প্রদর্শন বিদ্যার দেবী সরস্বতী (দেবী) বন্দনা। এর পর কথকের বর্ণনায় থাকে পুরাণ, মহাকাব্য অথবা উপাসকদের জীবন থেকে নেওয়া ঘটনা। বিবরণের পর কথক পুস্তকের শেষ আবৃত্তি করেন। পুস্তকের শেষে থাকে লেখকের নাম, গ্রন্থণার তারিখ, জায়গা অথবা বাড়ির মতো কিছু জীবনপঞ্জী, তাঁর পূর্বসূরি অথবা পিতার নাম, তাঁর পরিবারের তথ্য। কবিতা শেষ হয় এক কিংবা একাধিক বস্তুগত সুবিধার ফলশ্রুতি'' দিয়ে। এটা যোগ করা হয় দর্শক-শ্রোতাকে আকর্ষণ করার জন্যে। দর্শক-শ্রোতাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় পাপস্খালনের সুবিধে, মোক্ষ, শারীরিক অসুখের শেষ, শিশু জন্ম, সম্পদ ইত্যাদি বিষয়ে। গল্পকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে অনেক সময় গল্পের আসল উৎস এবং এমনকি কবিতার পর্বগুলোও ঘোষণা করা হয়। যদিও গল্পগুলো মহাকাব্য এবং পুরাণ কাহিনি থেকে নেওয়া হয়, কখনোবা দর্শক-শ্রোতার মনোরঞ্জনের জন্যে গল্পগুলোকে বিভিন্নভাবে পরিবেশন করা হয়। সময়ের সঙ্গে মানিয়ে চলার জন্যে তাদের আবেগে সুড়সুড়ি দেওয়া হয়। সংস্কৃত নাটকের মতো সুখী বার্তা দিয়ে আখ্যান শেষ করা হয়। তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:কবিতার ধারা বিষয়শ্রেণী:ভারতের নাট্যকলা
আখ্যান (থিয়েটার)
পুনর্নির্দেশ ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ
২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপ নকআউট পর্যায়
নাভেদ লতিফ (; জন্ম: ২১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৬) পাঞ্জাব এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের সূচনালগ্নে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে অ্যালাইড ব্যাংক, বাহাওয়ালপুর, পাকিস্তান কাস্টমস ও সারগোদা দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন তিনি। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট ১৯৯৩-৯৪ মৌসুম থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত নাভেদ লতিফের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। পাঞ্জাবের ডানহাতি আগ্রাসী ব্যাটসম্যান হিসেবে নাভেদ লতিফের সবিশেষ পরিচিতি ছিল। পাকিস্তানের শক্তিশালী ব্যাটিং অবস্থান থাকাকালে নিজেকে জাতীয় দলে অন্তর্ভূক্তিতে সচেষ্ট হয়েছিলেন। ২০০০-০১ মৌসুমের কায়েদ-ই-আজম ট্রফি প্রতিযোগিতায় সারগোদা দলের সদস্যরূপে খেলেন। গুজরানওয়ালার বিপক্ষে ৪০০ রানের কম ৩৯৪ রান তুলে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেন। তেরো ঘণ্টা ক্রিজে অবস্থান করে ৩৯৪ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে করাচীতে আফতাব বালুচের গড়া ৪২৮ রানের পর পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে এটিই সর্বোচ্চ সংগ্রহরূপে পরিণত হয়। এছাড়াও, প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ইতিহাসে তৎকালীন দশম সর্বোচ্চ রানের মর্যাদাপ্রাপ্ত হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্ট ও এগারোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন নাভেদ লতিফ। ৩১ জানুয়ারি, ২০০২ তারিখে শারজায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি। অন্যদিকে, টেস্ট অভিষেকের পূর্বেই ৩১ অক্টোবর, ২০০১ তারিখে একই মাঠে জিম্বাবুয়ে দলের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ১০ অক্টোবর, ২০০৩ তারিখে রাওয়ালপিন্ডিতে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। জানুয়ারি/ফেব্রুয়ারি, ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন। টেস্ট অভিষেকের পূর্বে ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। এরপর, নিজস্ব দ্বিতীয় ওডিআইয়ে শ্রীলঙ্কারবিপক্ষে ১১৩ রানের অসাধারণ শতক হাঁকান। দলের বিজয়ে যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। তবে, খেলায় ধারাবাহিকতা না থাকায় তার অংশগ্রহণ সীমিত হয়ে যায়। এগারোটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সর্বশেষ ওডিআইয়ে অংশ নেন তিনি। অবসর ২০০৪-০৫ মৌসুমে টুয়েন্টি২০ ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। সাউথ নটিংহ্যামশায়ার লীগের প্রথম বিভাগে প্লামট্রি সিসি’র পক্ষে কয়েকটি খেলায় অংশ নেন। এরপর, জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা কম থাকায় অনুমোদনবিহীন ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লীগে অংশ নেন। ২০০৮ সালের শুরুতে আইসিএলের দ্বিতীয় আসরে লাহোর বাদশাহের পক্ষে খেলার জন্যে চুক্তিবদ্ধ হন। পরিসংখ্যান ওডিআই শতক ওডিআইয়ে ম্যান অব দ্য ম্যাচ তথ্যসূত্র আরও দেখুন তৌফিক উমর মোহাম্মদ ইলিয়াস এক টেস্টের বিস্ময়কারী ২০০১-০২ এশিয়ান টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপ পাকিস্তানি টেস্ট ক্রিকেটারদের তালিকা প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট দলসমূহের বর্তমান তালিকা পাকিস্তানি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের তালিকা বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:১৯৭৬-এ জন্ম বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:আইসিএল পাকিস্তান একাদশের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:অ্যালাইড ব্যাংক লিমিটেডের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের টেস্ট ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানের একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান কাস্টমসের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:পাঞ্জাবের (পাকিস্তান) ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ফয়সালাবাদের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:ফয়সালাবাদ উল্ভসের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:বাহাওয়ালপুরের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:লাহোর বাদশাহের ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:সারগোদার ক্রিকেটার বিষয়শ্রেণী:সারগোদা থেকে আগত ক্রিকেটার
নাভেদ লতিফ
পুনর্নির্দেশ ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (সংগঠন)
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস (অর্গানাইজেশন)
ডান|থাম্ব|200x200পিক্সেল|মাউন্ট ক্যামেরুনে আগ্নেয় গিরিখাত ডান|থাম্ব|200x200পিক্সেল|বানদুং, ইন্দোনেশিয়ায় একটি আগ্নেয়গিরির গর্ত আগ্নেয় গিরিখাত হলো আগ্নেয়গিরির ক্রিয়াকলাপের কারণে ভূমিতে সৃষ্টি হওয়া একটি গোলাকার নিচু জায়গা। এটি সাধারণত একটি বাটি আকৃতির বৈশিষ্ট্যের হয় যার মধ্যে ভেন্ট সংঘটিত হয়। আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের সময়, গলিত ম্যাগমা এবং আগ্নেয় গ্যাস ভূগর্ভস্থ ম্যাগমা চেম্বার থেকে উঠে একটি নল আকৃতির নালীর মাধ্যমে, যতক্ষণ না তারা আগ্নেয় গিরিখাতে পৌঁছায়। সেখান থেকে গ্যাস বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করে এবং ম্যাগমা লাভা হিসাবে বিস্ফোরিত হয়। একটি আগ্নেয় গিরিখাত বড় আকারের হতে পারে এবং কখনও কখনও বিশাল গভীরতারও হতে পারে। বিশেষ ধরনের বিস্ফোরক অগ্ন্যুৎপাতের সময়, একটি আগ্নেয়গিরির ম্যাগমা চেম্বার তার উপরের একটি এলাকা কমে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট খালি হতে পারে, যা ক্যালডেরা নামে পরিচিত এক ধরনের বৃহত্তর নিচু জায়গা গঠন করে। ভূতাত্ত্বিকতা বেশিরভাগ আগ্নেয়গিরির মধ্যে লাভা প্রবাহ এবং টেফ্রার মতো অগ্ন্যুত্পাত আগ্নেয়গিরির জমার কারণে গঠিত পর্বতের শীর্ষে গর্তটি অবস্থিত। এই ধরনের শিখরে গর্ত তৈরি করে শেষ হওয়া আগ্নেয়গিরিগুলো সাধারণত শঙ্কুগত আকারে থাকে। অন্যান্য আগ্নেয়গিরির ক্ষেত্রে গর্তগুলো আগ্নেয়গিরির তলদেশে পাওয়া যায় এবং এগুলিকে সাধারণত পার্শ্ববর্তী গর্ত হিসাবে উল্লেখ করা হয়। কিছু আগ্নেয় গিরিখাত সম্পূর্ণ বা আংশিক বৃষ্টি অথবা গলিত বরফ দিয়ে পূর্ণ হতে পারে যার ফলে আগ্নেয় হ্রদ গঠিত হয়। বিস্ফোরণ বা বিস্ফোরণ বা লাভা দ্বারা বা পরে ক্ষয়ের মাধ্যমে একটি বিস্ফোরণের সময় একটি গর্ত ভেঙে যেতে পারে। ভাঙা ক্র্যাটারগুলির একদিকে অনেক কম রিম রয়েছে। (আগ্নেয় গিরিখাত) কিছু আগ্নেয়গিরি, যেমন মার, একা একটি গর্ত নিয়ে গঠিত যেখানে পাহাড়ের সংখ্যা খুবই কম। এই আগ্নেয় বিস্ফোরণ গর্ত তখনই গঠিত হয় যখন ম্যাগমা পানি স্যাচুরেটেড পাথরের মাধ্যমে উঠে এবং একটি ফ্রিয়াটিক অগ্ন্যুৎপাত ঘটায়। ফাটল থেকে সৃষ্ট আগ্নেয়গিরির গর্ত প্রায়ই অন্যান্য স্পষ্ট আগ্নেয়গিরি থেকে দূরে সমভূমিতে সংঘটিত হয়। তবে সব আগ্নেয়গিরি গর্ত গঠন করে না। আরও দেখুন অগ্ন্যুৎপাত মিশ্র আগ্নেয়গিরি সিন্ডার কোণ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ মার্কিন জাতীয় উদ্যান পরিষেবা কর্তৃক প্রকাশিত আগ্নেয়গিরির বৈশিষ্ট্য এবং ভূমির গঠন আগ্নেয় গিরিখাত বিষয়শ্রেণী:আগ্নেয় ভূমিরূপ বিষয়শ্রেণী:আগ্নেয়গিরির গর্ত
আগ্নেয় গিরিখাত
ভার্না বুলগেরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর এবং বুলগেরিয়ান কৃষ্ণ সাগর উপকূলের বৃহত্তম শহর ও সমুদ্র উপকূলবর্তী রিসর্ট। ভার্নার উপসাগরে কৌশলগতভাবে অবস্থিত, শহরটি প্রায় তিন সহস্রাব্দের জন্য একটি প্রধান অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হয়ে উঠেছে। ঐতিহাসিকভাবে ওডেসোস নামে পরিচিত, ভার্না একটি থ্র্যাসিয়ান সমুদ্র উপকূলের একটি জনপদ থেকে কৃষ্ণ সাগরের একটি বড় সমুদ্রবন্দরে পরিণত হয়েছে। ভার্না ব্যবসা, পরিবহন, শিক্ষা, পর্যটন, বিনোদন ও স্বাস্থ্যসেবার গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। শহরটিকে বুলগেরিয়ার সমুদ্র রাজধানী হিসাবে উল্লেখ করা হয় এবং এটি বুলগেরিয়ান নৌবাহিনী ও বণিক সামুদ্রিকের সদর দফতর। ভার্নাকে ২০০৮ সালে কাউন্সিল অব ইউরোপ দ্বারা কৃষ্ণ সাগর ইউরোঅঞ্চলের আসন হিসাবে মনোনীত হয়। ভার্নাকে ২০১৪ সালে 'ইউরোপীয় যুব রাজধানী ২০১৭' শিরোনামে ভূষিত করা হয়। ভার্না সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত বিশ্বের প্রাচীনতম সোনার ধনদৌলত ভার্না নেক্রোপলিসে পাওয়া গিয়েছে এবং এগুলি খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০০–৪২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের সমসাময়িক। ভূগোল শহরটি উত্তর দিকে ক্যালকেরিয়াস ক্রাঞ্চ মালভূমি ও দক্ষিণে অভ্রেন মালভূমি থেকে নেমে আসা সবুজ চত্বর, কৃষ্ণ সাগরের অশ্বখুরাকৃতির ভার্না উপসাগর, প্রলম্বিত ভার্না হ্রদ এবং উপসাগর ও হ্রদকে সংযোগকারী দুটি কৃত্রিম জলপথ সহ ২৩৮ বর্গ কিলোমিটার (৯২ বর্গ মাইল) ভূমিভাগ জুড়ে বিস্তৃত। এটি সমুদ্র সৈকত বরাবর ২০ কিমি (১২ মাইল) উত্তর ও ১০ কিমি (৬ মাইল) দক্ষিণে (বেশিরভাগ আবাসিক ও বিনোদনমূলক স্থান) এবং হ্রদ বরাবর ২৫ কিমি (১৬ মাইল) পশ্চিমে (বেশিরভাগ পরিবহন ও শিল্প) প্রসারিত একটি ক্রমবর্ধমান কেন্দ্র। প্রাচীনকাল থেকে শহরটি দ্রাক্ষাক্ষেত্র, বাগান ও বন দ্বারা বেষ্টিত। বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের সুবিধাসমূহ হ্রদ ও খালের মধ্যে শহরের অভ্যন্তর ভাগে স্থানান্তরিত করা হচ্ছে এবং প্রায় সমস্ত ওয়াটারফ্রন্ট পার্কল্যাণ্ড সহ উপসাগরটি একটি বিনোদন ক্ষেত্র হিসাবে রয়ে গেছে। জলবায়ু ভার্নায় গ্রীষ্মকালে ভূমধ্যসাগরীয় প্রভাব থাকলেও, শরৎকালে-শীতকালে বিশেষত মহাদেশীয় প্রভাব সহ আর্দ্র উপক্রান্তীয় জলবায়ু (কোপেন জলবায়ু শ্রেণিবিন্যাস সিএফএ) দেখা যায়। নির্দিষ্ট কৃষ্ণ সাগরীয় জলবায়ু দেশের অভ্যন্তরীণ অংশের চেয়ে হালকা এবং সমুদ্রের প্রভাব মাঝেমধ্যে উত্তর-পূর্ব থেকে আগত শীতল বায়ুর প্রভাবকে হ্রাস করে। দেশের সাপেক্ষে গড় বৃষ্টিপাত সর্বনিম্ন এবং রৌদ্রের আধিক্য রয়েছে। জনপরিসংখ্যা প্রথম জনসংখ্যার তথ্য ১৭তম শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে পাওয়া যায়, যখন শহরটিতে প্রায় ৪,০০০ জন বাসিন্দা ছিল বলে মনে করা হত। প্রথম জনগণনা গণনা ১৮৮১ সালে করা হয়, যখন জনসংখ্যা ছিল ২৪,৫৫৫ জন। ১৮৮৩ সালের আদমশুমারি অনুসারে এটি রুষের পরে বুলগেরিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ছিল। এরপরে ভার্না বুলগেরিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর হয়ে ওঠে ও পরবর্তী ১২০ বছর ধরে এই অবস্থানটি অবিচলভাবে ধরে রাখে এবং বিভিন্ন শহর বিভিন্ন সময়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও চতুর্থ স্থান অর্জন করেছে। অর্থনীতি ভার্না অর্থনৈতিকভাবে সেরা কার্য সম্পাদনাকারী ও দ্রুত বর্ধনশীল বুলগেরীয় শহরগুলির মধ্যে একটি। ২০১৬ সালের হিসাবে বেকারত্বের হার ৩.৫% এবং গড় বেতন প্রতি মাসে প্রায় ৯০০lv (৪৫০€)। বাণিজ্য ও পর্যটনে ৬১%, উৎপাদনে ১৬%, পরিবহন ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে ১৪% ও নির্মাণে ৬% আয়ের সাথে শহরের অর্থনীতিটি পরিষেবা ভিত্তিক। আর্থিক পরিষেবাগুলি, বিশেষত ব্যাংকিং, বীমা, বিনিয়োগ পরিচালনা ও রিয়েল এস্টেট বা আবাসনের আর্থিক সংস্থান দ্রুত বিকশিত হচ্ছে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকটের পতন ২০০৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত শহরটির অর্থনীতিতে কঠিন কোন প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। শহরটি প্যান-ইউরোপীয় পরিবহন করিডোর ৮ এর পূর্বতম গন্তব্য এবং রাউসের মাধ্যমে ৭ নং এবং ৯ নং করিডোরের সাথে সংযুক্ত। প্রধান শিল্পসমূহের মধ্যে ঐতিহ্যগতভাবে পরিবহন (নাবিবুলগার, ভার্না বন্দর, ভার্না বিমানবন্দর), বিতরণ (লজিস্টিক পার্ক ভার্না), জাহাজ নির্মাণ (এছাড়াও মহাসাগর-সৃষ্টি দেখুন), জাহাজ মেরামত ও অন্যান্য সামুদ্রিক শিল্প অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পরিবহন ভার্না বায়ু (বর্ণা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর), সমুদ্র (বর্না ক্রুজ টার্মিনালের পোর্ট), রেলপথ (মধ্য রেল স্টেশন), বাস ও রাস্তা দ্বারা প্রবেশযোগ্য। ইউরোপীয় সড়ক সহ প্রধান রাস্তাগুলির মধ্যে রয়েছে ভার্না-বুখারেস্ট ই৭০, ভার্না-ইস্তাম্বুল ই৮৭ এবং ভার্না-কনস্টান্টা; জাতীয় মোটরওয়েগুলি হল ভার্না- সোফিয়া এ২ (হেমাস মোটরওয়ে) এবং ভার্না-বার্গাস এ৫ (চেরানো মোর মোটরওয়ে)। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:ভার্না বিষয়শ্রেণী:বুলগেরিয়ার প্রাচীন গ্রিক প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান বিষয়শ্রেণী:বুলগেরিয়ার প্রাক্তন রাজধানী
ভার্না
পুনর্নির্দেশ তারা দেবী (গায়িকা)
Tara Devi (singer)
উপরাষ্ট্রপতির ভবন ভারতের নয়া দিল্লি, ভারতের দিল্লিতে অবস্থিত ভারতের উপরাষ্ট্রপতির সরকারী বাসভবন। ইতিহাস ১৯৬২ সালের মে মাস থেকে এই বাংলোটি নয়া দিল্লির মাওলানা আজাদ নং ৬ রোডে অবস্থিত ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতির সরকারি বাসভবন হিসাবে কাজ করে। আবাসের ক্ষেত্রফল ৬.৪৮ একর (২৬,২২৩.৪১ বর্গ মিটার)। এটি পশ্চিমে বিজ্ঞান ভবন অ্যানেক্সির সাথে একটি সাধারণ সীমানা প্রাচীর ভাগ করে নিয়েছে এবং এটি দক্ষিণে মাওলানা আজাদ রোড, পূর্বে মান সিং রোড এবং সবুজ অঞ্চল রাজপথকে ছাড়িয়ে আবদ্ধ করা হয়েছে। আরও দেখুন রাষ্ট্রপতি ভবন তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ভারতের উপরাষ্ট্রপতির অফিসিয়াল ওয়েব সাইট বিষয়শ্রেণী:ভারতের উপরাষ্ট্রপতি
উপরাষ্ট্রপতি ভবন (ভারত)
পুনর্নির্দেশ আগ্নেয় গিরিখাত
Summit crater
পুনর্নির্দেশ ঈশানগোপালপুর গণহত্যা
ঈশান গোপালপুর গণহত্যা
পুনর্নির্দেশ ২০২১ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ কর্মকর্তা পরিবর্তনের তালিকা
List of 2021 Indian Premier League personnel changes
পুনর্নির্দেশ যুগীশো ও পালশা গণহত্যা
যোগীশো ও পালশা গণহত্যা
থাম্ব| গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের সাথে শর্মিলা শর্মিলা মুখোপাধ্যায় (মুখার্জি) একজন ওড়িশি নৃত্যশিল্পী ও নৃত্য পরিকল্পনাকার (কোরিওগ্রাফার) এবং গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের শিষ্য। তিনি বেঙ্গালুরুর সঞ্জলি সেন্টার ফর ওড়িশি ডান্সের প্রতিষ্ঠাতা ও শৈল্পিক পরিচালিকা, এটি ২০০৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি মহরী পুরস্কারপ্রাপ্তদের একজন। প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা ১৬ বছর বয়সে শর্মিলা মুখোপাধ্যায় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকীতে নৃত্যনাট্য 'চণ্ডালিকা'-তে প্রধান চরিত্র 'প্রকৃতি'র ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, যেটি তাঁর লাবণ্যের জন্য সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। তিনি ১৯৮৪ সালে গুরু কেলুচরণ মহাপাত্রের অধীনে ওড়িশি প্রশিক্ষণ শুরু করেছিলেন। সবশেষে তিনি শ্রীমতি কলানিধি নারায়ণনের কাছ থেকে নৃত্যাভিনয়ের দিকনির্দেশনা পেয়েছিলেন এবং শ্রীমতি সংযুক্তা পাণিগ্রাহী কর্তৃক পরিচালিত কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন। কর্মজীবন ২০০০ সালে শর্মিলা মুখোপাধ্যায় মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি স্কলারশিপ বা শিক্ষাবৃত্তি অর্জন করেছিলেন এবং সেখানে তিনি নৃত্য বিচলন এবং রচনার প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। শর্মিলা মুখোপাধ্যায় দূরদর্শনের একজন এ-গ্রেড তথা প্রথম স্তরের শিল্পী এবং ভারতীয় সংস্কৃতি সম্পর্কিত পরিষদের প্রতিষ্ঠিত শিল্পী। তিনি ভারত এবং ভারতের বাইরে বিভিন্ন দেশ যেমন ফিজি, মালয়েশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইতালি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন উৎসবে নৃত্য প্রদর্শন করেছেন । ২০০৪ সালে তিনি ওড়িশি নৃত্যের জন্য সঞ্জলি সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছেন। সঞ্জলি দলকে ভারত ও অন্যান্য দেশে উৎসবে অংশ নিতে ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রক কর্তৃক 'আউটস্ট্যান্ডিং' বিভাগে নথিভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বেঙ্গালুরুতে 'প্রবাহ' শিরোনামে একটি বার্ষিক ওড়িশি অনুষ্ঠানের উপস্থাপনা করছেন। এর সাম্প্রতিক সংস্করণটি মঞ্চস্থ হয়েছে 'সূক্ষ্ম' শিরোনামে। থাম্ব|200x200পিক্সেল|বেঙ্গালুরুর সঞ্জলি সেন্টার ফর ওড়িশি ডান্সের প্রতিষ্ঠাতা ও শৈল্পিক পরিচালিকা পুরস্কার সুর সিঙ্গার সংসদ (মুম্বই) থেকে সিঙ্গার মণি পুরস্কার কর্ণাটক থেকে কলাগৌরব পুরস্কার কলকাতা থেকে শিরোনাম পুরস্কার গুরু পঙ্কজ চরণ দাস ফাউন্ডেশন থেকে মহরী পুরস্কার তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ওড়িশি নৃত্যশিল্পী বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় মহিলা নৃত্য পরিকল্পনাকার বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) বিষয়শ্রেণী:মহরী পুরস্কারপ্রাপ্ত
শর্মিলা মুখোপাধ্যায়
চুড়িদার, বা আরও সঠিকভাবে চুড়িদার সুঠান একটি আঁটসাঁট লম্বা পাজামার মত পরিধান বস্ত্র, যেটি ভারতীয় উপমহাদেশে পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই পরে। প্রকরণ প্রচলিত সালোয়ার পাজামার বিকল্প হল চুড়িদার। সালোয়ারগুলি উপরের অংশে ঢোলা থাকে এবং গোড়ালির দিকে সরু হয়ে যায়। চুরিদারগুলি উপর থেকেই দ্রুত সরু হয়ে যায়, যাতে পায়ের বহিরবয়ব প্রকাশিত হয়। এগুলি সাধারণত বায়াস কাপড়ে তৈরি করা হয় যাতে এগুলি স্বাভাবিকভাবে প্রসারিত হতে পারে। আঁটসাঁট পাজামার জন্য প্রসারণ খুব জরুরি। এগুলি পায়ের স্বাভাবিক মাপের চেয়ে দীর্ঘ হয় এবং কখনও কখনও গোড়ালিতে আঁটসাঁট বোতামযুক্ত আস্তিন থাকে। অতিরিক্ত কাপড়ের দৈর্ঘ্য গোড়ালিতে ভাঁজ হয়ে পড়ে এবং সেগুলিকে চুড়ির সমাহার মনে হয় (এই থেকে 'চুড়িদার' নামকরণ; 'চুড়ি': চুড়ি, 'দার': মত)। পরিধানকারী বসে থাকার সময় কাপড়ের অতিরিক্ত উপাদান "স্বাচ্ছন্দ্য" প্রদান করে, যার ফলে পা বাঁকানো যায় এবং আরামে বসতে পারা যায়। ব্যুৎপত্তি চুড়িদার শব্দটি উর্দু থেকে এসেছে এবং মাত্র বিশ শতকে ইংরেজি শব্দভাণ্ডারে প্রবেশ করেছে। এর আগে ভারতে পরা আঁটসাট চুড়িদার জাতীয় পাজামাগুলিকে ব্রিটিশরা লং-ড্রয়ার বা মসকিউটো ড্রয়ার বলে উল্লেখ করত।<ref name=hobson-jobson>Yule, Henry and A. C. Burnell. 1903. Hobson-Jobson: A Glossary of Colloquial Anglo-Indian Words and Phrases, and of Kindred Terms, Etymological, Historical, Geographical and Discursive. London: John Murray. 1021 pages.</ref> রীতি সাধারণত মহিলারা কামিজের (টিউনিক) সাথে এবং পুরুষেরা কুর্তা''র সাথে (একটি আলগা প্রশস্ত জামা) চুড়িদার পরে থাকে, অথবা সেটি একটি বডিস এবং স্কার্টের পোশাকের অংশ হতে পারে। ছবিঘর আরো দেখুন সালোয়ার-কামিজ জম্মুর পোশাক কান্দুরা তথ্যসূত্র বিষয়শ্রেণী:ভারতীয় পোষাক বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশী পোশাক বিষয়শ্রেণী:পাকিস্তানি পোষাক
চুড়িদার
থাম্ব|তিজেরাসের সুরেলা রাস্তা থাম্ব|যাতায়াতকারী গাড়িকে স্পন্দিত করতে এবং সুর উৎপন্ন করতে রাস্তায় কাটা খাঁজ সুরেলা রাস্তা হল এমন একটি রাস্তা, বা একটি রাস্তার অংশ, যার উপর দিয়ে চালিয়ে যাওয়ার দরুণ স্পর্শকাতর কম্পন এবং শ্রুতিগম্য গোলযোগ ঘটায় যা গাড়ির চাকা ও মূল কাঠামোর মাধ্যমে অনুভূত হতে পারে। সুরেলা ধ্বনির আকারে এই গোলযোগ গাড়ির অভ্যন্তরসহ পারিপার্শ্বিক অংশগুলোতেও শোনা যায়। ডেনমার্ক, হাঙ্গেরি, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ইরান, সান ম্যারিনো, তাইওয়ান, নেদারল্যান্ডস ও ইন্দোনেশিয়ায় সুরেলা রাস্তাগুলোর অস্তিত্ব রয়েছে বলে জানা যায়। দেশ দ্বারা ডেনমার্ক প্রথম জ্ঞাত সুরেলা রাস্তা, অ্যাস্ফাল্টোফোন, ১৯৯৫ সালের অক্টোবরে ডেনমার্কের জিলিংয়ে দুই ডেনিশ শিল্পী স্টিন ক্রারুপ জেনসেন ও জ্যাকব ফ্রয়েড-ম্যাগনাস দ্বারা তৈরি করা হয়। অ্যাস্ফাল্টোফোন 'বটস ডটস'-এর অনুরূপ উত্থিত পাকারাস্তা মার্কারের একটি সারি থেকে তৈরি, সবিরাম ব্যবধানে ফাঁকা জায়গা করা যাতে একটি গাড়ি মার্কারের উপর দিয়ে অতিক্রম করার দরুন চাকার দ্বারা উৎপন্ন হওয়া স্পন্দন গাড়ির ভেতরে শোনা যায়। বাজানো গানটি এফ মেজর কী-এর একটি 'আরপেজিও'। হাঙ্গেরি ২০১৯ সালে 'রিপাবলিক' ব্যান্ডের মুখ্য গায়ক সিপোর স্মরণে হাঙ্গেরি একটি সুরেলা রাস্তা নির্মাণ করে। রাস্তার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তাঁদের ৬৭-এশা তুত (রাস্তা ৬৭) গানের প্রায় ৩০ সেকেন্ডব্যাপী টুকিটাকি শুনতে পাওয়া যায়। ইন্দোনেশিয়া ২০১৯ সালে জাভায় সোলো-কের্তোসোনো টোল রোডের নাউয়ি-কের্তোসোনো অংশ বরাবর ইন্দোনেশিয়া একটি সুরেলা রাস্তা নির্মাণ করে। বাজানো গানটি "হ্যাপী বার্থডে টু ইউ"-এর প্রথম ৬টি নোট, কিন্তু ৫ম নোটটি অর্ধ-ধাপের জন্য বেসুরো। এটি রাস্তায় সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা কমানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছিল, এবং গানটি সম্প্রদায়টির নিকট পরিচিত বিধায় এটি নির্বাচন করা হয়েছিল। জাপান থাম্ব|জাপানের হোক্কাইডোর শিবেতসুতে মেলোডি রাস্তা জাপানে শিজুও শিনোডা দুর্ঘটনাবশত বুলডোজার দিয়ে রাস্তায় কিছু চিহ্ন চাঁছিলো ও ঐগুলোর উপর দিয়ে চালিয়ে গেলো এবং উপলব্ধি করলো যে, খাঁজের গভীরতা ও প্রশস্ততার উপর নির্ভর করে সুর তৈরি করা সম্ভব। ২০০৭ সালে হোক্কাইডো জাতীয় শিল্প গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যারা পূর্বে অবলোহিত আলো ব্যবহার করে বিপজ্জনক রাস্তার উপরিভাগ চিহ্নিত করার একটি পদ্ধতির উপর কাজ করেছে, তারা শিনোডার নকশাগুলোকে মেলোডি রাস্তা তৈরি করতে পরিমার্জন করল। তারা নির্দিষ্ট ব্যবধানে কংক্রিটের মধ্যে খাঁজ কাটার একই ধারণা ব্যবহার করলো এবং বের করলো যে, খাঁজগুলো যত কাছে থাকে, তত বেশি ধ্বনির তীক্ষ্ণতা হয়; যেখানে যে খাঁজগুলো দূরে দূরে আছে, সেগুলো কম তীক্ষ্ণতাসম্পন্ন ধ্বনি উৎপন্ন করে। জাপানজুড়ে স্থায়ীভাবে নির্মিত বহু ২৫০ মিটার (৮২০ ফুট) বিশিষ্ট মেলোডি রাস্তা আছে। সর্বপ্রথম নির্মিত মেলোডি রাস্তাগুলোর মধ্যে একটি নেমুরো-এর শিবেতসু'র হোক্কাইডোতে অবস্থিত, যেটি শিনোডার বুলডোজার চাঁছনির জায়গাটিতে "শিরেকেতো লাভ সং" বাজায়; আরেকটি ওয়াকায়ামা এলাকার কিমিনো শহরে অবস্থিত, যেখানে একটি গাড়ি কিয়ু সাকামোতোর জাপানিজ লোককাব্য "মিয়াগেতে গোরান ইয়ুরো নো হোশি ও" উৎপন্ন করতে পারে; একটি মাউন্ট ফুজির ঊর্ধ্বগামী পথ বরাবর শিজুকা এলাকাতে অবস্থিত এবং চতুর্থটি গুনমা-এর কাটাশিনা গ্রামে অবস্থিত, যেটি ১৭৫ মিটার (৫৭৪ ফুট) বিস্তারবিশিষ্ট  যানবাহন চলাচলের জন্য বিদ্যমান পথের মধ্যে ২,৫৫৯টি কাটা খাঁজের তৈরি ও "মেমোরিস অব সামার"-এর সুর তৈরি করে। অপেক্ষাকৃত নিম্ন ও উচ্চ কম্পাঙ্কবিশিষ্ট স্পন্দন তৈরির জন্য পরিবর্তনশীল প্রশস্ততার খাঁজ বিরতির ধারা তৈরি করে রাস্তাগুলো কার্য সম্পাদন করে। এদের মধ্যে কিছু রাস্তা, যেমন ওকিনাওয়াতে অবস্থিত একটি, যেটি "ফুতামি জোয়া" নামক জাপানিজ পল্লীসঙ্গীত উৎপন্ন করে, পাশাপাশি হিরোশিমা এলাকাতে একটি, হচ্ছে বহুধ্বনিবিশিষ্ট; যাতে মেলোডি ও ঐকতান শুনতে পাওয়া হেতু বাম ও ডান টায়ারের জন্য বিভিন্ন ক্রমবিশিষ্ট গোলযোগ পট্টি নিয়ে তৈরি। ২০১৬ এর হিসাবে, জাপানে ৩০টির বেশি মেলোডি রাস্তা রয়েছে। নেদারল্যান্ডস ফ্রিসল্যান্ডের জেলসাম গ্রামের কাছে একটি সুরেলা রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছিল। যদি গাড়িচালকরা নিয়ম মেনে গাড়ি চালাতো, তাহলে ফ্রিসল্যান্ড প্রদেশের সঙ্গীত (ডি অল্ড ফ্রেইজেন) বেজে উঠতো; নতুবা গানটি বেসুরোভাবে বেজে উঠতো। গ্রামবাসীদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়ার পরে সুরেলা রাস্তাটি সরানো হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়া সুরেলা রাস্তা দক্ষিণ কোরিয়ার জিয়নগি'র আয়নাং-এর নিকটে পাওয়া যেতে পারে, এবং জাপানিজ মেলোডি রাস্তার মতো ভূমিতে খাঁজ কেটে তৈরি করা হয়েছিল। এ সুরেলা রাস্তা মোটরগাড়ি চালকদের সতর্ক ও সজাগ থাকতে সহায়তা করার জন্য নকশা করা হয়েছিল, যেখানে জাপানিজ রাস্তাগুলো পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে তৈরি করা হয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সড়ক দুর্ঘটনার ৬৮% অমনোযোগী, ঘুমন্ত বা দ্রুতগতিতে চলা চালকদের কারণে হয়। বাজানো সুরটি হচ্ছে "মেরি হ্যাড এ লিটল ল্যাম্ব" এবং এটি স্থাপন করতে চার দিন লেগেছিল। ২০১০ এর হিসাবে, দক্ষিণ কোরিয়ায় তিনটি সুরেলা রাস্তা আছে; দ্বিতীয়টি যেটি অজানা কোনো এক সময়ে তৈরি, কংওয়োনল্যান্ড স্কি রিসোর্ট থেকে বহির্গামী অতিথিদের জন্য একটি ঐতিহ্যবাহী পল্লীসুর বাজায়। তৃতীয়টি ওসান থেকে চিনাহতে যাওয়ার পথে অবস্থিত; এটিতে বাজানো গানটির শিরোনাম বর্তমানে অজানা। চীন বেইজিং এর দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ফেংতাই জেলার 'কিয়ানলিংশান মাউন্টেন সিনিক এরিয়া'-তে ৩০০ মিটার বিস্তৃত পিচঢালা রাস্তাকে সুরেলা রাস্তায় পরিণত করা হয়েছে এবং এটি 'ওড টু দ্য মাদারল্যান্ড' নামক সুরটি বাজাবে, যতক্ষণ না পর্যন্ত চালকরা ৪০ কি.মি./ঘণ্টার গতিসীমা মেনে না চলে। নির্মাণকাজ ২০১৬ সালে সমাপ্ত হয়েছিল। বেইজিং লুক্সিন ডাচেং ভূদৃশ্য স্থাপত্য কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক লিন ঝং বলেন, "গানের মেলোডি অনুসারে বিভিন্ন আকারের দূরত্বে ছোট ছোট খাঁজ রাস্তার উপরিতলে রয়েছে। এসব 'গোলযোগ পট্টি' গাড়ির টায়ারকে গান বাজাতে সাহায্য করে ও সুরেলা রাস্তা তৈরি করে।" লিন আরো বলেন, "আমাদের প্রথম চিন্তা ছিল, গাড়িদের একটি নির্দিষ্ট গতিতে যাতায়াত করানো। কারণ, একমাত্র এই উপায়েই আপনি ভালো সুরেলা আবেশ উপভোগ করতে পারেন। আমরা এটিকে গতিসীমার অনুস্মারক হিসেবে ব্যবহার করি।" চীনে আরো দুইটি সুরেলা রাস্তা বিদ্যমানঃ প্রথমটি হেনান-এর একটি প্রাকৃতিক রিজার্ভে অবস্থিত, যেটি জাতীয় সঙ্গীত ও 'মো লি হুয়া' বাজায়; এবং দ্বিতীয়টি ইয়ানতাই-এর ইয়াংমা দাও এর নিকটে অবস্থিত, যেটি 'কারমেন' ও 'ওড টু জয়' থেকে ওভারটিউর বাজায়। একটি গান রাস্তার প্রতি পাশে একই অবস্থানে যুক্ত করা হয়েছে, যাতে চালকরা 'ওয়ান ওয়ে' ও আরেক ওয়েতে একটি গান উপভোগ করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র সিভিক সুরেলা রাস্তা ২০০৮ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ার ল্যানকেস্টারের অ্যাভিনিউ কে'তে নির্মাণ করা হয়েছিল। ৬০তম ও ৭০তম স্ট্রিট ওয়েস্টের মধ্যবর্তী এক-চতুর্ভাগ মাইল বিস্তৃতিতে সিভিক সুরেলা রাস্তায়  "উইলিয়াম টেল ওভারটিউর" ফিনালের অংশের প্রতিরূপ তৈরি করতে খাঁজ পিচে কেটে তৈরি করা হয়েছিল। শ্রাব্যতা লেভেলের ব্যাপারে নিকটবর্তী বাসিন্দাদের শহর কাউন্সিলের নিকট অভিযোগের পরে ২৩ সেপ্টেম্বর এটি প্রশস্ত করা হয়েছিল। এটির অপসারণজনিত ব্যাপারে শহরের বাসিন্দাদের  আরো অভিযোগের জন্য, এবার, যেকোনো বসতি থেকে দুই মাইল দূরে- ৩০তম ও ৪০তম স্ট্রিট ওয়েস্টের মধ্যবর্তী অ্যাভিনিউ জি'তে এটি পুনঃনির্মাণ করার জন্য ২০০৮ সালের ১৫ অক্টোবর কাজ শুরু হয়েছিল। 'হোন্ডা সিভিক' এর নামে রাস্তাটির নামকরণ করা হয়। এটি দুইদিন পরে উন্মুক্ত করা হয়েছিল। অ্যাভিনিউ জি এর উপর নতুন শাখাটি কেবলমাত্র রাস্তাটির পশ্চিমমুখী পাশের ফার লেফ্ট লেনে অবস্থিত। রাস্তাটি হোন্ডা সিভিকের বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল। ছন্দটি চেনার মতো, কিন্তু গাড়ির গতি নির্বিশেষে বিরতিগুলো এত দূরে ছিলো যে মেলোডিটি "উইলিয়াম টেল ওভারটিউর" এর কেবল সামান্য সাদৃশ্য বহন করত। সম্ভবত ডিজাইনাররা ব্যবধান ও খাঁজের সামঞ্জস্যপূর্ণ  প্রশস্ততার মধ্যে খাঁজের প্রশস্ততা অন্তর্ভুক্ত না করে একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ ভুল হিসাব করেছিলেন। এই ভুল অ্যাভিনিউ কে ও অ্যাভিনিউ জি, উভয় রাস্তাতেই করা হয়েছিল। ২০১৪ সালের অক্টোবরে নিউ মেক্সিকোর তিজেরাস গ্রাম ইউ.এস. রুট ৬৬ এর দুই-লেন বিস্তৃত একটি সুরেলা রাস্তা স্থাপন করেছিল, যেটি 'আমেরিকা দ্য বিউটিফুল',  তারপর 'ন্যাশনওয়াইড ইনস্যুরেন্স' বাজায়, যখন একটি গাড়ি ৪৫ মাইল পার আওয়ারের উপর দিয়ে চালিয়ে যায়। এ হাইওয়েটি এনএম ৩৩৩ লেবেলযুক্ত, মাইলস ৪ ও ৫ এর মধ্যে পূর্বমুখী। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক সোসাইটির অর্থায়নে প্রকল্পটি নিউ মেক্সিকো পরিবহন বিভাগের সাথে সমন্বয় করা হয়েছিল, যারা এ প্রকল্পটিকে চালকদের ধীরগতিতে চলার একটি পন্থা হিসেবে বর্ণনা করে, এবং যা একঘেঁয়ে হাইওয়েতে কিছুটা উদ্দীপনা আনবে। ২০২০ সালের মধ্যে সুরটি ম্লান হয়ে যাচ্ছিল এবং এমনকি অধিকাংশ শৈলশিরা প্রশস্ত হয়ে যাচ্ছিলো। নিউ মেক্সিকো পরিবহন বিভাগের একজন মুখপাত্র বলেন, "....সুরেলা হাইওয়ে পুনরুদ্ধারে কোনো পরিকল্পনা নেই। খরচ আকাশচুম্বী, এবং তারা যানবাহন চলাচলের রাস্তার অংশ পুনরুদ্ধার করেছে ও সকল চিহ্নগুলো সরিয়ে দিয়েছে। দুর্ভাগ্যক্রমে, এটি পূর্ববর্তী প্রশাসনের একটি অংশ ছিলো এবং এ সুরেলা রাস্তার রক্ষণাবেক্ষণ বজায় রাখা কোনো সময় সম্ভব ছিল না। ২০১৯ সালের অক্টোবরে  অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এর এক প্রাক্তন ছাত্র টিম আরনল্ড একটি সুরেলা রাস্তা তৈরি ও স্থাপন করেন, যেটি 'অবার্ন টাইগারসের ফাইট সং, "ওয়ার ঈগল" এর প্রথম সাতটি সুর বাজায়। পূর্ববর্তী সুরেলা রাস্তা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সাউথ ডোনাহো ড্রাইভের স্বল্প অংশে "ওয়ার ঈগল রোড" ডাব করা হয়েছে এবং একটি  'সার্ফেস-অ্যাপ্লিকেশন ম্যাটেরিয়াল' কাজে লাগিয়ে একটি যুগান্তকারী প্রক্রিয়ার দ্বারা তৈরি করা হয়েছিল, যা রাস্তার ক্ষতি করবে না। অবার্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও ন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাস্ফাল্ট টেকনোলজির সহায়তায় কাজ করে আরনল্ড পাবলিক আর্ট হিসেবে ওয়ার ঈগল রোডের উন্নয়ন করেন, যা ক্যাম্পাসে আগমনহেতু ফ্যান ও প্রতিপক্ষদের স্বাগত করবে। প্রকল্পটি ফ্যাসিলিটিজ ম্যানেজমেন্টের অফিস অফ দ্য ইউনিভার্সিটি আর্কিটেক্ট দ্বারা অনুমোদিত হয় এবং অবার্ন টাইগারস ফুটবল সিজনের ফাইনাল তিনটি হোমগেমের সাথে সমন্বয়ে এটি সম্পন্ন হয়। সুরেলা রাস্তাটি জনগণের ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে এবং একটি চিরস্থায়ী কর্মসূচি হিসেবে স্বাগত হবে বলে মনে হয়। আরও দেখুন গোলযোগ পট্টি তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ নিউ মেক্সিকোতে সিঙ্গিং রোড দ্য সিঙ্গিং রোড সাউন্ড ট্যুরিজম ওয়েবসাইটে গানের রাস্তা এবং তাদের শব্দগুলির অবস্থান গুগল ম্যাপস লিঙ্ক বিষয়শ্রেণী:সুরেলা রাস্তা বিষয়শ্রেণী:শব্দ ভাস্কর্য বিষয়শ্রেণী:সড়ক অবকাঠামো
সুরেলা রাস্তা
পুনর্নির্দেশ চর বানিপাকুরিয়া ইউনিয়ন
চরবানি পাকুড়িয়া ইউনিয়ন
একজন জাপানি ওড়িশি নৃত্যশিল্পী। তিনি ১৯৯৬ সাল থেকে ভারতে বসবাস করছেন। ২০০৮ সালে নিউজউইক জাপান কর্তৃক নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশ্বের ১০০ জন সম্মানিত জাপানি ব্যক্তির একজন হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। জীবনী মাসাকো ওনো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মার্থা গ্রাহাম ডান্স স্কুল থেকেআধুনিক নৃত্যে একমাত্র জাপানি স্নাতক প্রশিক্ষক মাসাকো যোকোইয়ের অধীনে ৪ বছর বয়সে নাচ শুরু করেছিলেন । তিনি টোকিওর মাৎসুইমা ব্যালেতে পশ্চিমা শাস্ত্রীয় ব্যালের প্রশিক্ষণও নিয়েছিলেন, এবং টোকিওর কে-ব্রডওয়ে নৃত্যকেন্দ্রে জাজ নৃত্য এবং হিপহপ নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি নৃত্যগ্রামে যোগ দিয়েছিলেন। নৃত্যগ্রাম হলো ভারতের একটি নৃত্যশিক্ষাগ্রাম যা শুরু করেছিল খ্যাতনামা ওড়িশি নৃত্যশিল্পী প্রয়াত প্রতিমা বেদী। ওনো সেখানে পড়াশুনার জন্য বৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি প্রথমে প্রতিমার কাছ থেকে ওড়িশিতে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন এবং প্রতিমার মৃত্যুর পরে সুরূপা সেন এবং বিজয়িনী শতপথীর কাছে প্রশিক্ষণ চালিয়ে গিয়েছিলেন। তিনি যোগ, কালারিপায়ত্তু ও ময়ূরভঞ্জ ছৌ নৃত্যের ক্লাসে অংশ নিয়েছিলেন এবং নৃত্যগ্রামে ওল্ফগ্যাং থিয়েটার, পল টেলর টু সংস্থা, দ্য এক্সপ্রেসনস, আশা কুড়লেওয়ালা এবং রবার্ট উইলিয়ামসের কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন। তিনি ভারতের ওড়িশায় বসবাস করছেন এবং গুরু শ্রী কেলুচরণ মহাপাত্র, গুরু রমনী রঞ্জন জেনা এবং গুরু নব কিশোর মিশ্রের কাছ থেকে ওড়িশিতে আরো প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছিলেন। ২০০১ সাল থেকে মাসাকো ওনো ভারতের ভুবনেশ্বরে পেশাদার ওড়িশি নৃত্যশিল্পী এবং যোগশিক্ষক হিসাবে ভারত এবং ভারতের বাইরের নৃত্যশিল্পী, সংগীতশিল্পী এবং শিল্পীদের সাথে সহযোগিতা করে আসছেন। ২০০৩ সালে তিনি হ্যাবিটেট সেন্টারে তাঁর প্রথম মঞ্চপ্রবেশ (একক অভিনয়শিল্পী হিসাবে আত্মপ্রকাশ) করেছিলেন। বর্তমানে তিনি তাঁর নিজস্ব কোরিওগ্রাফি নিয়ে কাজ করছেন যা তন্ত্র, যোগ এবং শাস্ত্রীয় ভারতীয় নৃত্যের একটি মিশ্রণ। তিনি ভারত, জাপান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ইতালি, সুইডেন, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, ইন্দোনেশিয়া এবং শ্রীলঙ্কায় বক্তৃতা দিয়েছেন এবং প্রদর্শনী ও কর্মশালা পরিবেশন করেছেন। ২০০৫ সালে এবং ২০০৬ সালে তিনি জাপানের প্রাক্তন দুই প্রধানমন্ত্রী যথাক্রমে জুনিচিরো কোইযুমি এবং শিনজো অ্যাবের সম্মুখে নৃত্য প্রদর্শন করেছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি বোই শক্তি এবং জেরার্ড মোস্টার্ডের সাথে একটি সমসাময়িক নৃত্য প্রকল্পে অংশ নিয়েছিলেন। ওনো অন্যান্য ওড়িশি নৃত্যশিল্পীদের প্রশিক্ষণ দেন এবং ভারত ও জাপানের মাসাকো ওনো পারফর্মিং আর্টস (এমওপিএ) পরিচালনা করেন। ২০১০ সালে, তিনি স্থানীয় শিল্প ও হস্তশিল্পের প্রচারে কাজ করার জন্য আন্তর্জাতিক শিল্পীদের প্রচেষ্টাকে সহযোগিতা করার উদ্দেশ্যে মুদ্রা ফাউন্ডেশন চালু করেছিলেন। কাজ মাসাকো ওনোর পরিকল্পনা করা কাজের মধ্যে রয়েছে ফ্রোজেন গ্রেস (হিমশীতল লাবণ্য), ড্যান্স অব দ্য ক্রেন (সারসের নাচ), ডিভাইনিটি উইদিন- তান্ত্রিক প্রেয়ার, কুণ্ডলিনী স্তব এবং দ্য ড্রিম (স্বপ্ন)। পেশাদার মাইলফলক ২০০৮ সালে নিউজউইক জাপান কর্তৃক নিজ নিজ ক্ষেত্রে বিশ্বের ১০০ জন সম্মানিত জাপানি ব্যক্তির একজন হিসাবে নির্বাচিত। ২০০৭ সালে এনএইচকে বিএস ১ প্রথম জাপানি সিরিজের অংশ হিসাবে মাসাকো ওনোকে নিয়ে একটি প্রামাণ্য চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছিল। তিনি জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জুনিচিরো কোইযুমি এবং শিনজো অ্যাবের সম্মুখে নৃত্য প্রদর্শন করেছেন। ২০০৭ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে কেনেডি সেন্টারে পরিবেশন করেছিলেন। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ মাইস্পেসে মাসাকো ওনোর পৃষ্ঠা মাসাকো ওনোর ব্লগ দ্য হিন্দুতে রিভিউ, ২৯ অক্টোবর ২০১০ দেকান হেরাল্ড, 8 সেপ্টেম্বর ২০১০-এ পর্যালোচনা বিষয়শ্রেণী:জন্মের বছর অনুপস্থিত (জীবিত ব্যক্তি) বিষয়শ্রেণী:ওড়িশি নৃত্যশিল্পী বিষয়শ্রেণী:জীবিত ব্যক্তি বিষয়শ্রেণী:জাপানি ভাষার লেখা থাকা নিবন্ধ বিষয়শ্রেণী:জাপানি মহিলা নৃত্যশিল্পী বিষয়শ্রেণী:ভারতে জাপানি প্রবাসী
মাসাকো ওনো
পুনর্নির্দেশ বৈদ্যুতিক শক্তি
বৈদ্যুতিক
পুনর্নির্দেশ ইথিওপীয় সেমিটিক ভাষাসমূহ
ইথিওপিয় সেমিটিক ভাষাসমূহ
পুনর্নির্দেশ খ্রীষ্টতত্ত্ব
খ্রিষ্টতত্ত্ব
মার্কিন সামোয়া জাতীয় ফুটবল দল () হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফুটবলে মার্কিন সামোয়ার প্রতিনিধিত্বকারী পুরুষদের জাতীয় দল, যার সকল কার্যক্রম মার্কিন সামোয়ার ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা মার্কিন সামোয়া ফুটবল ফেডারেশন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এই দলটি ১৯৯৮ সাল হতে ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা ফিফার এবং একই বছর হতে তাদের আঞ্চলিক সংস্থা ওশেনিয়া ফুটবল কনফেডারেশনের সদস্য হিসেবে রয়েছে। ১৯৯৮ সালের ২রা সেপ্টেম্বর তারিখে, মার্কিন সামোয়া প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক খেলায় অংশগ্রহণ করেছে; কুক দ্বীপপুঞ্জের রারোটোঙ্গায় অনুষ্ঠিত উক্ত ম্যাচে মার্কিন সামোয়া পশ্চিম সামোয়ার কাছে ৩–০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছে। ২,০০০ ধারণক্ষমতাবিশিষ্ট পাগো পার্ক ফুটবল স্টেডিয়ামে এলাকার ছেলে নামে পরিচিত এই দলটি তাদের সকল হোম ম্যাচ আয়োজন করে থাকে। এই দলের প্রধান কার্যালয় মার্কিন সামোয়ার রাজধানী পাগো পাগোতে অবস্থিত। বর্তমানে এই দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন তুনোয়া লুই এবং অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন গোলরক্ষক নিকি সালাপু। মার্কিন সামোয়া এপর্যন্ত একবারও ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করতে পারেনি। অন্যদিকে, ওএফসি নেশন্স কাপেও মার্কিন সামোয়া এপর্যন্ত একবারও অংশগ্রহণ করতে সক্ষম হয়নি। নিকি সালাপু, উয়াসিলা হেলেতা, রামিন অট, স্যামুয়েল হ্যাওয়ার্ড এবং জাস্টিন মানাওয়ের মতো খেলোয়াড়গণ মার্কিন সামোয়ার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপিয়েছেন। র‌্যাঙ্কিং ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিংয়ে, ২০১৫ সালের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে মার্কিন সামোয়া তাদের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অবস্থান (১৬৪তম) অর্জন করে এবং ২০০৬ সালের মে মাসে প্রকাশিত র‌্যাঙ্কিংয়ে তারা ২০৫তম স্থান অধিকার করে, যা তাদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। অন্যদিকে, বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে মার্কিন সামোয়ার সর্বোচ্চ অবস্থান হচ্ছে ১৮৮তম (যা তারা ১৯৮৩ সালে অর্জন করেছিল) এবং সর্বনিম্ন অবস্থান হচ্ছে ২৩৮। নিম্নে বর্তমানে ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং এবং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিংয়ে অবস্থান উল্লেখ করা হলো: ফিফা বিশ্ব র‌্যাঙ্কিং বিশ্ব ফুটবল এলো রেটিং প্রতিযোগিতামূলক তথ্য ফিফা বিশ্বকাপ তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ ফিফা-এ মার্কিন সামোয়া জাতীয় ফুটবল দল ওএফসি-এ মার্কিন সামোয়া জাতীয় ফুটবল দল বিষয়শ্রেণী:মার্কিন সামোয়া জাতীয় ফুটবল দল বিষয়শ্রেণী:ওশেনিয়ার জাতীয় ফুটবল দল
মার্কিন সামোয়া জাতীয় ফুটবল দল
পুনর্নির্দেশ নিশ্চিতকরণ পক্ষপাত
নিশ্চিতকরণমূলক পক্ষপাত
পুনর্নির্দেশ হেমন্ত বিক্রেমারত্নে
Hemantha Wickramaratne
পাহুনা: দ্যা লিটল ভিজিটরস ২০১৮ সালের ভারতীয় নেপালি ভাষার সিকিমে চিত্রিত হওয়া একটি চলচ্চিত্র। চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন পাখী তাইরিওয়ালা এবং প্রযোজনা করেছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া ও মধু চোপড়া। চলচ্চিত্রটি পার্পল পেবল পিকচার্সের অধীনে নির্মিত হয়েছে। পটভূমি চলচ্চিত্রটিতে অপ্রিতিকর অবস্থায় পড়া তিনজন শিশুর আবেগ, ভাষা এবং ভৌগলিক বাঁধা অতিক্রমের গল্প চিত্রিত করা হয়েছে। অভিনয়ে ইশিকা গুরুং আনমোল লিম্বু মঞ্জু কেসি সরণ রায় বিনোদ প্রধান উত্তম প্রধান বনিতা লাগুন পুরস্কার চলচ্চিত্রটি জার্মানির শ্লিঙ্গেল আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগে বিশেষ উল্লেখ লাভ করেছে। তথ্যসূত্র বহিঃসংযোগ বিষয়শ্রেণী:নেপালের গৃহযুদ্ধ নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:২০১৮-এর চলচ্চিত্র বিষয়শ্রেণী:নেপালি ভাষার চলচ্চিত্র
পাহুনা: দ্য লিটল ভিজিটরস